হুজুর ইবনে আদী আল-কিন্দি (আরবি: حُجْر ٱبْن عَدِيّ ٱلْكِنْدِيّ, Ḥujr ibn ʿAdīy al-Kindīy, মৃত্যু ৬৬০ খ্রিস্টাব্দ) ছিলেন ইসলামের নবী মুহাম্মদের একজন সাহাবী[১] খুলাফায়ে রাশেদীন এর চতুর্থ খলিফা আলীর প্রতি তার অবিচল সমর্থন এবং প্রশংসার জন্য তিনি উমাইয়া খলিফা প্রথম মুয়াবিয়া কর্তৃক মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন[২][৩], যখন তিনি আলীকে প্রকাশ্যে অভিশাপদানের রীতিতে আপত্তি জানালেন। তিনি কিন্দাহ গোত্রের সদস্য ছিলেন।

হুজুর ইবনে আদি
حُجْر ٱبْن عَدِيّ
২০১৩ সালে তার কবরে হামলা চালানোর পূর্বের চিত্র
মৃত্যু৬৬০ খ্রিস্টাব্দ
মৃত্যুর কারণউমাইয়া খলিফা প্রথম মুয়াবিয়া কর্তৃক মৃত্যুদণ্ডের আদেশ
সমাধিআদ্রা, সিরিয়া
৩৩°৩৬′২৭″ উত্তর ৩৬°৩১′৩″ পূর্ব / ৩৩.৬০৭৫০° উত্তর ৩৬.৫১৭৫০° পূর্ব / 33.60750; 36.51750
পরিচিতির কারণআলীর সমর্থক
সন্তানহামাম ইবনে হুজুর

উপাধি সম্পাদনা

হুজুরকে দুটি উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছিল: আল-কিন্দি'' এবং ''আল-আদবার''। প্রথম উপাধি ছিলো ''আল-কিন্দি'' যার অর্থ হচ্ছে ''কিন্দাহ(আরবীয় উপজাতি) হতে আগত ব্যক্তি''। হুজুরকে দেওয়া দ্বিতীয় উপাধি ছিলো ''আল-আদবার''। [৪]

চরিত্র এবং জীবনী সম্পাদনা

কতিপয় বর্ণনা অনুসারে, তার শেষ ইচ্ছা ছিল যে তার পুত্রকে তার পূর্বে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হোক, নতুবা তার পুত্র মৃত্যুভয়ে ভীত হয়ে যাবে এবং আলীকে অভিসম্পাত দেওয়ার পর্যায়ে চলে যাবে।[৫]

মাজারের পবিত্রতা ভঙ্গ সম্পাদনা

 
মসজিদের মিনার

হুজুর, তার পুত্র হামাম ইবনে হুজুর এবং আরও কয়েকজন সাথী সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের উপকণ্ঠে আদ্রায় সমাহিত হয়েছেন। তার সমাধির চারপাশে একটি মসজিদ নির্মিত হয়েছে যা মুসলমানদের তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছিলো।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ২০১৩ সালের ২রা মে, যাবহাত আল-নুসরা সমাধিসৌধে হামলা করে এবং তাঁর দেহাবশেষ মাটি খুঁড়ে বের করে নেয়। [৬] বিদ্রোহীরা তার লাশ একটি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।[৭] নিউইয়র্ক টাইমস-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে, তীর্থস্থানটির অবমাননা বিষয়ক বহুল আলোচিত একটি ফেসবুক ছবি, সমাধি খোঁড়ার দায়ে আবু আনাস আল-ওয়াজির বা আবু আল-বারা নামক এক ব্যক্তিকে আরোপ করে, যিনি ''স্বাধীন সিরীয় সেনাবাহিনী''র ইসলাম ব্রিগেড নামে পরিচিত একটি সামরিক গোষ্ঠীর নেতা। [৮][৯]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Soften your heart, learn about Hujr ibn 'Adi al-Kindi – Islamic Philosophy"islam.hilmi.eu (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-২১ 
  2. "Hujr bin Adi al-Kindi:The Great Martyr"। imamreza.net। ২০১৩-১০-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৩ 
  3. Tareekh e Dimshaq
  4. Ibn Muḥammad (Ibn-ʻAbd-Rabbihī), Aḥmad. The Unique Necklace "al-ʻIqd Al-Farīd" Trans. Issa J. Boullata. Vol. 3. Reading, UK: Garnet Publishing Limited, 2007. Print. আইএসবিএন ১৮৫৯৬৪২৪০৩ Pg. 289
  5. "Shrine of the great companion Hujr ibn Adi destroyed and body reportedly exhumed"। aimislam.com। ২ মে ২০১৩। ২৫ আগস্ট ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  6. "Syria militants exhume grave of Prophet's companion"Press TV। ২ মে ২০১৩। ৫ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৩ 
  7. "Press TV, May 3rd 2013"। ৮ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০২০ 
  8. ERDBRINK, THOMAS (৬ মে ২০১৩)। "Iran Warns Syrian Rebels After Report of Shrine Desecration"New York Times। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৩ 
  9. "Syrian rebels have taken iconoclasm to new depths, with shrines,"The Independent। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১৩ 

তাবারীর ইতিহাস - হুজুর ইবনে আদী