রোজি পামার হত্যাকাণ্ড

রোজি পামার হত্যার ঘটনা ১৯৯৪ সালের ৩০শে জুন ইংল্যান্ডের হার্টলপুল, কাউন্টি ডারহামে ঘটেছিল।[১] তিন বছর বয়সী রোজ ফ্রান্সিস পামার (১ আগস্ট ১৯৯০ - ৩০শে জুন ১৯৯৪) তার বাড়ি থেকে মাত্র ২০ মিটার দূরে একটি আইসক্রিম ভ্যান থেকে একটি আইস পপ কেনার পর অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যা শিকার হন।[২] ১৯৯৪ সালের ৩ জুলাই তার নিজের বাড়ি থেকে ৫০ মিটার দূরে একটি বাড়িতে তার আংশিক পোশাক পরিহিত ও বিকৃত দেহ পাওয়া যায়।[৩] এটি জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশ কর্তৃক তৃতীয়বারের মতো পরিদর্শন ও দ্বিতীয়বার অনুসন্ধান করা হয়েছিল।[৪] দখলদার ছিলেন শন আর্মস্ট্রং, যার মানসিক সমস্যার ইতিহাস ছিলেন এবং পাড়ায় তিনি ব্যাপকভাবে অপছন্দের ব্যক্তি ছিলেন, যেখানে তিনি "টনি দ্য পারভার্ট" নামে পরিচিত ছিলেন।[৫] ১৯৩৩ সালের মার্চ মাসে একজন সমাজকর্মী সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে আর্মস্ট্রং "যে কোনো সন্তানের সংস্পর্শে আসলে তার জন্য ঝুঁকি হতে পারে" কিন্তু ক্লিভল্যান্ড কাউন্টি কাউন্সিল রিপোর্ট অনুযায়ী কাজ করতে ব্যর্থ হয়।[৬] ১৯৯৫ সালের ২৭ জুলাই পামারের হত্যার জন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।[৩]

একক পুরুষদের জন্য সামাজিক আবাসন নীতি, সরকারি সংস্থার মধ্যে যোগাযোগ, মানসিক যত্নের মান ও পুলিশের অনুসন্ধান অভিযানের আচরণ সহ বেশ কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।[৪][৬][৭] [৮] অপরাধের ধরন এবং ভুক্তভোগীর বয়স জনসাধারণের ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঢেউ সৃষ্টি করে এবং স্থানীয় পরিষদে হুমকি ও সহিংসতাও নির্দেশিত হয়।[৯] [১০] আর্মস্ট্রংকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নিযুক্ত প্রথম সলিসিটর এই মামলা থেকে সরে আসেন, এই বলে যে "আমার কর্মীদের চিন্তা করার আছে।"[১১] ২০১০ সালে মামলাটি আবার সংবাদমাধ্যমের প্রচারণা আকর্ষণ করতে শুরু করে, যখন এটি প্রকাশ করা হয় যে আর্মস্ট্রংকে ২০১১ সালে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু সেক্স অফেন্ডার্স রেজিস্টারে স্বাক্ষর করা থেকে অব্যাহতি পাবেন - খুন হওয়া সত্ত্বেও যেটি রেজিস্টার তৈরির দিকে পরিচালিত হয়েছিল - কারণ তার উপর কখনও আনুষ্ঠানিকভাবে যৌন অপরাধের অভিযোগ আনা হয়নি।[১][১২] কাউন্সিলর কেভিন কেলি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে সময় অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও মামলাটি সম্পর্কে সম্প্রদায়ের অনুভূতি এখনও খুব শক্তিশালী এবং তিনি বলেছেন: "যদি সে এখানে ফিরে আসে তবে তাকে গণপিটুনি দেওয়া হবে।"[১৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Corrigan, Naomi (১১ জুন ২০১০)। "Mum of Rosie Palmer tells of 16 year legal battle for justice"Evening Gazette। Middlesbrough। সংগ্রহের তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১০ 
  2. Palmer v Tees Health Authority & Anor [1999] EWCA Civ 1533
  3. Alderson, Kate (২৮ জুলাই ১৯৯৫)। "Man pleads guilty to murder of girl, 3"The Times। London। পৃষ্ঠা 1। 
  4. Wilkinson, Paul; Alderson, Kate (২৮ জুলাই ১৯৯৫)। "Police explain delay in arresting girl's killer"The Times। London। পৃষ্ঠা 1। 
  5. Wainwright, Martin (২৮ জুলাই ১৯৯৫)। "Child's 'depraved' killer jailed for life"। The Guardian। London। পৃষ্ঠা 7। 
  6. Hetherington, Peter (১৪ জুন ১৯৯৬)। "Social worker's warning on killer 'not passed on'"। The Guardian। London। পৃষ্ঠা 5। 
  7. Cooper, Glenda (৯ জানুয়ারি ১৯৯৭)। "This man is a convicted sex offender: Should he be denied somewhere to live?"। The Independent। London। পৃষ্ঠা 4। 
  8. Cooper, Glenda (১৪ জুন ১৯৯৬)। "Rosie report a 'whitewash'"। The Independent। London। পৃষ্ঠা 2। 
  9. Ford, Richard (৬ জুলাই ১৯৯৪)। "Crowd vents anger at Rosie remand"। The Times। London। 
  10. Wainwright, Martin (১৩ জুলাই ১৯৯৪)। "Docks estate grieves for murdered 3-year-old"। The Guardian। London। 
  11. "Solicitor quits case"। The Times। London। ৮ জুলাই ১৯৯৪। 
  12. Corrigan, Naomi (১৫ মার্চ ২০১০)। "Mum's battle to make killer sign register"। Evening Gazette। Middlesbrough। পৃষ্ঠা 4। 
  13. Paylor, Naomi (১১ মে ২০০৬)। "If he came back here he would be lynched"। Evening Gazette। Middlesbrough। পৃষ্ঠা 15।