হাফেজ আহমদ (১৯০৭ - ১৯৮৩) একজন আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি শাহ সাহেব নামেও পরিচিত। চুনতীর ১৯ দিন ব্যাপী মাহফিলে সীরাতুন্নবী (সাঃ) তার অনন্য অবদান।[১]

হাফেজ আহমদ
উপাধিশাহ সাহেব
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম১৯০৭ সাল
মৃত্যু১৯৮৩ সাল (৭৬ বছর)
সমাধিস্থলচুনতী, লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম,
ধর্মইসলাম
জাতীয়তাবাংলাদেশী
পিতামাতা
  • সৈয়দ আহমদ (পিতা)
নাগরিকত্ব
যুগআধুনিক যুগ
অঞ্চলদক্ষিণ এশিয়া
আখ্যাসুন্নি
ব্যবহারশাস্ত্রহানাফি
উল্লেখযোগ্য কাজ১৯ দিন ব্যাপী মাহফিলে সীরাতুন্নবী (সাঃ) এর প্রচলনকারী
তরিকাকাদেরী
তার মাজার

জন্ম ও বংশ পরিচয় সম্পাদনা

আহমদ ১৯০৪ সালে চুনতী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[২] পিতা মাওলানা সৈয়দ আহমদ এবং মাতা হাজেরা খাতুন। তার পূর্ব পূরুষ শাহ আলম খন্দকার আরব দেশ হতে বাঁশখালি উপজেলার কালীপুর গ্রামে এসে বসতি স্থাপন করেন। [৩]পরবর্তীতে তার পুত্র ইব্রাহিম খন্দকার চুনতীতে এসে বসতি স্থাপন করেন। তার দাদা কাজী ইউসুফ আলী আরকানের অন্যতম জমিদার ছিলেন।

শিক্ষা ও কর্মজীবন সম্পাদনা

আহমদ বাঁশখালীর ছনুয়া মাদ্রাসা, চন্দনপুরা দারুল উলুম আলীয়া মাদ্রাসা ও কলিকাতা আলীয়া মাদ্রাসায় পড়ালেখা করেন। কলিকাতা আলীয়া মাদ্রাসা থেকে ফাজিল ডিগ্রী অর্জন করেন। কলিকাতা আলীয়া মাদ্রাসা থেকে অসুস্থ অবস্থায় দেশে ফিরেন। তারপর দাদার জমিদারী দেখার জন্য আকিয়াবে (বর্তমান মায়ানমার) চলে যান। সেখানে তিনি মসজিদের ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করেন। কিছুদিন পর তিনি ইমামতি ছেড়ে দেন।

অবদান সম্পাদনা

তিনি ১৯৭২ সালের ১১ রবিউল আউয়াল মাহফিলে সীরাতুন্নবী (সাঃ) প্রবর্তন করেন। প্রতিবছর ধারাবাহিকভাবে ১৯ দিন ব্যাপী সীরাতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

১৯৮৩ সালে মাহফিলের ১৯ দিন আগে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। চুনতী সীরাত ময়দানের পাশে তার মাজার রয়েছে।

বিবিধ সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা