ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে প্রাচীন ঐতিহ্যের এক নিদর্শন রামরাই দিঘি। প্রাচীন জলাশয়গুলির মধ্যে বৃহত্তম রামরাই দিঘি। এর আয়তন প্রায় ৪২ একর।

রামরাই দিঘি
অবস্থানরানীশংকৈল, ঠাকুরগাঁও
অববাহিকার দেশসমূহবাংলাদেশ

ইতিহাস সম্পাদনা

এটি ঠাকুরগাঁও জেলার সবচেয়ে প্রাচীন ও বৃহত্তম দিঘী । এর সঠিক ইতিহাস এখনো জানা যায় নি। ধারণা করা হয় দিঘিটি পাঁচশ থেকে হাজার বছরের পুরাতন হতে পারে। একসময় এই দীঘি ছিল এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের পানির চাহিদা পূরণের উৎস। এ দিঘিকে ঘিরে নানা লোককথা শোনা যায়। রামরাই দিঘির নামকরণ করা হয় রানি সাগর (২০০২)। [১]

অবস্থান সম্পাদনা

রামরাই দিঘি ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলা সদর থেকে ৪ কিঃ মিঃ দূরত্বে অবস্থিত। পদমপুর ও উত্তরগাঁও গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে এটি অবস্থিত। [২]

পর্যটন সম্পাদনা

এর চারপাশে প্রায় ১২০০এর অধিক লিচু গাছ সহ অন্যান্য গাছ লাগানো হয়েছে।চারিদিকে যেন সবুজের বিশাল সমারোহ আর দিঘীর টলটলে জলরাশি মুগ্ধ করে দর্শনার্থীদের। এক অপরূপ সৌন্দর্য বিরাজ করছে দিঘির চারপাশ জুড়ে এছাড়া বিভিন্ন বর্ণালী পাখির কুজন রামরাই-এর সৌন্দর্যকে আরো অধিক আকর্ষণীয় করে তুলে। শীতের সময় লাখ লাখ অতিথি পাখির দেখা মিলে এখানে। তাদের কিচির মিচির শব্দে পুরো এলাকা মুখরিত হয়ে যায়। অনেকেই পাখিরাজ্য বলে আখ্যাইত করে থাকে।[৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "রামরাই"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২২ জানুয়ারি ২০১৭। ২০১৬-১২-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-১১ 
  2. "শীতের পাখিরাজ্য রামরাই দীঘি"সমকাল। ২২ জানুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-১১ 
  3. "অতিথি পাখির দল রামরাই দিঘিতে"বাংলাদেশ প্রতিদিন। প্লট নং-সি/৫২, ব্লক-কে, বসুন্ধরা, খিলক্ষেত, বাড্ডা, ঢাকা-১২২৯। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-১১