শেরে বাংলা স্মৃতি জাদুঘর
শেরে বাংলা স্মৃতি জাদুঘর বাংলাদেশের বরিশাল জেলার চাখারে চাখার বালক উচ্চবিদ্যালয় ও ওয়াজেদ স্মৃতি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ২৭ শতক জমির উপর অবস্থিত। জাদুঘরটি শেরে বাংলা একে ফজলুল হক এর স্মৃতির উদ্দেশ্যে নির্মাণ করা হয়েছে।[১]
স্থাপিত | ১৯৮২ |
---|---|
অবস্থান | বরিশাল, বাংলাদেশ |
স্থানাঙ্ক | ২২°৪৮′২৫″ উত্তর ৯০°১১′৪৯″ পূর্ব / ২২.৮০৭০৪° উত্তর ৯০.১৯৬৯৯° পূর্ব |
ধরন | জাতীয় ইতিহাস জাদুঘর |
সংগ্রহ |
|
প্রতিষ্ঠাতা | বাংলাদেশ সরকার |
মালিক | গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার |
সংগ্রহশালা সম্পাদনা
১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের জাদুঘরের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। শেরেবাংলার বসতভিটার একাংশে নির্মিত জাদুঘরটির দৈর্ঘ ৮৩ মিটার এবং প্রস্থ ১৪.৬০ মিটার। ১৯৮৩ সালে জাদুঘরটির কার্যক্রম শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে জাদুঘরটি সাজানো হয় বিরল আলোকচিত্র, ব্যবহৃত আসবাবপত্র, চিঠিপত্র ও শেরে বাংলাকে উপহার হিসেবে পাঠানো সৈয়দ আনিছুজ্জামান নামক ব্যক্তির সুন্দরবন থেকে শিকার করা কুমির দিয়ে।[২]
জাদুঘরটি চারকক্ষ বিশিষ্ট যার দুটি প্রদর্শনী কক্ষ, একটি অফিস কক্ষ ও একটি গ্রন্থাগার। জাদুঘরে ঢুকলে বাম দিকে শেরে বাংলা একটি বিশাল প্রতিকৃতি, তার জীবনকর্মের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, সামাজিক রাজনৈতিক, পারিবারিক ছবি, পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত শেরে বাংলার বিভিন্ন কর্মকান্ডের ছবি দেখতে পাওয়া যায়[৩]।
জাদুঘরে হকের ব্যবহৃত জিনিসের মধ্যে আছে আরাম কেদারা, কাঠের খাট, তোষক, আলনা, ড্রেসিং টেবিল, টুল, চেয়ার-টেবিল, হাতের লাঠি, পানীয় পানের গ্লাস এবং কিছু মালপত্র। এই জাদুঘরে কালো পাথরে নির্মিত অষ্টভুজা মারীচী দেবী মূর্তি, কালো পাথরের বড় শিবলিঙ্গ, ব্রোঞ্জের খসপর্ণ বৌদ্ধ মূর্তি, স্বর্ণমুদ্রা, সাধা পাথরের ছোট শিব মূর্তিসহ ছাপাঙ্কিত রৌপ্য মুদ্রা, শ্রীলংঙ্কা, ব্রিটিশ ও সুলতানি আমলরে তাম্র মুদ্রাসহ অন্যান্য প্রত্ন নিদর্শন প্রদর্শিত হয়।[৪]
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ "জীর্ণদশায় ফজলুল হকের বাড়ি ও জাদুঘর (ভিডিও)"। ইন্ডিপেন্ডেন্ট২৪। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "শেরে বাংলার প্রতি অবহেলা, মুছে যাচ্ছে স্মৃতিচিহ্নটুকুও"। ঢাকা টাইমস। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
- ↑ "শেরে বাংলা স্মৃতি জাদুঘর"। জাতীয় তথ্য বাতায়ন। বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "অরক্ষিত শেরে-ই বাংলা একে ফজলুল হকের জন্মস্থান"। দৈনিক শিক্ষা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১।