শিশিরকুমার সেন

একজন স্বাধীনতা কর্মী ও নদিয়ার সাহেবনগরের সর্বোদয় সেবক

শিশিরকুমার সেন (১৮৯৬ ― ১২ অক্টোবর, ১৯৭৮) ছিলেন একজন স্বাধীনতা কর্মী ও নদিয়ার সাহেবনগরের সর্বোদয় সেবক। [১]

শিশিরকুমার সেন
জন্ম
শিশিরকুমার সেন

১৮৯৬
মৃত্যু১২ অক্টোবর ১৯৭৮
দাম্পত্য সঙ্গীনিরুপমা দেবী (সেন) (১৮৯৫-১৯৮৪)

সংক্ষিপ্ত জীবনী সম্পাদনা

শিশিরকুমার সেন বৃটিশ ভারতের অধুনা পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার সাহেবনগরে জন্ম গ্রহণ করেন এক ব্রাহ্ম পরিবারে। তিনি বিড়লা গ্রুপ অফ কোম্পানিজের এক সংস্থায় কাজ করতেন। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের তত্ত্বাবধানে বাংলা সাহিত্য ও কবিতার গভীর অনুরাগী নিরুপমা দেবীকে বিবাহ করেন।[২] স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় তিনি মহাত্মা গান্ধীর সংস্পর্শ আসেন। চাকরি ছেড়ে সস্ত্রীক গান্ধীর প্রদর্শিত পথে গঠনমূলক গ্রামসেবায় আত্মনিয়োগ করেন তিনি। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ভারত ছাড়ো আন্দোলনে ডায়মন্ড হারবারের খাদি মন্দিরের অধিকাংশ কর্মী যখন কারারুদ্ধ, তখন তিনি ও তার স্ত্রী ডায়মন্ড হারবারের খাদি মন্দিরের মধুসূদনপুর আশ্রমে এসে বসবাস শুরু করেন ও আশ্রমের কাজ চালিয়ে যান। ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে বাংলার ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের সময় ওই অঞ্চলের দুর্গত মানুষের সর্বতোভাবে সেবা করেন। তার এই সেবাকাজে মধুসূদনপুর অঞ্চলে ব্রাহ্মসমাজ সক্রিয় হয়ে ওঠে। পরবর্তীকালে তারা নদিয়ার সাহেবনগরে ফেরত আসেন এবং একটি কেন্দ্র স্থাপন করে গঠনমূলক কাজ করতেন। নিরুপমা দেবীও সেখানে কস্তুরবা ট্রেনিং কলেজ, পল্লী অনাথ আশ্রম চালু করেন। [২]১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি নদিয়া জেলায় বিনোবা ভাবের ভুদান আন্দোলনের পদযাত্রা করেন এবং তখন থেকেই তিনি জেলায় ভুদান-গ্রামদানের কাজ শুরু করেন। এছাড়াও সর্বোদয় প্রকাশন মণ্ডল গঠন করে তিনি প্রথম বাংলায় সর্বোদয় সাহিত্য প্রচারের ব্যবস্থা করেন।


তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬ পৃষ্ঠা ৭২০, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
  2. সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত (২০১৬)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান (প্রথম খন্ড)। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৩৬৩। আইএসবিএন 978-81-7955-291-9