সাইফুল ইসলাম (শিক্ষায়তনিক ব্যক্তি)

বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ

অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর ত্রয়োদশ উপাচার্য ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশলের অধ্যাপক ছিলেন।[২] বর্তমানে তিনি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ এর উপাচার্য হিসাবে নিযুক্ত আছেন।[৩]

সাইফুল ইসলাম
উপাচার্য, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২১ মে ২০২৪[১]
পূর্বসূরীকারমেন লামাগনা
উপাচার্য, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়
কাজের মেয়াদ
২৩ জুন ২০১৬ – ২৩ জুন ২০২০
পূর্বসূরীখালেদা একরাম
ব্যক্তিগত বিবরণ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
শিক্ষাপি এইচ ডি(ই ই)
প্রাক্তন শিক্ষার্থীবাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাউপাচার্য ও অধ্যাপক

শিক্ষা সম্পাদনা

সাইফুল ইসলাম বুয়েট থেকে যথাক্রমে ১৯৭৫ এবং ১৯৭৭ সালে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর অর্জন করেছেন। ১৯৮৬ কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। [৪]

কর্মজীবন সম্পাদনা

আগস্ট ২০১৩ থেকে জুন ২০১৬ পর্যন্ত, সাইফুল ইসলাম বাংলাদেশের প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[৪]

সাইফুল ইসলাম ১৯৭৫ সালের মে মাসে বুয়েটের বৈদ্যুতিক প্রকৌশল বিভাগের প্রভাষক হিসাবে তার শিক্ষক জীবন শুরু করেছিলেন। ১৯৮৮ সালে তিনি অধ্যাপক হয়েছিলেন। ১৯৯৫-৯৭ সালে তিনি বৈদ্যুতিক প্রকৌশল অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[৪] ২২ জুন ২০১৬, সাইফুল ইসলামকে বুয়েটের ১৩ তম উপাচার্য হিসাবে নির্বাচিত করা হয়েছিল। ২৪ মে ২০১৬ খালেদা একরাম মারা যাওয়ার পর থেকে এই পদটি শূন্য ছিল।[৫] ২৫ জুন ২০২০ সালে মেয়াদ শেষ হলে অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার তার স্থলাভিষিক্ত হন।[৬]

২০২৪ সালের ১৯ মে তিনি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ এর উপাচার্য হিসাবে নিযুক্ত হন।[৭] এর আগে তিনি ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ছিলেন।[৮]

পুরস্কার সম্পাদনা

বিতর্ক সম্পাদনা

৭ অক্টোবর, ২০১৯ তারিখে বুয়েটের শের-ই বাংলা হলে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়।[৯] কিন্তু সাইফুল শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা করেন না, বুয়েট মসজিদে হওয়া জানাজাতেও অংশ নেননি। ফলশ্রুতিতে সারা দেশে তীব্র নিন্দা শুরু হয়।[১০][১১] প্রধানমন্ত্রী তাঁর নীরবতাকে সমালোচনা করেন।[১২] পরবর্তীতে ৯ অক্টোবর নিহত আবরারের বাড়ি কুষ্টিয়াতে গেলে তিনি এলাকাবাসীর বাধার সম্মুখীন হন।[১৩] বুয়েট শিক্ষক সমিতি এবং অ্যালামনাইস অ্যাসোসিয়েশন ব্যর্থতার জন্য তার অপসারণ দাবি করে।[১৪][১৫]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "আমেরিকান ইন্টান্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর ভাইস চ্যান্সেলর পদে নিয়োগ প্রদান"shed.portal.gov.bd 
  2. "প্রফেসর সাইফুল ইসলাম বুয়েটের উপাচার্য যোগদান"bdnews24.com। জুন ২২, ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২, ২০১৬ 
  3. "এআইইউবির নতুন ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম"thedailycampus.com 
  4. "বুয়েট উপাচার্য"। buet.ac.bd। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২, ২০১৬ 
  5. "সাইফুল ইসলাম নতুন উপাচার্য"The Daily Star। জুন ২৩, ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২, ২০১৬ 
  6. "বুয়েটের নতুন ভিসি অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার"সমকাল। ২৫ জুন ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০২০ 
  7. "আমেরিকান ইন্টান্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর ভাইস চ্যান্সেলর পদে নিয়োগ প্রদান"shed.portal.gov.bd 
  8. Sun, Daily (ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২)। "Prof Dr Saiful Islam new DIU VC"Daily sun 
  9. "Buet VC fails to tame agitating students"Daily Star। অক্টোবর ৮, ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১০, ২০১৯ 
  10. "BUET VC 'missing' as students fuming over Abrar murder"Prothom Alo। অক্টোবর ৮, ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১০, ২০১৯ 
  11. "No sign of Buet VC since Abrar's murder"Dhaka Tribune। অক্টোবর ৮, ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১০, ২০১৯ 
  12. "Those involved in Fahad murder must be punished: PM"bdnews24। অক্টোবর ৯, ২০১৯। অক্টোবর ৯, ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১০, ২০১৯ 
  13. "Abrar murder: Students confine Buet VC"Daily Star। অক্টোবর ৮, ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১০, ২০১৯ 
  14. "Abrar killing: BUET teachers disappointed over VC's failure to act"Daily Star। অক্টোবর ৯, ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১০, ২০১৯ 
  15. "BUET alumni demand VC's resignation"Daily Star। অক্টোবর ৯, ২০১৯। অক্টোবর ৯, ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১০, ২০১৯