শাহ মোহাম্মদ মসজিদ
শাহ মোহাম্মদ মসজিদ বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জে অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ; যা ১৬৮০ সালে নির্মিত।[১][২][৩] মোঘল স্থাপত্যরীতি নির্মিত এই মসজিদটির মূল নাম শাহ মাহমুদ মসজিদ, কিন্তু ইউনেস্কো থেকে প্রকাশিত মুসলিম স্থ্যাপত্যের ক্যাটালগে একে "শাহ মোহাম্মদ মসজিদ" হিসাবে নির্দেশ করা হয়েছে।
শাহ মোহাম্মদ মসজিদ (শাহ মাহমুদ মসজিদ) | |
---|---|
شاه محمد مسجد | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°২০′০০″ উত্তর ৯০°৪১′০০″ পূর্ব / ২৪.৩৩৩৩° উত্তর ৯০.৬৮৩৩° পূর্ব | |
অবস্থান | পাকুন্দিয়া, কিশোরগঞ্জ |
মালিকানা | বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর (সরকারি) |
স্থাপত্য তথ্য | |
ধরন | মুঘল স্থাপত্য |
ধারণক্ষমতা | ১০০ |
দৈর্ঘ্য | ৩২ |
প্রস্থ | ৩২ |
গম্বুজ | ১ |
মিনার | ৪ |
অবস্থান সম্পাদনা
এই মসজিদটি ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে মঠখোলা-মির্জাপুর-পাকুন্দিয়া সড়কের পাশে এগারসিন্দুর গ্রামে অবস্থিত।[১]
ইতিহাস সম্পাদনা
মসজিদটির নির্মাতা বণিক শেখ মাহমুদ এবং তার নামেই মসজিদটির পরিচিতি; শেখ মাহমুদের উত্তরসূরিরা বসবাস করেন মসজিদের পাশেই।[২]
বিবরণ সম্পাদনা
চারপাশে আড়াইফুটি দেয়াল ঘেরা একটি উঁচু প্লাটফর্মের উপর ১৬৮০ সালে নির্মিত এই মসজিদটিতে রয়েছে মোঘল শিল্পরীতি ও স্থানীয় শিল্পরীতির নিপুণ সমন্বয়। এক গম্বুজবিশিষ্ট বর্গাকৃতি এই মসজিদের প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্য ৩২ ফুট, যার চার কোণায় আট কোণাকৃতির বুরুজ রয়েছে।[২] মসজিদের ভিতর ও বাইরের রয়েছে পোড়ামাটির চিত্রফলক এবং পূর্বের দেয়ালে ৩টি দরজা ও ছনের কুটীরের ন্যায় অত্যন্ত আকর্ষণীয় একটি পাকা দোচালা ভবন রয়েছে। অনেক আগে মসজিদের চার কোণায় চারটি মূল্যবান প্রস্তর ফলক ছিল যা বর্তমানে লুন্ঠিত।[২]
চিত্রশালা সম্পাদনা
আরও দেখুন সম্পাদনা
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ ক খ এগারসিন্দুর দুর্গ ও শাহ মাহমুদ মসজিদ।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ গ ঘ এগারসিন্দুর শাহ মাহমুদ মসজিদ স্থাপত্য শিল্পের অনন্য নিদর্শন।
- ↑ "পাকুন্দিয়ার শাহ মাহমুদ মসজিদ"। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১৫।