রেতনো লেসতারি প্রিয়ানসারি মারসুদী (জন্ম ২৭ নভেম্বর ১৯৬২) হচ্ছেন ইন্দোনেশিয়ার একজন রাষ্ট্রদূত এবং বর্তমান মন্ত্রীসভায় ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এই পদে নিযুক্ত প্রথম মহিলা মন্ত্রী।[১] ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি নেদারল্যান্ডস -এ ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত এবং ২০০৫ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আইসল্যান্ড এবং নরওয়ে-এ ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।[২]

রেতনো মারসুদী
১৭তম ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২৭ অক্টোবর ২০১৪
রাষ্ট্রপতিজোকো উইদোদো
পূর্বসূরীমার্টি নাটালেগাওয়া
নেদারল্যান্ডস-এ ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত
কাজের মেয়াদ
১৩ই জানুয়ারি ২০১২ – ১৬ই জানুয়ারি ২০১৫
রাষ্ট্রপতিসুসিলো বামবাং ইয়ুধনো
আইসল্যান্ড-এ ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত
কাজের মেয়াদ
২০০৫ – ২০০৮
রাষ্ট্রপতিসুসিলো বামবাং ইয়ুধনো
নরওয়ে-এ ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত
কাজের মেয়াদ
২০০৫ – ২০০৮
রাষ্ট্রপতিসুসিলো বামবাং ইয়ুধনো
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মরেতনো লেসতারি প্রিয়ানসারি মারসুদী
(1962-11-27) ২৭ নভেম্বর ১৯৬২ (বয়স ৬১)
সামারাং, ইন্দোনেশিয়া
রাজনৈতিক দলnon-partisan
দাম্পত্য সঙ্গীআগুস মারসুদী
সন্তানদায়োতা
বাগাস
প্রাক্তন শিক্ষার্থীএসএমএ ৩ সামারাং গাদজাহ মাদা বিশ্ববিদ্যালয় (এস.আই.পি.)
হ্যাগ ইউনিভার্সিটি অফ আপ্লাইড সাইন্স (এলএল.এম.)

প্রারম্ভের জীবন সম্পাদনা

মারসুদী সামরাং-এ জন্মেগ্রহণ করেছেন, এসএমএ ৩ সামারাং থেকে তিনি স্নাতক হন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কে তার পড়ালেখা অব্যাহত রাখেন এবং ১৯৮৫-এ , গাদজাহ মাদা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেন। হ্যাগ ইউনিভার্সিটি অফ আপ্লাইড সাইন্স থেকে ইন্টারন্যাশনাল ইউরোপীয় আইন ও নীতিমালায় মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেনন এবং তারপর নেদারল্যান্ড ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস ক্লিংজেন্ডেল থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণ করেন।[৩]

কর্মজীবন সম্পাদনা

রেতনো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। ১৯৯৭ থেকে ২০০১ এর মধ্যে, নেদারল্যান্ডসের হেগের ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাসে মারসুদী অর্থনৈতিক বিষয়ক প্রথম সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১-এ, তিনি ইউরোপ ও আমেরিকা বিষয়ক পরিচালক হিসাবে নিযুক্ত হন।[৪] ২০০৩ সালে মারসুদী পশ্চিম ইউরোপ বিষয়ক পরিচালক পদে উন্নীত হন।[৫]

২০০৫-এ, তিনি নরওয়ে এবং আইসল্যান্ড-এ ইন্দোনেশিয় রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন।[৪] তার কর্মজীবনের সময়ে, তিনি ২০১১ সালের ডিসেম্বরে রয়্যাল নরওয়েজিয়ান অর্ডার অফ মেরিট ভূষিত হন, প্রথম ইন্দোনেশিয়ান হিসেবে তিনি এই পুরস্কার লাভ করেন।[৬] তিনি অল্প সময়ের মধ্যে ওসলো বিশ্ববিদ্যালয়-এর মানবাধিকার বিষয়ে গবেষণা করেছিলেন। মারসুদি জাকার্তা ফিরে এসে ইউরোপীয় ও আমেরিকান বিষয়ক মহাপরিচালক নিযুক্ত হন।

২০১২ সালে নেদারল্যান্ডসে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হিসেবে মারসুদীকে নিযুক্ত করা হয়।[৪] তিনি ইইউ, এএসইএম, এবং ফোরাম অফ ইস্ট এশিয়া-ল্যাটিন আমেরিকা কোঅপারেশন -এর বিভিন্ন বহুপাক্ষিক ও দ্বিপক্ষীয় আলোচনা পরিচালনা করেছেন।[৪] ২৭ অক্টোবর ২০১৪-এ, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোকো উইদোদো তাকে মন্ত্রীসভায় পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন।[৭]

সম্মননা সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Joko Widodo appoints Indonesia's first female foreign minister, Retno Marsudi"The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০১৫ 
  2. "Ambassador Retno Marsudi to Strengthen Indonesia-Netherlands Special Ties"Embassy of the Republic of Indonesia, The Hague। ২০১২-০১-১৩। ২০১৬-০৯-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-০৪ 
  3. http://www.thejakartapost.com/news/2014/10/31/ri-dutch-extend-diplomatic-training-2016.html
  4. "Retno Marsudi named foreign affairs minister"antaranews.com। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৫ 
  5. "Menlu Retno Marsudi Sudah Siapkan Program Kerja"kompas.com। ২০ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৫ 
  6. "Retno Marsudi, Menlu Perempuan Pertama Indonesia"bisnis.com। ১১ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৫ 
  7. "Delapan "Srikandi" di Kabinet Kerja Diapresiasi"kompas.com। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৫ 
  8. "Marsudi receives medal of merit from Peru - ANTARA News"Antara News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৮ 

External links সম্পাদনা

রাজনৈতিক দপ্তর
পূর্বসূরী
মার্টি নাটালেগাওয়া
পররাষ্ট্র মন্ত্রী
২০১৪–বর্তমান
নির্ধারিত হয়নি

টেমপ্লেট:Foreign Ministers of Indonesia টেমপ্লেট:ASEAN Foreign টেমপ্লেট:APEC Foreign Ministers টেমপ্লেট:G20-Foreign