রানা প্লাজা (চলচ্চিত্র)
রানা প্লাজা হলো অ-মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন নজরুল ইসলাম খান এবং এম এ মাল্টিমিডিয়া হাউজের ব্যানারে প্রযোজনা করেছেন শামীমা আক্তার। ২০১৩ সালে সাভারের রানা প্লাজা ধসের ১৭ দিন পর ধ্বংসস্তূপ থেকে পোশাককর্মী রেশমাকে উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে নির্মিত হয় চলচ্চিত্রটি। এতে রেশমা চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরিমনি এবং তার বিপরীতে টিটু চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাইমন সাদিক।[১]
রানা প্লাজা | |
---|---|
পরিচালক | নজরুল ইসলাম খান |
প্রযোজক | শামীমা আক্তার |
রচয়িতা | মুজতবা সউদ |
উৎস | ২০১৩ সালে (সাভারে) রানা প্লাজা ভবন ধস |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | আলী আকরাম শুভ |
চিত্রগ্রাহক | এ এইচ স্বপন |
সম্পাদক | জিন্নাত হোসেন |
প্রযোজনা কোম্পানি | এম এ মাল্টিমিডিয়া হাউজ |
পরিবেশক | এম এ মাল্টিমিডিয়া হাউজ |
স্থিতিকাল | ১৩৭ মিনিট |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
কাহিনি সংক্ষেপ সম্পাদনা
গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারের মেয়ে রেশমা। তাঁকে ভালোবাসে প্রতিবেশী যুবক টিটু। কিন্তু টিটু তাদের চেয়ে অবস্থাপন্ন বলে তার প্রস্তাবে সায় দিতে চায় না রেশমা। টিটুও হাল ছাড়ার পাত্র নয়। এক দুর্ঘটনায় টিটু রেশমাকে উদ্ধার করে। তখন রেশমা সাড়া দেয় তার প্রস্তাবে।
এর কিছুদিন পর বিয়ে করে টিটু ও রেশমা। তারা ঢাকায় চলে আসে। তখন এক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে টিটু। পরিবারের দায়িত্ব মাথায় তুলে নিয়ে রেশমা যোগ দেয় এক পোশাক কারখানায়। রেশমার চাকরিতে যোগদানের ব্যাপারটি সহজে মেনে নিতে পারে না পুরুষশাসিত সমাজ। এ নিয়ে নানা জটিলতার মধ্যে ঘটে যায় রানা প্লাজার দুর্ঘটনা।[২]
অভিনয় সম্পাদনা
- সাইমন সাদিক - টিটু
- পরিমনি - রেশমা বেগম
- আবুল হায়াত
- মিজু আহমেদ
- কাবিলা
- হাবিব খান
- শিরিন আলম
নির্মাণ সম্পাদনা
২০১৪ সালের জানুয়ারিতে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ কাজ শুরু হয়।[২]
নিষেধাজ্ঞা সম্পাদনা
প্রায় আট মাস সেন্সর বোর্ডে আটকে থাকার পর হাইকোর্টের রায় নিয়ে ১১ জুলাই ২০১৫ সালে ছবিটি ছাড়পত্র পায়।[৩] এরপর ছবির মুক্তির দিনক্ষণ ঠিক হয় ২০১৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর। তবে গার্মেন্ট মালিক লীগের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৪ আগস্ট রানা প্লাজা ধসের ঘটনা নিয়ে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনী ও সম্প্রচারে ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে উচ্চ আদালত।[৩] এরপর ২০১৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনী ও সম্প্রচারে উচ্চ আদালতের দেওয়া ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা খারিজ করে দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।[৪] পরে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় ছবিটি ১১ সেপ্টেম্বর মুক্তি দেয়ার প্রস্তুতি নেয় ছবিটির প্রযোজক ও পরিচালক। কিন্তু এর আগেই ১০ সেপ্টেম্বর আবারো নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে ছবিটি।[৫]
২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি ‘রানা প্লাজা’ প্রদর্শনের ওপর আবার নিষেধাজ্ঞা দেয় বাংলাদেশ সরকার। সরকারের তথ্য বিবরণীতে বলা হয়ে "সেন্সর আপিল কমিটি কর্তৃক জনসম্মুখে প্রদর্শনের উপযোগী নয় বলে বিবেচিত হওয়ায় চলচ্চিত্রটি সেন্সর সনদ বিহীন ঘোষণা করা হয়েছে"।[৬] ২০২১ অনুসারে চলচ্চিত্রটি এখনো মুক্তি পায়নি।[৭]
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ "রানা প্লাজায় পরিমনি!"। CampusLive24.com। ২০২১-০৬-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-২৪।
- ↑ ক খ "অভিনয়ের প্রমাণ দিয়েছি 'রানা প্লাজা'য় : পরীমনি"। এনটিভি। ২০১৫-০৬-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-২৪।
- ↑ ক খ "মুক্তির আগে নিষেধাজ্ঞার কবলে 'রানা প্লাজা'"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১।
- ↑ "শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে 'রানা প্লাজা'"। এনটিভি। ২০১৫-০৯-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-২৪।
- ↑ "আবারো আটকে গেলো `রানা প্লাজা`"। jagonews24.com। ৩ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ "রানা প্লাজা চলচ্চিত্র প্রদর্শনে আবারো নিষেধাজ্ঞা"। BBC News বাংলা। ৬ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "'রানা প্লাজা আমাকে ধ্বংস করে দিয়েছে'"। risingbd.com। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১।