ব্যবহারকারী:AbuSayeed/বাংলাদেশে ব্যাংক ঋণখেলাপি

ঋণখেলাপি বিষয়ক কিছু নির্দেশনা বিশেষ করে বিভিন্ন হারের ডাউন পেমেন্ট, পরিশোধের সময়সীমা, অযৌক্তিক ও অবাস্তব শর্তাবলি দেওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ভাবমূর্তি বিতর্কিত হয়। পাশাপাশি আইএমএফ নতুন ঋণ দিতে গিয়ে খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণে আনার শর্তারোপ করে।[১] ঋণখেলাপিদের সহজে শনাক্ত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরশেন ব্যুরো (সিআইবি) অনলাইন সিস্টেমের ইনকোয়ারি মডিউলে নতুন তথ্য সংযোজন করে। ঋণখেলাপিদের শনাক্ত করতে নিয়মিত ঋণ ও খেলাপি ঋণকে আলাদাভাবে শনাক্ত করার ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি ঋণের জামানতের তথ্য সংযোজন সহ ঋণের মধ্যে নিয়মিত ঋণ ও খেলাপি ঋণের তথ্যও সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা রাখা হয়।[২] ২০১৯ এর হিসেব অনুযায়ী বাংলাদেশে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ ১৮৩ কোটি টাকা ছিল, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী গত ১০ বছরে যা চারগুণ বৃদ্ধি পায়।[৩] ২০২৩ এর জানুয়ারিতে বাংলাদেশের শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপির তালিকা জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়। যেখানে বলা হয় বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের মোট ঋণের পরিমাণ ১৯ হাজার ২৮৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এরমধ্যে খেলাপি ঋণ হচ্ছে ১৬ হাজার ৫৮৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা।[৪] যেখানে দেশে মোট ঋণখেলাপির সংখ্যা ৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬৫ জন।[৫]

বাংলাদেশের ইতিহাসে আর্থিক খাতে সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি ধরা পড়ে ২০১৩ সালে যখন হলমার্ক নামের একটি কোম্পানি সোনালী ব্যাংক থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা লোপাট করে। পরে ব্যাংক কর্মকর্তাসহ রাজনৈতিক ইন্ধনে হাজার কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় দুদকের পক্ষ থেকে প্রায় ৪০টি মামলা দায়ের করা হয়।[৬]

২০০২ সালের আগে মন্দ ঋণ অবলোপন করার কোনো সুস্পষ্ট নীতিমালা ছিল না। পরে সরকারের ব্যাংকিং রিফর্ম কমিটি ২০০২ সালে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মন্দ ঋণ অবলোপন করাসহ কিছু নির্দেশনা-সংবলিত সুপারিশ দেয়।[৭] খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য বিদ্যমান বিচার–প্রক্রিয়া বাংলাদেশে এতই অকার্যকর ও দীর্ঘসূত্রতার শিকার রয়ে গেছে যে অনেক রাইট অফ করা মন্দ ঋণ গত ১৬ (২০১৯ অনুযায়ী) বছরেও আদায় করা যায়নি। শত শত কোটি টাকা মন্দ ঋণ অনাদায়ি রেখে বেশ কয়েকজন ‘রাঘববোয়াল ঋণখেলাপি’ মারা গেছেন বা অন্যরা বিদেশে পালিয়েছেন। তবে তাদের অধিকাংশই উচ্চ আদালতের মামলাগুলো বছরের পর বছর ঝুলিয়ে রেখে বহাল তবিয়তে দেশের ব্যবসা‌ ও রাজনীতির ক্ষেত্রে দাবড়ে বেড়ানোর অভিযোগ আছে।[৮] করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে ২০২০ সালজুড়ে ব্যাংকঋণের কিস্তি পরিশোধের বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্ত ছিলেন ব্যবসায়ীরা। ফলে কোনও অর্থ পরিশোধ না করেই ঐ বছর ঋণগ্রহীতারা খেলাপি হওয়া থেকে নিষ্কৃতি পান। পরবর্তী সময়ে ২০২১ সালে এসে শর্তসাপেক্ষে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা সে বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।[৯]

ইতিহাস

সম্পাদনা

২০০০ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত খেলাপি ঋণের হার ছিল যথাক্রমে ৩৫, ৩১, ২৮ ও ২২ শতাংশ। ২০০৩ সালের নির্দেশনা পালন করে অবলোপন করার পর ২০০৪ থেকে ২০০৬ সালে তা নেমে আসে যথাক্রমে ১৮, ১৪ ও ১৩ শতাংশে।[৭] ২০০৭ সালে উইকিলিকস কর্তৃক বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের একটি তারবার্তা প্রকাশ্যে আসে যাতে অভিযোগ করা হয় সালমান এফ রহমান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংক ঋণখেলাপি।[১০] ব্যাংক ঋণখেলাপিদের ওপর ২০১০ সালে প্রকাশিত বাংলাদেশের ১২৫টি ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠানের ওপর পরিচালিত জরিপের দেখা যায় যে ওই সব প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মালিকেরা তাদের ব্যাংকঋণের একটা বড়সড় অংশ বিদেশে পাচার করে দিয়েছে।[১১]

