মোস্তফা রশিদ পাশা (তুর্কি : Koca Mustafa Reşid Paşa) (১৩ মার্চ, ১৮০০ – ১৭ ডিসেম্বর, ১৮৫৮) ছিলেন উসমানীয় রাজনীতিক ও কূটনীতিক।

কোজা
মোস্তফা রশিদ
Principal architect of Tanzimat
Edict of Gülhane
(The Ottoman Imperial Edict of Reorganization, proclaimed on 3 November 1839)
Grand Vizier of the Ottoman Empire
কাজের মেয়াদ
২২ অক্টোবর ১৮৫৭ – ৭ জানুয়ারি ১৮৫৮
সার্বভৌম শাসকপ্রথম আব্দুল মজিদ
পূর্বসূরীমোস্তফা নাইলি পাশা
উত্তরসূরীমেহমেদ এমিন আলি পাশা
কাজের মেয়াদ
১ নভেম্বর ১৮৫৬ – ৬ আগস্ট ১৮৫৭
সার্বভৌম শাসকAbdulmejid I
পূর্বসূরীমেহমেদ এমিন আলি পাশা
উত্তরসূরীমোস্তফা নাইলি পাশা office3 =
কাজের মেয়াদ
২৪ নভেম্বর ১৮৫৪ – ২ মে ১৮৫৫
সার্বভৌম শাসকAbdulmejid I
পূর্বসূরীকিবরিসলি মেহমেদ এমিন পাশা
উত্তরসূরীমেহমেদ এমিন আলি পাশা
কাজের মেয়াদ
৫ মার্চ ১৮৫২ – ৫ আগস্ট ১৮৫২
সার্বভৌম শাসকAbdulmejid I
পূর্বসূরীমেহমেদ এমিন রউফ পাশা
উত্তরসূরীমেহমেদ এমিন আলি পাশা
কাজের মেয়াদ
১২ আগস্ট ১৮৪৮ – ২৬ জানুয়ারি ১৮৫২
সার্বভৌম শাসকAbdulmejid I
পূর্বসূরীইব্রাহিম সারিম পাশা
উত্তরসূরীমেহমেদ এমিন রউফ পাশা
কাজের মেয়াদ
28 September 1846 – 28 April 1848
সার্বভৌম শাসকAbdulmejid I
পূর্বসূরীমেহমেদ এমিন রউফ পাশা
উত্তরসূরীইব্রাহিম সারিম পাশা
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৮০০-০৩-১৩)১৩ মার্চ ১৮০০
ইস্তাম্বুল, উসমানীয় তুর্কি
মৃত্যু৭ জানুয়ারি ১৮৫৮(1858-01-07) (বয়স ৫৭)
কনস্টান্টিনোপল, উসমানীয় তুর্কি
জাতীয়তাউসমানীয়

তিনি ইস্তানবুলে জন্মগ্রহণ করেন। অল্প বয়সে তিনি সরকারি চাকরিতে যোগ দেন এবং দ্রুত পদোন্নতি লাভ করে। ১৮৩৪ সালে প্যারিসে ও ১৮৩৬ সালে লন্ডনে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন। ১৮৩৭ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রী হন। পুনরায় ১৯৩৮ সালে লন্ডনে এবং ১৯৪১ সালে প্যরিসে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন। ১৮৪৩ সালে আর্দ্রিনোপনলের গভর্নর নিযুক্ত হন। একই বছরে প্যারিসে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালনে যান। ১৮৪৫ থেকে ১৮৫৭ এর মধ্যে মোট ছয়বার তিনি উজিরে আজমের দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি তার সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিক ছিলেন। ইউরোপীয় রাজনীতি সম্পর্কে তার ভাল জানাশোনা ছিল। সংস্কারের ব্যাপারে তিনি অতি উৎসাহী ছিলেন। তানযিমাত নামক তুর্কি প্রশাসনের পুনর্বিন্যাস কার্যক্রমের তিনি অন্যতম প্রধান রূপকার ছিলেন। তার সামর্থ্য শত্রু মিত্র সকলেই স্বীকার করত। সরকারের সংস্কার কার্যক্রমে তার অবদান তাকে ফুয়াদ পাশামেহমেদ এমিন আলি পাশার মত অন্যান্য সংস্কারকদের কর্মজীবনকে সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করে।[১]

১৮৪০ সালে মিশরীয় বসতি সংক্রান্ত প্রশ্নে, ক্রিমিয়ার যুদ্ধের সময় এবং শান্তি আলোচনার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।

উজিরে আজম পদের সময়কাল সম্পাদনা

মোস্তফা রশিদ পাশা উসমানীয় সাম্রাজ্যের উজিরে আজমের পদে ছয় বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেন। সময়কালগুলো হল :

পূর্বসূরী
মেহমেদ এমিন রউফ পাশা
উজিরে আজম
২৮ সেপ্টেম্বর ১৮৪৬ - ২৮ এপ্রিল ১৮৪৮
উত্তরসূরী
ইবরাহিম সারিম পাশা
পূর্বসূরী
ইবরাহিম সারিম পাশা
উজিরে আজম
১২ আগস্ট ১৮৪৮ - ২৬ জানুয়ারি ১৮৫২
উত্তরসূরী
মেহমেদ এমিন রউফ পাশা
পূর্বসূরী
মেহমেদ এমিন রউফ পাশা
উজিরে আজম
৫ মার্চ ১৮৫২ - ৫ আগস্ট ১৮৫২
উত্তরসূরী
মেহমেদ এমিন আলি পাশা
পূর্বসূরী
কিরব্রিসলি মেহমেদ এমিন পাশা
উজিরে আজম
২৩ নভেম্বর ১৮৫৪ - ২ মে ১৮৫৫
উত্তরসূরী
মেহমেদ এমিন আলি পাশা
পূর্বসূরী
মেহমেদ এমিন আলি পাশা
উজিরে আজম
১ নভেম্বর ১৮৫৬ - ৬ আগস্ট ১৮৫৭
উত্তরসূরী
মোস্তফা নাইলি পাশা
পূর্বসূরী
মোস্তফা নাইলি পাশা
উজিরে আজম
২২ অক্টোবর ১৮৫৭ - ৭ জানুয়ারি ১৮৫৮
উত্তরসূরী
মেহমেদ এমিন আলি পাশা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. William L. Cleveland. "A History of the Modern Middle East", Westview Press, 2004, আইএসবিএন ০-৮১৩৩-৪০৪৮-৯, p. 82.

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা