মোহাম্মদ তৈয়ব আলী
মোহাম্মদ তৈয়ব আলী (জন্ম: ১৯৪৪ - মৃত্যু: ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৯৫) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে।[১]
মোহাম্মদ তৈয়ব আলী | |
---|---|
জন্ম | ১৯৪৪ |
মৃত্যু | ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৯৫ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
পরিচিতির কারণ | বীর প্রতীক |
জন্ম ও শিক্ষাজীবন সম্পাদনা
মোহাম্মদ তৈয়ব আলীর জন্ম ঢাকায় তার বাবার নাম সোনা মিয়া এবং মায়ের নাম জোহরা বিবি। তার স্ত্রীর নাম হাজেরা বেগম। তাদের তিন ছেলে, তিন মেয়ে। [২]
কর্মজীবন সম্পাদনা
মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে বিভিন্ন ধরতাম ছোট ছোট কাজ করতেন মোহাম্মদ তৈয়ব আলী। ঢাকা শহরে তিনি ফল ফেরি করে বিক্রি করতেন। মে মাসের শেষে একটানা হেঁটে যান ভারত। হাতীমারা ক্যাম্পে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেন।
মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা সম্পাদনা
মুক্তিবাহিনীর ২ নম্বর সেক্টরের ঢাকার গেরিলা দলের সদস্য ছিলেন মো. তৈয়ব আলী। ঢাকা মহানগরের মাদারটেক ও আশপাশে বেশ কয়েকটি গেরিলা অপারেশনে অংশ নেন তিনি। এর মধ্যে একটি ছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গানবোটে আক্রমণ। এছাড়াও নির্দিষ্ট অনেকগুলো যুদ্ধে সাহসিকতার সাথে মোকাবেলা করেন মোহাম্মদ তৈয়ব আলী। [৩]
পুরস্কার ও সম্মাননা সম্পাদনা
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ "দৈনিক প্রথম আলো, "তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না" | তারিখ: ০৩-০৩-২০১২"। ২০১৯-১০-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০২-০৫।
- ↑ একাত্তরের বীরযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় জীবনগাঁথা, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা স্মারকগ্রহন্থ। জনতা ব্যাংক লিমিটেড। জুন ২০১২। পৃষ্ঠা ৫৭৪। আইএসবিএন 9789843351449।
- ↑ একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা (দ্বিতীয় খন্ড)। ঢাকা: প্রথমা প্রকাশন। মার্চ ২০১৩। পৃষ্ঠা পৃ ২৮৭। আইএসবিএন 9789849025375।
পাদটীকা সম্পাদনা
- এই নিবন্ধে দৈনিক প্রথম আলোতে ১৩-০২-২০১২ তারিখে প্রকাশিত তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না প্রতিবেদন থেকে লেখা অনুলিপি করা হয়েছে। যা দৈনিক প্রথম আলো ক্রিয়েটিভ কমন্স অ্যাট্রিবিউশন-শেয়ার-এলাইক ৩.০ আন্তর্জাতিক লাইসেন্সে উইকিপিডিয়ায় অবমুক্ত করেছে (অনুমতিপত্র)। প্রতিবেদনগুলি দৈনিক প্রথম আলোর মুক্তিযুদ্ধ ট্রাস্টের পক্ষে গ্রন্থনা করেছেন রাশেদুর রহমান (যিনি তারা রহমান নামেও পরিচিত)।