সেস্রুমনির (রোমান হরফ - Sessrúmnir) হল নর্স পুরাণ'এ ব্যবহৃত একটি ধারণা; এর আক্ষরিক অর্থ "বসিবার ঘর"।[১] যতদূর সম্ভব, জাহাজের খোলের নিচের অংশে দাঁড় বাইবার জন্য সারি সারি বেঞ্চ সমন্বিত অংশটিকেই এই নামে অভিহিত করা হত।

ত্রয়োদশ শতাব্দীতে স্নোরি স্টুরলসন তাঁর রচিত স্নোর-এডার  গিলফাগিনিংস্কাল্ডস্কাপারমাল আখ্যানে শব্দটি দুটি পৃথক অর্থে মোট তিনবার ব্যবহার করেন।[২] তারমধ্যে দু'বার (গিলফাগিনিং-এর ২৪তম অধ্যায় ও স্কাল্ডস্কাপারপমাল-এর ২০তম অধ্যায়ে) এর মাধ্যমে দেবী ফ্রাইয়ার একটি বিশাল ও সুন্দর প্রাসাদকে বোঝানো হয়েছে; স্বর্গে (প্যানথিওনে) তাঁর আবাসস্থল ফোল্কভাংরে অবস্থিত এই প্রাসাদেই দেবী ফ্রাইয়া বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্রে মৃতদের আত্মার অর্ধেককে তাঁর অধীনে আশ্রয় দেন (স্কাল্ডস্কাপারপমাল-এর ২০তম অধ্যায়)। তৃতীয়বার এর উল্লেখ পাওয়া যায় স্কাল্ডস্কাপার আখ্যানেরই ৭৫ তম অধ্যায়ে। সেখানে প্রদত্ত একটি জাহাজের নামের তালিকার মধ্যে এই নামটিকেও দেখতে পাওয়া যায়।[২]

তত্ত্বগত ধারণা সম্পাদনা

নর্স পুরাণের বিখ্যাত জার্মান অনুবাদক রুডলফ সিমেকের মতে সেস্রুমনির শব্দটির আদত অর্থ ছিল সারি সারি বসিবার বেঞ্চ সমন্বিত কোনও বড় ঘরবিশেষ। সেই অর্থ থেকেই শব্দটি জাহাজের খোলের নিচের অংশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হতেই পারে। এই কারণেই একই নাম নর্স পুরাণের একই আখ্যানে সম্পূর্ণ দুই পৃথক অর্থে ব্যবহৃত হতে দেখা যায়।[৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Orchard, Andy (1997). Dictionary of Norse Myth and Legend. Cassell, 1997. P. 138. আইএসবিএন ০-৩০৪-৩৪৫২০-২
  2. Rudolf Simek: Lexikon der germanischen Mythologie. স্টুটগার্ট (3. সংস্করণ) 2006. আইএসবিএন 978-3-520-36803-4.
  3. Rudolf Simek: Lexikon der germanischen Mythologie. স্টুটগার্ট (3. সংস্করণ) 2006. আইএসবিএন 978-3-520-36803-4. পৃঃ - ২৮০।