রসময় মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়

রসময় মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় হচ্ছে বাংলাদেশের সিলেট জেলার একটি পুরোনো এবং ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সিলেট শহরের দাড়িয়াপাড়া এলাকায় বিদ্যালয়টি অবস্থিত। ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যালয়টি ১৯৩০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

রসময় মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়
অবস্থান
মানচিত্র

তথ্য
ধরনপ্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়
প্রতিষ্ঠাকাল১৯৩০
শিক্ষার্থী সংখ্যা১৩০০
ক্যাম্পাসশহর
ডাকনামরসময় স্কুল

প্রতিষ্ঠার পটভূমি সম্পাদনা

উনিশ শতকে ব্রিটিশবিরোধী "ভারত ছাড়" আন্দোলনের সময় তদানিন্তন জনশিক্ষা পরিচালক ক্যানিংহাম বিজ্ঞপ্তি জারি করেন যে, সরকারী মাধ্যমিক স্কুলে পড়তে হলে অভিভাবকদের জামিন দিতে হবে যে, তাদের সন্তানরা ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিবে না। তখন সিলেটের দুর্গাকুমার পাঠশালায় কিছু সমাজসেবী আইনজীবীদের সহায়তায় পিপলস একাডেমী নামে একটি প্রাতঃকালীন বিদ্যালয় চালু করা হয়। বিদ্যালয়টি যে জায়গায় স্থানান্তরিত করা হয় সে ভিটা ছিল আইনজীবী প্যারিমোহন দাসের। প্যারীমোহন দাসের উক্ত ভিটা সিলেট টাউন ব্যাংক কর্তৃক বন্ধক থাকায় তার মৃত্যুর পর তা নিলামে তুলা হয়। শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে জগন্নাথপুর উপজেলার বিশিষ্ট জমিদার ব্রজেন্দ্র নারায়ন চৌধুরী উক্ত জায়গা ক্রয় করে তার পিতার(রসময় চৌধুরী) নামে উৎসর্গ করেন এবং নামকরন করেন "রসময় মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়"।

ক্যাম্পাস সম্পাদনা

রসময় মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় নিজস্ব ০.৮৬৩৪ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। ভবন সংখ্যা ৪টি, বিজ্ঞানাগার, কম্পিউটার ল্যাব, লাইব্রেরি, ছাত্রী মিলনায়তন, শিক্ষক মিলনায়তন, বিএনসিসি কক্ষ ছাড়াও শ্রেনিকক্ষ রয়েছে মোট ২২টি। ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেনি পর্যন্ত তিনটি করে শাখা চালু আছে। বিজ্ঞান, মানবিক এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষিকার সংখ্যা ২২জন।

পোশাক সম্পাদনা

স্কুল ব্যাজসহ সাদা শার্ট এবং কালো প্যান্ট, সাদা রঙের পিটি সু(কেডস) এবং শীতে নেভি ব্লু সোয়েটার।

খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম সম্পাদনা

রসময় স্কুলে প্রতিবছর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

বিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ এর অনুষ্ঠান প্রতিবছর বেশ জাকজমকভাবে উদযাপিত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন বিশেষ দিবসে বিদ্যালয় র‍্যালি সহ বিভিন্ন আয়োজন করে থাকে।

উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী সম্পাদনা


তথ্যসূত্র সম্পাদনা