শামীম আরা টলি ছিলেন একজন বাংলাদেশী ক্রীড়াবিদ যাকে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম দ্রুততম মানবী হিসেবে গণ্য করা হয়।[১] ২০১০ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে মরনোত্তর জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান করে।[২]

শামীম আরা টলি
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৭ আগস্ট ১৯৫৭
ঢাকা
মৃত্যু২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১
জাতীয়তাবাংলাদেশী
পেশাক্রীড়াবিদ

জন্ম ও শিক্ষা সম্পাদনা

শামীম আরা টলি ১৯৫৭ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার শান্তিনগরে জন্মগ্রহণ করেন।[৩] তার পিতা ছিলেন ওয়াজেদুল হক খান। ঢাকা স্টাফ ওয়েলফেয়ার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে ১৯৭৩ সালে টি এন্ড টি হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। ১৯৭৫ সালে ইডেন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও ১৯৭৭ সালে জগন্নাথ কলেজ থেকে ডিগ্রি পাশ করেন।

জীবনী সম্পাদনা

শৈশবে তিনি আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবে খেলা শিখেছেন। ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের পাঞ্জাবে অনুষ্ঠিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ১০০ ও ২০০ মিটার দৌড়ে তৃতীয় এবং চতুর্থ ও ১০০ মিটার রিলেতে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। ১৯৭৩ সাল থেকে তিনি বেশ কয়েকবছর জাতীয়ভাবে স্বর্নপদক লাভ করেন।

১৯৭৭ সালের পর তিনি আর কোন খেলা থেকে অবসর নিয়ে কোচিং শুরু করেন। ১৯৯৩ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাফ গেমনসহ বেশ কিছু প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি তিনি সব ধরনের ক্রীড়া থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

১৯৭৮ সালে তিনি আরেক ক্রীড়াবিদ জহরুল হক রতনেকে বিয়ে করেন। তাদের এক মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান আছে। তিনি ২০১১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি কিডনী রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ২০১০ সালে মরনোত্তর জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার লাভ করেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "সংক্ষিপ্ত খবর"The Daily Sangram। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০১৯ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "Bonik Barta"bonikbarta.net। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০১৯ 
  3. ":: Welcome to GUNIJAN :: The Eminent :: Largest electronic journal of bangladeshi eminents :."www.gunijan.org.bd। ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০১৯