সাওবান ইবনে নাজদাহ
বিশ্বকোষীয় পর্যায়ে যেতে এই নিবন্ধে আরো বেশি অন্য নিবন্ধের সাথে সংযোগ করা প্রয়োজন। |
সাওবান ইবনে নাজদাহ (মৃত্যু-৫৪ হিজরি) মুহাম্মদ এর বিখ্যাত একজন জ্ঞানী সাহাবী ছিলেন । তিনি রাসুল বিশেষ খাদেম ছিলেন ।সারা জীবন রাসুলের খেদমতে অতিবাহিত করেছেন । হযরত রাসূল সা: এর মৃত্যুর পর তিনি মদীনার অন্যতম মুজতাহিদ সাহাবী হিসাবে পরিগণিত হন।[১]
সাওবান ইবনে নাজদাহ মুজতাহিদ সাহাবী | |
---|---|
মুহাম্মাদের সাহাবা | |
জন্ম | হিময়া গোত্র, মদিনা, ইয়েমেন |
মৃত্যু | ৬৭৪ খ্রিস্টাব্দ হিমশ, মিশর |
শ্রদ্ধাজ্ঞাপন | জান্নাতুল বাকী গোরস্তান, মদিনা |
যার দ্বারা প্রভাবিত | মুহাম্মাদ, আবু বকর |
যাদের প্রভাবিত করেন |
|
উল্লেখযোগ্য কাজ | হাদিস বর্ণনা (১৭২) |
নাম ও বংশ পরিচয় সম্পাদনা
পুরো নাম সাওবান ইবনে নাজদাহ, ডাক নাম সাওবান পিতার নাম নাজদাহ । তার পিতা আবু আবদিল্লাহ নামেও পরিচিত ছিলো ।সাওবান ইয়ামানের বিখ্যাত হিময়ার গোত্রের সন্তান।[২] তিনি জীবনের কোন এক কারণে তিনি দাসে পরিণত হন । নাবী সা: তাকে খরীদ করে মুক্ত করে দেন। মুক্ত হওয়ার পরে তিনি রাসুল পরিবারের একজন হিসাবেও জীবন-যাপন শুরু করে ।
রাসুলের খেদমত সম্পাদনা
সবসময় রাসুলের সাথে থেকে রাসুলের খেমতের সুযোগ তিনি পেয়েছেন । এজন্য তিনি সরাসরি রাসুল থেকে অনেক দর্শন অর্জন করেছিলেন । অনেক সাহাবা সেগুলো তার থেকে জানতে চাইতেন । তিনি হাদিসের প্রচার ও প্রসারের দিকে সজাগ ছিলেন ।[৩]
তাঁর বর্ণিত একটি হাদিস সম্পাদনা
তার কাছে কেও হাদীস শোনার আগ্রহ প্রকাশ করলে তিনি মাঝে মাঝে বলতেন: কোন মুসলমান আল্লাহর উদ্দেশ্যে একটি সিজদাহ করলে আল্লাহ তার একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন এবং তার গোনাহ সমূহও মাফ করে দেন।[৪]
ছাত্র সমূহ সম্পাদনা
সাওবান ইবনে নাজদাহ মদিনার একজন বিখ্যাত হাদিস বিষয়ে জ্ঞানী ব্যক্তি ছিলেন । তাকে উলুমে নববী(নবীর জ্ঞান সমুহে পারদর্শী) বলা হয়ে থাকে । অনেকে তার থেকে জ্ঞান অর্জন ও হাদিস বর্ণনা করেছেন । তিনি রাসুল থেকে ১৭২ টি হাদিস বর্ণনা করেছেন । তার উল্লেখযোগ্য ছাত্রগণ
সা’দান ইবন তালহা
রাশেদ ইবন সাদ
জুবাইর ইবন নুদাইর
আব্দুর রহমান ইবন গানাম
আবু ইদরীস সহ আরো অনেকে আছে ।
মৃত্যু সম্পাদনা
মুহাম্মদ মৃত্যুর পর অল্প কিছুদিন তিনি মদীনায় ছিলেন। রাসুলের মৃত্যুর তিনি মদীনা ছেড়ে শামের ‘রামলা’ নামক স্থানে বসবাস শুরু করেন। মিসর অভিযানে তিনি অংশগ্রহণ করেন এবং ‘রামলা’ ছেড়ে ‘হিমসে’ বসতি স্থাপন করেন। এই হিমসে ৫৪ হিজরীতে তিনি ইনতিকাল করেন।