বেলে মোনাপ্পা হেগড়ে

বেলে মোনাপ্পা হেগড়ে (জন্ম ১৮ আগস্ট ১৯৩৮) একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, মেডিসিনের অধ্যাপক এবং লেখক। তিনি হোমিওপ্যাথি[৩] এবং কোয়ান্টাম নিরাময় সমর্থন করেছেন।[৪] কোয়ান্টাম নিরাময়ে রোগের মূল কারণকে মানসিক আখ্যায়িত করে মেডিটেশনের মাধ্যমে সকল রোগ ব্যাধি উপশমের পদ্ধতি ব্যাখ্যা করা হয়।

বি এম হেগড়ে
২০০৫ সালে হেগড়ে
জন্ম১৮ আগস্ট ১৯৩৮
শিক্ষা
  • কিং জর্জ মেডিকেল কলেজ
  • স্ট্যানলি মেডিকেল কলেজ
মেডিকেল কর্মজীবন
পেশা
  • কার্ডিওলজিস্ট
  • মেডিসিনের অধ্যাপক
  • লেখক
প্রতিষ্ঠান
  • মনিপাল একাডেমি অফ হায়ার এডুকেশন
  • কস্তুরবা মেডিকেল কলেজ
  • ভারতীয় বিদ্যা ভবন,ম্যাঙ্গালোর শাখা
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কিরণ কুমার রেড্ডি বি এম হেগড়েকে সম্মানসূচক ডক্টরেট প্রদান করছেন

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা সম্পাদনা

বি এম হেগড়ে ১৯৩৮ সালের ১৮ আগস্ট ভারতের কর্ণাটকের উডুপির কাছে পাঙ্গালায় জন্মগ্রহণ করেন।[৫] ১৯৬০ সালে তিনি মাদ্রাজের স্ট্যানলি মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে লখনউ-এর কিং জর্জ মেডিকেল কলেজ থেকে এমডি ডিগ্রি লাভ করেন।[৬]

কর্মজীবন সম্পাদনা

ম্যাঙ্গালোরের কস্তুরবা মেডিক্যাল কলেজে তার দীর্ঘ কর্মজীবন কাটে। এই কলেজে হেগড়ে বিভিন্ন পদে যেমন অধ্যাপক, অধ্যক্ষ এবং ডিনের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৯৯ সালে মণিপাল একাডেমি অফ হায়ার এডুকেশনের উপাচার্য নিযুক্ত হন। ২০০৩ সাল পর্যন্ত এই পদের দায়িত্বভার সামলেছেন।[৬] তিনি জাইডাস ওয়েলনেসের একজন স্বাধীন পরিচালক ছিলেন।[৭] তিনি বিহার স্টেট হেলথ সোসাইটির একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবেও কাজ করেছেন।[৮]

হেগড়ে ভারতীয় বিদ্যা ভবনের মাঙ্গলুরু শাখার চেয়ারম্যান।[৯] তিনি জার্নাল অফ দ্য সায়েন্স অফ হিলিং আউটকামস নামেএকটি মেডিকেল জার্নাল শুরু করেন।[১০] এই জার্নালটির প্রধান সম্পাদক হিসেবে তিনি কাজ করেন।[১১] ২০১৬ সাল পর্যন্ত হেগড়ে ন্যাশনাল একাডেমি অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসের একজন ফেলো সদস্য ছিলেন।[১]

ভগবান মহাবীর পুরস্কারের বাছাই পর্বে তিনি একজন অন্যতম বিচারকের ভূমিকাও পালন করেন।[১২]

অপবিজ্ঞান এবং বিতর্ক সম্পাদনা

হেগড়ে প্রস্তাব করেছেন যে কোয়ান্টাম নিরাময় অসুস্থ ব্যক্তিদের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারে।[৪][১৩] এই ধারণাটি বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপকভাবে অপবিজ্ঞান বা ছদ্মবিজ্ঞানের মত হিসাবে বিবেচিত হয়।[১৪][১৫]

২০১৯ সালে হেগড়েকে যখন মাদ্রাজের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ক্যাম্পাসে "সস অফ হ্যাপিনেস" এর উপর একটি বক্তৃতা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, তখন গবেষক পণ্ডিতদের একটি দল তাকে "ছদ্মবিজ্ঞান এবং হাতুড়ে চিকিৎসা"-র প্রবক্তা বলে।[১৬] হেগডে বলেছিলেন যে, এর থেকে বোঝা যায় যে "বিক্ষোভকারীরা বিজ্ঞান সম্পর্কে কতটা জানে।"[১৭]

