রঘুবীর গদ্যম্ ( সংস্কৃত: रघुवीरगद्यम् ) বা মহাবীর বৈভবম্ হলো হিন্দু দার্শনিক বেদান্ত দেশিক লিখিত একটি সংস্কৃত স্তোত্র[১] ৯৬টি শ্লোকের সমন্বয়ে রঘুবীর গদ্যম স্তোস্ত্রে রামের প্রশংসা করা হয়েছে । স্তোত্রটি কাঠোরা-সুকুমার কাব্যিক শৈলীতে রচিত মহাকাব্য রামায়ণের বিভিন্ন পর্বের বর্ণনা দিয়েছে। [২]

রঘুবীর গদ্যম
১৯ শতাব্দীর রামের চিত্রকর্ম, ন্যাশনাল মিউজিয়াম, নয়া দিল্লী
তথ্য
ধর্মহিন্দুধর্ম
রচয়িতাবেদান্ত দেশিক
ভাষাসংস্কৃত
শ্লোক৯৬

নামব্যুৎপত্তি সম্পাদনা

রঘুবীর হল রামের একটি উপাধি যার [৩] আক্ষরিক অর্থ " রঘু বংশের নায়ক"। গদ্যম্ হল সংস্কৃত সাহিত্যে ব্যবহৃত গদ্যের একটি রূপ। [৪]

বর্ণনা সম্পাদনা

বেদান্ত দেশিক যখন তিরুবহিন্দ্রপুরমে অবস্থিত দেবনাথস্বামী মন্দির পরিদর্শন করেছিলেন, তখন এই গদ্যটি রচনা করেন বলে মনে করা হয়। [৫] মন্দিরদেবতার ব্রহ্মোৎসবের সময় স্তোত্রটি পাঠ করা হয়। রামানুজের শ্রীরঙ্গ গদ্যম্ এই স্তোত্রের জন্য একটি অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করেছিল। [৬]

স্তব সম্পাদনা

স্তোত্রের প্রথমে রামের প্রশংসা করা হয়েছে:[৭]

জয় জয় মহাবীর মহাধীর ধৌরেয়,
দেবাসুর সমর সময় সমুদিত নিখিল নির্জর নির্ধারিতনিরবাদিকমাহাত্ম্য,
দশবদন দমিত দৈবত পরিষদ অভ্যর্থীত দাশরথি ভাব,
দিনকর কুল কমল দিবিষদধিপতি রণ সহচরণ চতুর দশরথ চরমর্হণ বিমোচন,
কোশল সুত কুমার ভব কঞ্চুচিত কারণাকার,
কৌমার কেলি গোপায়িত কৌশিকাধ্বর,
রণা ধ্বর ধৌর্য্য ভব্য দিব্যাস্ত্র বৃদ্ধ বন্দিত ,
প্রণত জন বিমত বিমথন ধুর্ললিতা ধোর্ললিতা
তনুতর বিশিখ বিতাড়ন বিঘাতিত বিশরারু শরারু তাড়কা তাড়কেয়'

— রঘুবীর গদ্যম্

জয়, জয়, হে মহান বীর, তুমি বীরদের মাঝে অগ্রগণ্য,
যার অতুলনীয় বীরত্ব দেবাসুর সাথে যুদ্ধের সময় প্রশংসিত হয়েছিল,
যিনি দশরথের পুত্র হয়েছিলেন দেবতাদের অনুরোধে, যারা দ্বারা দশবদন রাবণ যন্ত্রণাপ্রাপ্ত হয়েছিল
যিনি সূর্য রাজবংশের সূর্যকমলস্বরূপ,
যিনি দশরথের ঋণ দূর করেছিলেন, যিনি ইন্দ্রকে তাঁর যুদ্ধে সাহায্য করেছিলেন,
যিনি কোশলকন্যার রাজকুমার হয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তার জন্মের কারণ গোপন রেখেছিলেন,
যিনি বিশ্বামিত্রের আচারিক হোমকে শিশুর খেলার মতো রক্ষা করেছিলেন,
আপনার নির্দেশে ঐশ্বরিক তীরসমূহ অভিবাদন করে যুদ্ধে আপনাকে,
যার ভয়ঙ্কর স্কন্ধ জ্বলজ্বল করে, আপনাকে অভিবাদন জানায় যারা শত্রুদের ধ্বংসের দিকে পরিচালিত করে,
যিনি তাড়কাকে হত্যা করতে ও তার পুত্রদের অপমান করার জন্য ছোট তীর ব্যবহার করেছিলেন, এবং তাদের অধিক যন্ত্রণা থেকে বিরত রেখেছিলেন।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. University, Vijaya Ramaswamy, Jawaharlal Nehru (২০০৭-০৫-২২)। Historical Dictionary of the Tamils (ইংরেজি ভাষায়)। Scarecrow Press। পৃষ্ঠা 301। আইএসবিএন 978-0-8108-6445-0 
  2. Narasimhachary, Mudumby (২০০৪)। Śrī Vedānta Deśika (ইংরেজি ভাষায়)। Sahitya Akademi। পৃষ্ঠা 33। আইএসবিএন 978-81-260-1890-1 
  3. Hertel, Bradley R.; Humes, Cynthia Ann। Living Banaras: Hindu Religion in Cultural Context (ইংরেজি ভাষায়)। State University of New York Press। পৃষ্ঠা 281। আইএসবিএন 978-1-4384-0661-9 
  4. Datta, Amaresh (১৯৮৮)। Encyclopaedia of Indian Literature: Devraj to Jyoti (ইংরেজি ভাষায়)। Sahitya Akademi। পৃষ্ঠা 1338। আইএসবিএন 978-81-260-1194-0 
  5. Rangarajan, Prof G. (২০২৩-০২-২৭)। Footprints In The Sands Of Time - Vedantha Desika (ইংরেজি ভাষায়)। Pustaka Digital Media। পৃষ্ঠা 36। 
  6. Dr.Satyavrata Singh (১৯৫৮)। Vedanta Desika (English ভাষায়)। পৃষ্ঠা 61। 
  7. SUVRATSUT (২০১৭-০৯-০৭)। Raghuveera Gadyam Eng