লাদখ প্রশাসন হলো লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং এর অন্তর্ভুক্ত দুটি জেলার শাসক কর্তৃপক্ষ। প্রশাসনের নেতৃত্বে রয়েছেন দেশের কেন্দ্রীয় সরকারের নিমিত্তে কাজ করার জন্য রাষ্ট্রপতি দ্বারা নিয়োগকৃত একজন উপরাজ্যপাল। লাদখের কোনো নির্বাচিত আইনসভা নেই।[১] লাদাখের দুটি জেলা তাদের নিজস্ব একটি স্বায়ত্তশাসিত জেলা কাউন্সিল নির্বাচন করে যা বিভিন্ন গার্হস্থ্য বিষয়গুলি দেখাশোনার জন্য দায়ী।[২]

লাদাখ সরকার
সরকারের আসনলেহ, কার্গিল
কার্যনির্বাহী
রাজ্যপালউপরাজ্যপাল আরকে মাথুর
প্রধান সচিব রিগজিন সামফিয়াল
আইনসভা
বিধানসভা
  • কিছু নেই
বিচার বিভাগ
উচ্চ আদালতজম্মু ও কাশ্মীর উচ্চ আদালত
প্রধান বিচারপতিগীতা মিত্তাল

ইতিহাস সম্পাদনা

লাদাখ ১৯৪৭ সালের ২শরা অক্টোবর জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের একটি অঞ্চলে পরিণত হওয়ার মাধ্যমে ভারত অধিরাজ্যের একটি অংশ হয়ে যায়। এই অঞ্চলটির স্থিতি ফেব্রুয়ারি ২০১৯ এ জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের একটি রাজস্ব এবং প্রশাসনিক বিভাগে উন্নীত করা হয়[৩] এবং পরবর্তিতে ৩১শে অক্টোবর ২০১৯ নাগাদ লাদাখ একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলরূপে বিবর্তিত হয়।[৪]

কার্যনির্বাহী এবং আইনি কর্তৃপক্ষ সম্পাদনা

ভারতীয় সংবিধানের A|২৪০ (২) অনুচ্ছেদে তথা জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন, ২০১৯ এর শর্তাবলী অনুযায়ী লাদাখ একটি বিধানসভা ব্যতীত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে পরিচালিত হয়। লাদখের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটি অনুচ্ছেদ ২৩৯ এর অধীন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্বারা নিয়োগকৃত একজন উপরাজ্যপাল দ্বারা পরিচালিত হবে। ২৪০ অনুচ্ছেদের অধীনে, রাষ্ট্রপতি লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের শান্তি, অগ্রগতি এবং সুশাসনের জন্য বিধি প্রণয়ন করতে পারেন। লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক নিযুক্ত উপদেষ্টা দ্বারা সহায়তা করা হবে।[৫]

বিচার ব্যবস্থা এবং আইন প্রয়োগকারী সম্পাদনা

লাদাখ জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জম্মুশ্রীনগর এই দুটি নগর হইতে কর্তব্যনির্বাহ করা জম্মু ও কাশ্মীর উচ্চ আদালতের আওতাধীন।[৬] আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে রয়েছে লাদাখ পুলিশ যেটি ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তৃত্বাধীন।[৭]

অফিসধারীরা সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা