শহীদুল হক

বাংলাদেশের ২৫তম পররাষ্ট্র সচিব

শহীদুল হক (জন্ম ৩১ ডিসেম্বর ১৯৫৯) একজন উচ্চপদস্থ বাংলাদেশি সরকারি কর্মকর্তা ও পেশাদার কূটনীতিক যিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২৫তম সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

শহীদুল হক
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব
কাজের মেয়াদ
১০ জানুয়ারি ২০১৩ – ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯
রাষ্ট্রপতিআবদুল হামিদ
প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা
পূর্বসূরীমোহাম্মদ মিজারুল কায়েস
উত্তরসূরীমাসুদ বিন মোমেন
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1959-12-31) ৩১ ডিসেম্বর ১৯৫৯ (বয়স ৬৪)[১]
কোয়েটা, পাকিস্তান[১]
জাতীয়তাবাংলাদেশী
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ফ্ল্যাচার স্কুল অব ল অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাসি
জীবিকাসরকারী কর্মকর্তা

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

শহীদুল ১৯৫৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পাকিস্তানের কোয়েটায় জন্মগ্রহণ করেন।[১] তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।[২] এরপর যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লেচার স্কুল অব ল’ এন্ড ডিপ্লোম্যাসি থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। শিক্ষাজীবনে মেধার কৃতিত্বের জন্য তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর পদক, গ্রান্টস কমিশন পদক, চ্যান্সেলরস গোল্ড মেডেল এবং যুক্তরাষ্ট্রের ‘অনারেবল মেনশন ফর রবার্ট বি. স্টুয়ার্ড পদক’ লাভ করেন।[৩] ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত ও দুই কন্যা সন্তানের জনক।

কর্মজীবন সম্পাদনা

শহীদুল ১৯৮৪ সালে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পররাষ্ট্র ক্যাডার হিসেবে ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন শাখা এবং লন্ডন ও ব্যাংককের বাংলাদেশ মিশনে কাজ করেন।[১] ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি জেনেভাস্থ বাংলাদেশ মিশনের প্রধান হিসেবে, ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার (আইওএম) তেহেরান ও ঢাকার আঞ্চলিক দপ্তর, ২০০৭ থেকে ২০১০ সালে আইওএম-এর কায়রো আঞ্চলিক দপ্তর এবং ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত আইওএম-এর আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও অংশীদারত্ব বিভাগের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১] ২০০৫ সালে তিনি আইওএম-এর ‘মহাপরিচালক পদক’ লাভ করেন।[৩]

২০১২ সালে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারি তাকে বাংলাদেশের ২৫তম পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়।[৩] প্রথমে ভারপ্রাপ্ত সচিব[৪] করা হলেও একই বছরের ১৯ জুলাই সচিব পদে ও ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সরকার তাকে জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে পদোন্নতি প্রদান করে।[২] ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর তার চাকরির মেয়াদ শেষ হলে সরকারে তাকে আরো এক বছরের জন্য একই পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করে।[৫] ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে তিনি অবসরে যান।[৬]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "শহীদুল হকের জীবন বৃত্তান্ত"কমিশনারের কার্যালয়, জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৯ 
  2. "জ্যেষ্ঠ সচিব হলেন শহীদুল হক"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৯ 
  3. "পররাষ্ট্র সচিব জনাব মোঃ শহীদুল হক"পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৯ 
  4. "শহীদুল হক ভারপ্রাপ্তপররাষ্ট্র সচিব"দৈনিক ইত্তেফাক (Bengali ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৯ 
  5. "শহীদুল হক আরও এক বছর পররাষ্ট্র সচিব"ঢাকা ট্রিবিউন। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৯ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  6. "নতুন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