হেগড়ে বেশ কিছু প্রবন্ধও লিখেছেন। হোমিওপ্যাথির সমর্থনে বক্তৃতাও দিয়েছেন। তবে তার কিছু বক্তব্যের উপস্থাপনা বিশ্বব্যাপী অনেকেই অপবিজ্ঞান বা ছদ্মবিজ্ঞান হিসাবে বিবেচিত করে থাকেন।[১৮] হেগড়ের যুক্তি হলো, যদি কেউ ভুলভাবে ভাবে যে হোমিওপ্যাথি একটি প্লাসিবো অর্থাৎ ছল-চিকিৎসা, তবুও এটি গুরুত্বপূর্ণ,তার কারণ বেশিরভাগ আধুনিক ওষুধ প্লাসিবোর চেয়েও খারাপ।

বই এবং নিবন্ধ সম্পাদনা

হেগড়ে অনেক বই এবং নিবন্ধ প্রকাশ করেন।

সম্মাননা সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "List of Fellows – NAMS" (পিডিএফ)। National Academy of Medical Sciences। ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০২১ 
  2. ""BC Roy award for PGI doctor""The Tribune,India। ৩০ জুন ২০০০। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০২১Dr B.M. Hegde, Vice-Chancellor, Manipal Academy of Higher Education, Manipal, ... have been awarded for their services as eminent medical teachers 
  3. "B. M. Hegde - Articles: IN DEFENSE OF HOMEOPATHY" 
  4. Hegde BM: “Modern Medicine and Quantum Physics” Kuwait Medical Journal: March 2003: 35(1): 1–3
  5. "Padma Bhushan to Dr B M Hegde"। Mangalore Today। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-২৫ 
  6. Pinto, Stanley (৯ নভেম্বর ২০২১)। ""Cardiologist Dr B M Hegde conferred Padma Vibhushan""The Times of India। Mangaluru। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০২১ .
  7. ""Zydus Wellness independent director B M Hegde resigns""The Times of India। ১৬ অক্টোবর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০২১ .
  8. "B.M. Hegde to head Bihar health society"The Hindu। ১ মার্চ ২০০৬। ৭ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১২ 
  9. ""BHAVAN'S CENTRES : In India & Abroad""bhavans.info। Bharatiya Vidya Bhavan। ১৫ নভেম্বর ২০২১। ১৫ নভেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০২১ 
  10. "Innovative medical journal for humanistic medicine" (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০২১he has teamed up with Professor Rustum Roy to start an innovative journal called JOURNAL OF THE SCIENCE OF HEALING DISEASES (JSHO) 
  11. "Bio"www.thejsho.com। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০২০ 
  12. "Bhagwan Mahaveer Foundation invites nominations for 26th Mahaveer Awards carrying cash prize of Rs 40 lakhs across 4 categories"। সেপ্টেম্বর ২০২২। 
  13. Hegde, B. M (১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫)। "Some thoughts on 'quantum healing'"The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০২১Quantum healing is what happens when your own volition can make it happen during the oscillation between matter and energy to rebuild the damaged part ... Auto-healing, akin to quantum healing, brings one back to normalcy. This alone can be called cure. 
  14. Francis, Matthew R. (২০১৪-০৫-২৯)। "The Two Top Inspirations of Science-Sounding Nonsense: Quantum and Consciousness"Slate Magazine (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৬ 
  15. Strauss, Valerie। "Scientist: Why Deepak Chopra is driving me crazy"Washington Post (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0190-8286। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৬ 
  16. "RIP Science: How IIT-M students protested against Padma Bhushan B M Hegde's lecture on 'sauce of happiness'"The New Indian Express 
  17. "IIT-Madras scholars protest inviting B M Hegde for lecture"Business Standard India। Press Trust of India। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ – Business Standard-এর মাধ্যমে। 
  18. Ladyman J (২০১৩)। "Chapter 3: Towards a Demarcation of Science from Pseudoscience"। Pigliucci M, Boudry M। Philosophy of Pseudoscience: Reconsidering the Demarcation Problem। University of Chicago Press। পৃষ্ঠা 48–49। আইএসবিএন 978-0-226-05196-3Yet homeopathy is a paradigmatic example of pseudoscience. It is neither simply bad science nor science fraud, but rather profoundly departs from scientific method and theories while being described as scientific by some of its adherents (often sincerely).