মুশতাক কাদরী
মুহাম্মদ মুশতাক কাদরি আত্তারি (উর্দু: محمد مشتاق قادری عطاری) একজন পাকিস্তানি ধর্মপ্রচারক ও কবি (নাত খাওয়ান) ছিলেন। [৩]
মুহাম্মদ মুশতাক আত্তারি محمد مشتاق قادری عطاری | |
---|---|
জন্ম | [১] বান্নু, খাইবার পাখতুনখ্বা, পাকিস্তান | ১ জানুয়ারি ১৯৬৭
উদ্ভব | করাচি, সিন্ধ, পাকিস্তান |
মৃত্যু | ৫ নভেম্বর ২০০২[২] করাচি | (বয়স ৩৫)
ধরন | হামদ ও নাত |
পেশা | নাত খাওয়ান |
পূর্বের জীবন সম্পাদনা
মুশতাক কাদরি ১৩৮৬ হিজরিতে রমজান মাসের ১৮ তারিখ জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আখলাক আহমাদ। করাচিতে স্থানান্তরিত হওয়ার আগে, তিনি ফয়সালবাদেও কিছুদিন ছিলেন। [১]
১৯৯১ সালে মুশতাক কাদরি বিয়ে করেন, তার বিয়েতে কাজীর দায়িত্ব পালন করেন তার ওস্তাদ মুহাম্মদ ইলিয়াস কাদরি। [৪]
ধর্মীয় প্রভাব সম্পাদনা
মুশতাক কাদরির আত্তারি মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস কাদরির শিষ্য ছিলেন, যিনি অরাজনৈতিক ইসলামী আন্দোলন দাওয়াত-ই-ইসলামীর প্রধান।
১৯৮৬ সালে মুশতাক কাদরি সিলসিলা কাদরিয়ার কাছে বায়াত গ্রহণ করেন। তিনি নিজেও ওয়াইস কাদরির একজন ওস্তাদ বলে গণ্য হন।
ধর্মীয় অবস্থান সম্পাদনা
প্রথমে কাদরি করাচির ওরাঙ্গির মদিনা মসজিদের ইমাম ছিলেন। ১৯৯৫ সাল থেকে তার মৃত্যু পর্যন্ত, তিনি জামিয়া মসজিদ কানজ-উল-ইমানের (বাবরি চক, করাচি, পাকিস্তান) একজন বক্তা ও ইমাম হিশেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আল-কুরআনের আট জুজ মুখস্থ করেন, একই সাতে তিনি ছিলেন একজন কারি। সরকারের একজন নিরীক্ষক হিশেবে তিনি অনেকবছর কাজ করেন। তিনি জামিয়াত-উল-মদিনা (সাবজ বাজার, করাচি, পাকিস্তান) এ দীর্ঘদিন ইংরেজি ভাষা পড়িয়েছেন। তিনি চারবার হজ করেন ও মদিনায় ভ্রমণ করেন। [২]
২০০০ সালে করাচির নিগরান (দাওয়াত-এ-ইসলামির কাজের প্রধান) হিশেবে নিয়োগ পান। অই বছরের অক্টোবরে তিনি মারকাজি মজলিস-এ-শুরার (দাওয়াত-ই-ইসলামির কেন্দ্রীয় কার্যালয়) নিগরান হিশেবে দায়িত্ব পান।
দাওয়াত-ই-ইসলামির প্রতি তার ত্যাগের জন্য তাকে "আত্তার কা পিয়ারা" উপাধি দেয়া হয়। [২]
অবাণিজ্যিকীকরণ সম্পাদনা
মুশতাক আত্তারি নাত কবিতা আবৃত্তির জন্য কখনও কোন অর্থ নেননি। রেকর্ডিং কোম্পানি তাকে উপযুক্ত অর্থ প্রদান করার কথা বললেও, তিনি না করে দেন। আবৃত্তির জন্য তিনি কখনও টেক্সি ভাড়া বা গাড়িও নিবেন না। [৪]
মৃত্যু সম্পাদনা
জীবনের শেষের দিকে মুশতাক কাদরি কণ্ঠ ও বুকের ক্যান্সারে ভুগেন এবং আর কথা বলতে পারেননি। [৩] তখন যুক্ত আরব আমিরাতে থাকা তার ওস্তাদ ইলিয়াস আত্তার কাদরি তাকে ফোন করে ছয়টি কালেমা পড়তে বললে, বিস্ময়কর ভাবে তিনি তা করতে সমর্থ হন। ২৯ শাবান ১৪২৩ হিজরিতে তিনি করাচিতে মৃত্যুবরণ করেন। [৪]
তার মৃত্যুর খবর শুনে মুহাম্মদ ইলিয়াস আত্তার কাদরি সাথে সাথে করাচিতে ফিরে আসেন। তারা জানাজা নিশতার পার্ক, করাচিতে অনুষ্ঠিত হয়।
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ ক খ মুশতাক কাদরির বিশদ পরিচয় ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৭ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে ziaetaiba.com ওয়েবসাইট, ১৯ মে ২০১৬ প্রকাশিত, সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৮
- ↑ ক খ গ *উর্দু ভাষায় মুশতাক কাদরি (আত্তার কা পেয়ারা)-এর প্রোফাইল ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২২ মার্চ ২০০৯ তারিখে
- ↑ ক খ hamariweb.com ওয়েবসাইটে মুশতাক কাদরির প্রোফাইল, সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৮
- ↑ ক খ গ حاجى مشتاق قادری عطارى, FaizaneAttar.net এ মুশতাক কাদরির প্রোফাইল (উর্দু ভাষায়) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৮
বহিঃসংযোগ সম্পাদনা
- DawateIslami.net-এ হাজী মুহাম্মদ মুশতাক আত্তারি কাদরির নাত
- FaizaneAttar.net-এ হাজী মুশতাক আত্তারির সম্পর্কে বইসমূহ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে।