হীরা রামনারায়ণ পাঠক (গুজরাটি: હીરા રામનારાયણ પાઠક) গুজরাতি ভাষার একজন কবি ও সাহিত্য সমালোচক ছিলেন। তিনি প্রখ্যাত গুজরাতি লেখক রামনারায়ণ ভি. পাঠকের সহধর্মিণী ছিলেন।

হীরা পাঠক
স্থানীয় নাম
હીરાબેન રામનારાયણ પાઠક
জন্মহীরাবেন কল্যান্রে মেহতা
(১৯১৬-০৪-১২)১২ এপ্রিল ১৯১৬
মুম্বই
মৃত্যু১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৫(1995-09-15) (বয়স ৭৯)
মুম্বই
পেশাকবি, সাহিত্য সমালোচক, অধ্যাপক
ভাষাগুজরাতি
জাতীয়তাভারতীয়
শিক্ষাপিএইচডি
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানএস.এন.ডি.টি. উইমেনস ইউনিভার্সিটি
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি
  • আপানু বিবেচন সাহিত্য (১৯৩৯)
  • পরলোকে পত্র (১৯৭৮)
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারনর্মদ স্বর্ণপদক, উমা - শ্রেয়াশ্মী পুরস্কার, রাঞ্জিত্রম স্বর্ণপদক , সাহিত্য গৌরব পুরস্কার
দাম্পত্যসঙ্গীরামনারায়ণ ভি. পাঠক

জীবনী সম্পাদনা

তিনি ১৯১৬ সালের এপ্রিল মাসের ১২ তারিখে মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের পর তার নাম রাখা হয়েছিল হীরাবেন কল্যাণ্রে মেহতা। তিনি ১৯৩৬ সালে এস.এন.ডি.টি. বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। এরপর, ১৯৩৮ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ডক্টরেট করেন। ডক্টরেট করার সময়ে তার থিসিস আপনু বিবেচন সাহিত্য পরের বছর পুস্তকাকারে বাজারে আসে।

১৯৩৮ সালে তিনি এস.এন.ডি.টি. উইমেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন তিনি। তিনি ১৯৭০-৭১ সময়কালে গুজরাত অধ্যাপক সংঘের সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও, কিছু বছর তিনি গুজরাত সাহিত্য পরিষদের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[১]

তিনি রামনারায়ণ ভি. পাঠকের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। বিয়ের পর তিনি তার নাম পরিবর্তন করে স্বামীর নামের সাথে মিল রেখে হীরা পাঠক রাখেন। রামনারায়ণ ভি. পাঠক একজন গান্ধীবাদী লেখক ছিলেন। উমসশংকর জোশি তাকে গান্ধী যুগের 'সাহিত্য গুরু' বলে অভিহিত করেছেন। তাকে গুজরাতি ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ ছোটগল্পকার বলে অভিহিত করা হয়।[২] হীরা পাঠক, রামনারায়ণ ভি. পাঠকের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন। পাঠক সম্পতি নিঃসন্তান ছিলেন।[৩] ১৯৯৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ তারিখে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।[৪] মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।

সাহিত্যকর্ম সম্পাদনা

১৯৩৯ সালে তার পিএইচডির থিসিস আপানু বিবেচন সাহিত্য বই আকারে বাজারে আসে। বইটি সমালোচক মহলে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। ১৯৬১ সালে তার সাহিত্য সমালোচনা বিষয়ক গ্রন্থ কাব্যভবন বাজারে আসে। ১৯৭৪ সালে আরেকটি সাহিত্য সমালোচনা বিষয়ক গ্রন্থ বিদ্যার্থী বাজারে আসে।

১৯৫৫ সালে তার স্বামী রামনারায়ণ ভি. পাঠক মারা যান। তিনি তার মৃত স্বামীর স্মৃতিকে উপজীব্য করে পরলোকে পত্র বইট রচনা করেন। গ্রন্থটিতে হীরা পাঠক তার স্বামীকে উদ্দেশ্য করে পদ্যাকারে বারোটি চিঠি লিখেছেন। বইটি ছিল একটি শোকগাথা। ১৯৭৯ সালে তার সংস্কৃত কবিতাবিষয়ক প্রবন্ধগুলো গবাক্ষ দ্বীপ বইয়ে সংকলিত হয়।[৩][৫][৬]

সম্মাননা সম্পাদনা

হীরা পাঠক তার পরলোকে পত্র বইটির জন্য নর্মদ স্বর্ণপদক ও উমা - শ্রেয়াশ্মী পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও ১৯৭৪ সালে তিনি রাঞ্জিন্ত্রম স্বর্ণপদক ও ১৯৯৫ সালে তিনি সাহিত্য গৌরব পুরস্কারে ভূষিত হন।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "હીરાબેન પાઠક, ગુજરાતી સાહિત્ય પરિષદ"Hiraben Pathak, Gujarati Sahitya Parishad (গুজরাটি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-০৯ 
  2. Borisagar, Bhavesh (২০১৬)। "Chapter 1"। Translation Of Selected Short Stories Of Ramnarayan Pathak From Gujarati Into English With A Critical Introduction (পিডিএফ) (Ph.D)। Saurashtra University। hdl:10603/126479। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১৭ 
  3. "Beyond The Beaten Track - Ramnarayan Pathak"Gujaratilexicon.com (গুজরাটি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-০৯ 
  4. "વિદુષી લેખિકા હીરાબહેન પાઠકનું અવસાન" [Death note of Heeraben Pathak]। Shabdasrishti। অক্টোবর–নভেম্বর ১৯৯৫। পৃষ্ঠা 28। আইএসএসএন 2319-3220 
  5. Nalini Natarajan; Emmanuel Sampath Nelson (১৯৯৬)। Handbook of Twentieth-century Literatures of India। Greenwood Publishing Group। পৃষ্ঠা 124। আইএসবিএন 978-0-313-28778-7। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১৭ 
  6. Jhaveri, Manju (২০০৭)। Lal, Mohan, সম্পাদক। Encyclopaedia of Indian LiteratureIV (4th সংস্করণ)। New Delhi: Sahitya Akademi। পৃষ্ঠা 3129। আইএসবিএন 81-260-1003-1