শৈলধর বরুয়া (ডিসেম্বর ১৯৪১ – ১০ জানুয়ারি ২০১০) একজন বিখ্যাত ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রযোজক।[১][২] তিনি অসমীয়া চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছিলেন। তিনি চলচ্চিত্র পরিচালক জাহ্নু বরুয়ার সাথে কয়েকটি শ্রেষ্ঠ অসমীয়া চলচ্চিত্র যেমন হালধীয়া চরা বাওধান খায় এবং সাগরলৈ বহু দূর নির্মাণ করেছিলেন।[৩] তাঁদের যৌথ নির্মাণ করা চলচ্চিত্রসমূহ বহু জাতীয় তথা আন্তর্জাতিক পুরস্কার এবং সম্মান লাভ করেছে।

শৈলধর বরুয়া
জন্মডিসেম্বর
মৃত্যু১০ জানুয়ারি ২০১০ (৬৮ বছর)
ইন্টারন্যাশনাল হস্পিটাল, গুয়াহাটি
পেশাপ্রযোজক
কর্মজীবন১৯৮৬–২০১০

প্রারম্ভিক জীবন এবং শিক্ষা সম্পাদনা

১৯৪১ সাল ডিসেম্বর মাসে ব্রিটিছ ভারতের অন্তর্গত আসামের উত্তর গুয়াহাটিত শৈলধর বরুয়ার জন্ম হয়েছিল। তাঁর পিতা পদ্মধর বরুয়া এবং মাতা মাণরেখা বরুয়া।[২] তাঁর তিন ভাই এবং একজন বোন ছিল। তিনি গুয়াহাটিতে অবস্থিত কটন কলেজিয়েট সরকারী উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়তে শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন। তারপরে তিনি গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত প্রাগজ্যোতিষ মহাবিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।[২]

কর্মজীবন সম্পাদনা

তিনি পরিচালক জাহ্নু বরুয়ার কয়েকটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছিলেন। এই ছবিসমূহ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সহ বহু জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করতে সক্ষম হয়েছিল। তিনি ২০০৫ সালে দূরদর্শনের জন্য শ্রুতিমধুর নামের ধারাবাহিক একটি নির্মাণ করেছিলেন। চলচ্চিত্র নির্মাণ ছাড়া তিনি একজন খেলোয়াড় এবং সাংস্কৃতিক কর্মী ছিলেন। তিনি বন্ধুবর্গের সাথে এক সামাজিক-সংস্কৃতিক ক্লাব কৃষ্টি বিকাশ সংঘ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি আসাম গণসংযোগ এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন। পরে এই প্রতিষ্ঠানের সঞ্চালক পদ লাভ করেছিলেন।[২]

মৃত্যু সম্পাদনা

২০১০ সালের ১ জানুয়ারি তারিখে তাঁকে গুয়াহাটিস্থিত ইন্টারন্যাশনাল হস্পিটালে ভর্তি করা হয়েছিল। তিনি ডায়েবেটিস এবং হৃদরোগে ভুগছিলেন। ১০ জানুয়ারি তারিখে দিনের ২ টো ৩০ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়।[২] আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ নিজে তাঁর মৃত্যুে শোক প্রকাশ করেছিলেন।[৩] তাঁর নশ্বরদেহ তাঁর পাণবাজারস্থিত কার্যালয় বরুয়া মেডিকজ, আসাম গণসংযোগ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং রবীন্দ্র ভবনে গুণমুগ্ধদের অন্তিম শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য রাখা হয়েছিল। ২০১০ সালের ১১ জানুয়ারি তারিখে নবগ্রহ শ্মশানে তাঁর অন্তিম সংস্কার সম্পন্ন হয়েছিল।[৩]

চলচ্চিত্র তালিকা সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Portrait of an Idealist" 
  2. "Assamese film producer Sailadhar Baruah passes away"। Merinews। ১২ জানু ২০১০। ১৩ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১০ 
  3. Staff reporter (১২ জানু ২০১০)। "CM condoles death of Sailadhar Baruah"The Assam Tribune। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১০