শৈলেশ্বর বসু (ইংরেজি: Shaileshwar Basu) (১৮৮৬ - ১১ জুন, ১৯২৮) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব।

শৈলেশ্বর বসু
জন্ম১৮৮৬
মৃত্যু১১ জুন, ১৯২৮
আন্দোলনব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন

শৈলেশ্বর বসুর জন্ম পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার মাহীনগরে। পিতা কেদারনাথ বসু। ছাত্রাবস্থায় বিদ্যালয়ে রাষ্ট্রগুরু স্যার সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সংবর্ধনা জানানোর জন্য হরিনাভি বিদ্যালয় থেকে নরেন ভট্টাচার্য (এম.এন.রায়)-সহ কয়েকজনের সঙ্গে তিনিও বহিষ্কৃত হন। পরে অনুশীলন সমিতিতে যোগদান করে যতীন মুখার্জির (বাঘা যতীন) সহকারীরূপে বৈপ্লবিক কাজে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি ইউনিভার্সাল এম্পোরিয়ামের অন্যতম পরিচালক ছিলেন। জার্মানি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র আমদানির ব্যাপারেও বালেশ্বর মামলায় কারারুদ্ধ হন। মুক্তি পাবার পর অসহযোগ আন্দোলনে পুনরায় কারাবরণ করেন। তিনি মানবেন্দ্রনাথ রায় এবং নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী এবং চব্বিশ পরগনা জেলার কংগ্রেসের সম্পাদক ছিলেন। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় আধ্যাত্মিক প্রবন্ধ প্রকাশ করতেন। বিপ্লবী দলগুলোর মধ্যে চাংড়িপোতা (চব্বিশ পরগনা) দলের অন্যতম স্তম্ভস্বরূপ ছিলেন।[১]

জন্ম শিক্ষাজীবন সম্পাদনা

শৈলেশ্বর বসুর জন্ম দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার মাহীনগরে। তার পিতার নাম কেদারনাথ বসু।[১] ছাত্রাবস্থায় বিদ্যালয়ে রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সংবর্ধনা জানানোর জন্য হরিনাভি বিদ্যালয় থেকে মানবেন্দ্রনাথ রায়সহ কয়েকজনের সংগে বহিষ্কৃত হন।[১]

বিপ্লবী কর্মকাণ্ড সম্পাদনা

বহিষ্কারের পর অনুশীলন সমিতিতে যোগদান করে বাঘা যতীনের সহকারীরূপে বৈপ্লবিক কাজে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি ইউনিভার্সাল এম্পোরিয়ামের অন্যতম পরিচালক ছিলেন। জার্মানি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র আমদানির ব্যাপারে ও বালেশ্বর মামলায় কারারুদ্ধ হন। কারাগারে অনশন করায় তার স্বাস্থ্যভঙ্গ হয়। মুক্তি পাবার পর পুনরায় অসহযোগ আন্দোলনে পুনরায় কারাবরণ করেন।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬ পৃষ্ঠা ৭২৬, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