২০১২ সালে বেসিক ব্যাংক থেকে খাদিজা অ্যান্ড সন্স, মেসার্স সিমেক্স লিমিটেডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান জালিয়াতি করে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা আত্মসাত করে। এসব ঘটনায় মোট ৫৬টি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে মাত্র দুটি মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়া হলেও বাকি মামলাগুলোর তদন্ত চলছে।[৬]

সিটি ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে ১৭ কোটি ৩ হাজার টাকা ঋণ নেন ফেরদৌস খান আলমগীর। এ টাকা আদায়ে ২০১২ সালে অর্থঋণ আদালতে মামলা দায়ের করে ব্যাংকটি। পরে ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর গ্রেফতার হন তিনি।[৬]

ক্রিসেন্ট গ্রুপ জনতা ব্যাংকে ভুয়া তথ্য দিয়ে প্রায় ৫ হাজার কোটি ঋণের নামে আত্মসাত করে। যে ঘটনায় ক্রিসেন্ট গ্রুপের কর্ণধার এম এ কাদেরের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করে দুদক। জানা যায়, জনতা ব্যাংক থেকে শুধু ক্রিসেন্ট গ্রুপই নয়, অ্যাননটেক্স ও থারম্যাক্স গ্রুপ মিলেও প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা নিয়ে যায়। অ্যানন টেক্সের কর্ণধার ইউনুস বাদল আমদানির নামে কয়েক হাজার কোটি টাকা লোপাট করেন।[৬]

বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডিসহ ১২ জনের নামে রমনা থানায় ২০১৩ সালের ২৯ মার্চ মামলা করেন শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ইস্কাটন শাখার এক কর্মকর্তা। এ মামলায় ২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর ব্যাংকটির তৎকালীন ডেপুটি ম্যানেজার ও জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট, ভাইস প্রেসিডেন্টসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এ মামলায় ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর দুজনকে বিচারিক আদালত জামিন দিলে সেই জামিন বাতিল চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরে দুদকের উদ্দেশ্যে আদালত জানায়, ঋণখেলাপিরা আইনের চেয়ে শক্তিশালী নয়। তাহলে ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন? হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে খেলাপি হচ্ছে, আপনারা ধরছেন না কেন? যারা অর্থশালী তারা কি ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে? দুদক রাঘববোয়ালদের নয়, শুধু চুনোপুঁটিদের ধরতে ব্যস্ত আছে।[১২]

প্রাইম ব্যাংকের লালদিঘী পাড় শাখা থেকে ৩১ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করায় ন্যাশনাল আয়রনের মালিক হারুনুর রশিদের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১৯ এপ্রিল ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বাদি হয়ে অর্থঋণ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। তিনি অপর একটি প্রতিষ্ঠান রুবাইয়া ভেজিটেবল অয়েল-এর নামে একই ব্যাংক থেকে ৩৯ কোটি টাকা ঋণ নেন। ঋণ পরিশোধ না করায় ২০১৬ সালের ১৯ এপ্রিল ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বাদি হয়ে অর্থ ঋণ আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা দুটি বর্তমানে সাক্ষী পর্যায়ে রয়েছে।[৬]

এম অ্যান্ড জেড করপোরেশন-এর মালিক সৈয়দ জুনায়েদুল হক প্রাইম ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে ৫৫ কোটি টাকা ঋণ নিলেও পরিশোধ করেনি। টাকা আদায়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ২০১৫ সালে মামলা দায়ের করলেও তা সাক্ষী পর্যায়ে রয়েছে।[৬]

ঈশ্বরদী উপজেলার ৩৭ জন প্রান্তিক কৃষক সমবায় ব্যাংক থেকে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা ঋণ নেন। তবে ঋণ শোধ করার পরও তা পরিশোধ না দেখিয়ে ঋণখেলাপির মামলা দায়ের এবং সেই সূত্রে গ্রেফতারের অভিযোগ উঠে। ১২ জন কৃষককে এজন্য জেলহাজতে পাঠায় আদালত। বাকি ২৫ জন কৃষক গ্রেফতার আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান।[১৩] মামলার সূত্রানুযায়ী সমবায় ব্যাংক ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা ঋণ দিয়েছিল ৩৭ কৃষককে। এ ঋণ পরিশোধ না করায় ২০২১ সালে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। তার পরও এ বিষয়ে যোগাযোগ করেনি কৃষক।[১৪] কৃষকদের হয়রানি বন্ধ করে বড় বড় ঋণখেলাপিকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি এক বিবৃতিতে বলেন, দেশের শত শত কোটি টাকা লুট হয়ে যাচ্ছে, বড় বড় ঋণখেলাপি জনগণের টাকা মেরে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, আর অল্প কিছু টাকার জন্য পাবনার ঈশ্বরদীতে কৃষকদের জেলে পাঠানো হয়।[১৫] সিপিবি আরেক বিবৃতিতে জানায়, ক্ষমতাসীনদের প্রশ্রয় ছাড়া টাকা পাচার, ব্যাংক লোন, ঋণখেলাপির নামে ব্যাংক লুটের ঘটনা ঘটতে পারে না।[১৬]

চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানহাট এলাকার মেসার্স আকতার এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার মোহাম্মদ নূর উন নবীর বিরুদ্ধে ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করায় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের তিন মামলায় প্রায় ৫৫০ কোটি টাকার মামলা দায়ের হয়।[৬]

২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশের চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ বছরেই ১১ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেন পি কে হালদার[১৭] তবে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠার পর বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সে এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মোট ৩৪টি মামলা দায়ের করে।[১৮]

বিতর্ক

সম্পাদনা

অর্থঋণ আইন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার লঙ্ঘন করে চট্টগ্রামে উত্তরা ব্যাংক এক ঋণখেলাপির ৮৯ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করে শুধু মূল ৩৭ কোটি টাকা পাঁচ বছরে পরিশোধের সুযোগ করে দিয়েছে বলে জানায় আদালত।[১৯]

গোপালগঞ্জে গোবরা ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী ১১ কোটি ৫৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩১৪ টাকার ঋণখেলাপি করেও চেয়ারম্যানপ্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয় বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর (সিআইবি) রির্পোট থেকে জানা যায়।[২০] বিষয়টি জানজানি হওয়ার পর তোলপাড় সৃষ্টি হয়।[২১]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "ঋণখেলাপি ভ্রান্ত নীতির ফল"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। ২৮ ডিসেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ 
  2. "ঋণখেলাপি শনাক্ত আরও সহজ হলো"। বাংলা ট্রিবিউন। ১৬ জুন ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ 
  3. আক্তার, সাইয়েদা (২৩ জুন ২০১৯)। "বাংলাদেশের বিপুল খেলাপি ঋণ কি আদায় হবে?"বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ 
  4. "শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপির তালিকা সংসদে"বাংলা ট্রিবিউন। ২৪ জানুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ 
  5. "শীর্ষ ঋণখেলাপির তালিকা সংসদে"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। ২৫ জানুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ 
  6. লাবু, নুরুজ্জামান; রকি, নাসির উদ্দিন (৬ আগস্ট ২০২২)। "ঋণখেলাপির মামলায় ধীরগতি"। বাংলা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  7. মঈনউদ্দীন, ফারুক (২৯ আগস্ট ২০১৬)। "ঋণ অবলোপন বনাম মওকুফ"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  8. ইসলাম, মইনুল (৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯)। "অবলোপনকৃত মন্দ ঋণ কি খেলাপি নয়?"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  9. "ঋণের কিস্তি পরিশোধে আরও দুই মাস সময় পেলেন ব্যবসায়ীরা"। বাংলা ট্রিবিউন। ২৮ জুন ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ 
  10. Allchin, Joseph (২০১৬-০৪-১১)। "Bangladesh's Other Banking Scam"The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-০৮ 
  11. ইসলাম, মইনুল (১০ জুন ২০১৪)। "পুঁজি পাচারকারীদের সেকেন্ড হোম"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  12. "বড় ঋণখেলাপিরা কি বিচারের ঊর্ধ্বে?"বাংলাদেশ প্রতিদিন। ২৮ নভেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ 
  13. "কারাগারে ১২ কৃষক: গ্রেফতার আতঙ্কে ঘরছাড়া আরও ২৫ জন"দৈনিক ইত্তেফাক। ২৭ নভেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ 
  14. "ঋণখেলাপি"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। ২৭ নভেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ 
  15. "কৃষকদের হয়রানি নয় ঋণখেলাপিদের গ্রেফতার করুন : সিপিবি"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। ২৮ নভেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ 
  16. "ঋণখেলাপিদের তালিকা প্রকাশ করার দাবি"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। ১৩ ডিসেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ 
  17. "পি কে হালদার: একজন প্রতারকের ১১ হাজার কোটি টাকার সাম্রাজ্য"THE BUSINESS STANDARD। ১৬ মে ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০২২ 
  18. "পি কে হালদার: কবে, কীভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে আনা যাবে"বিবিসি বাংলা। ১৫ মে ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০২২ 
  19. "ঋণখেলাপিদের বিশেষ সুবিধা দিয়েছে উত্তরা ব্যাংক"। সমকাল। ১২ মার্চ ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০২৩ 
  20. সাহা, মনোজ (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩)। "সাড়ে ১১ কোটি টাকা ঋণ খেলাপির মনোনয়ন বৈধ!"। যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০২৩ 
  21. "সাড়ে ১১ কোটি টাকা ঋণখেলাপি, তবুও মনোনয়নপত্র বৈধ!"। ইত্তেফাক। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০২৩