রুহুল ইসলাম বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।[১][২]

রুহুল ইসলাম
Ruhul Islam
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি
ব্যক্তিগত বিবরণ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
বাসস্থানবাংলাদেশ
জীবিকাবিচারক

কর্মজীবন সম্পাদনা

১৯৭৬ সালে সামরিক আইনের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টকে দুই ভাগে ভাগ করা হয় এবং ইসলামকে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করা হয়। তিনি ১৯৭৭ সালে সামরিক আইনের আদেশে আদালতগুলো আবার একীভূত করা পর্যন্ত সেই পদে দায়িত্ব পালন করেন।[৩]

১৯৭৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর সামরিক শাসনের সময় প্রধান বিচারপতি কামালউদ্দিন হোসেন, বিচারপতি ফজলে মুনিম, রুহুল ইসলাম এবং কে এম সুবহান এক রায়ে জারি করেন যে সামরিক আইন ট্রাইব্যুনালের রায়কে কোনো আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না। তবে বিচারপতি সুবহান এতে ভিন্নমত পোষণ করেন।[৪] ২০১২ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের রায়টি বাতিল করা হয়।[৪]

৩ মার্চ ১৯৭৯ তারিখে, বিচারপতি আবদুল মুমিত চৌধুরী, আহসান উদ্দিন চৌধুরী, দেবেশ ভট্টাচার্য, সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী এবং সৈয়দ এবি মাহমুদ হোসেনের সাথে তাকেও জেনারেল জিয়াউর রহমান সুপ্রিম কোর্ট থেকে অপসারণ করেন।[৫]

১৯৮১ সালে, ইসলাম জেনারেল মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর হত্যার তদন্তের নেতৃত্ব দেন যিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ করেছিলেন।[৬]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Liton, Shakhawat (২০১৪-০৫-৩০)। "BNP couldn't care less"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২৮ 
  2. Mahmud, Talukdar Rasel (২০১৪-০১-১৪)। "Judicial role in Constitutional supremacy"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২৮ 
  3. কাজী এবাদুল হক (২০১২)। "প্রধান বিচারপতি"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  4. Manik, Julfikar Ali; Sarkar, Ashutosh (২০১২-১২-২১)। "SC lambasts judges in past cases"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২৮ 
  5. "Judges, Justice and Democracy | Daily Sun"daily sun (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২৮ 
  6. Liton, Shakhawat; Halder, Chaitanya Chandra (২০১৪-০৪-২৮)। "Drama over enquiry"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২৮