এলিজাবেথ আর. শোয়ার্টজ ( রবিনসন; আগষ্ট ২৩, ১৯১১-মে ১৮, ১৯৯৯) একজন আমেরিকান ক্রীড়াবিদ এবং নারীদের ১০০ মি. দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রথম অলিম্পিক স্বর্ণ বিজয়ী।[১]

বেটি রবিনসন
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্মআগষ্ট ২৩, ১৯১১
রিভারডেল, ইলিনুইস, যুক্তরাষ্ট্র[১]
মৃত্যু১৮ মে ১৯৯৯(1999-05-18) (বয়স ৮৭)
ডেনভার, কলোরাডো, যুক্তরাষ্ট্র[১]
উচ্চতা৫ ফিট ৫+১/২ ইঞ্চি
ওজন১২৬ পা (৫৭ কেজি)
ওয়েবসাইটhttps://www.bettyrobinson.org
ক্রীড়া
ক্রীড়াপ্রতিযোগিতা
বিভাগদৌড়
ক্লাবআইসিসিডাব্লিউ, শিকাগো[১]
সাফল্য ও খেতাব
ব্যক্তিগত সেরা৫০ ইয়ার্ড- ৫.৮ (১৯২৯)
১০০ মি. - ১২.০ (১৯২৮)
২০০ মি. - ২৫.৫ (১৯৩১)[২]
পদকের তথ্য
 যুক্তরাষ্ট্র-এর প্রতিনিধিত্বকারী
অলিম্পিক গেমস
স্বর্ণ পদক - প্রথম স্থান ১৯২৮ আমস্টারডাম ১০০ মি.
স্বর্ণ পদক - প্রথম স্থান ১৯৩৬ বার্লিন ৪x১০০ মি. রিলেই
রৌপ্য পদক - দ্বিতীয় স্থান ১৯২৮ আমস্টারডাম ৪x১০০ মি. রিলেই

রবিনসন রিভারডেল, ইলিনুইস এ জন্মগ্রহণ করেন। অলিম্পিক স্বর্ণ জয়ী হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার সময়কালে তিনি থ্রোনটন টাউনশিপ হাই স্কুল এর ছাত্রী ছিলেন। ১৯২৮ সালের ৩০ শে মার্চ ১৬ বছর বয়সে তিনি তার প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রতিযোগিতায় দৌড়ান। যেখানে একটি ঘরোয়া ইভেন্টে তিনি হেলেন ফিলকেই কে ৬০ ইয়ার্ড এর দৌড়ে হারান।[৩] তার পরবর্তী প্রতিযোগিতায় একটি ১০০ মিটার দৌড়ে তিনি একটি বিশ্ব রেকর্ড তৈরি করেন, কিন্তু তখন পরিচিতি না পাওয়ার ফলে এটি জানা যায় নি।[৪]

আমস্টারডাম অলিম্পিকে তার তৃতীয় ১০০ মি. প্রতিযোগিতায় তিনি ফাইনালে পৌঁছায় এবং জয়ী হয়, বিশ্ব রেকর্ড তৈরি করে। তিনি সর্বপ্রথম নারী অলিম্পিক ইভেন্টের চ্যাম্পিয়ন হন যখন নারীদের জন্য ইভেন্ট আয়োজন করা হতো না। যুক্তরাষ্ট্রের ৪x১০০ মিটার রিলেই দলের সঙ্গে রবিনসন তার নামের পাশে একটি রৌপ্য পদক জুড়ে।

তিনি নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয় এর কাপ্পা কাপ্পা গামার সদস্য ছিলেন।[৫]

১৯৩১ সালে, রবিনসন একটি প্লেন দুর্ঘটনায় আহত হয়। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী তাকে ধ্বংসাবশেষ থেকে অচেতনভাবে উদ্ধার করা হয়, এবং উদ্ধারকারীরা তাকে মৃত মনে করে। একজন উদ্ধারকারী মনে করেছিল তাকে বাঁচানো সম্ভব নয়। তাই তাকে ওক ফরেস্ট ইনফার্মারি তে নিয়ে যাওয়া হয় যেটি "পুওর ফার্ম" নামে স্থানীয়ভাবে পরিচিত, কারন সে সৎকারকারীকে চিনতো।[৬] ডাক্তাররা বলে সে একাধিক জায়গায় আঘাত পেয়েছে।[৭] আরো ছয় মাস সময় লাগে তার হুইলচেয়ার থেকে উঠতে, এবং দুই বছর লাগে তার পুনরায় স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে।[৮] এরই মাঝে নিজের দেশে হওয়া ১৯৩২ অলিম্পিকে তিনি অংশ নিতে পারেন নি।

১০০ মি. দৌড়ে অক্ষম হওয়ায় রবিনসন ১৯৩৬ অলিম্পিকে যুক্তরাষ্ট্রের "৪ x ১০০ রিলেই দৌড়" এর দলের সাথে অলিম্পিকে অংশ নেয়। যুক্তরাষ্ট্রের দল জার্মানদের তুলনায় অনেক পিছিয়ে ছিলো কিন্তু জার্মানদের হাত থেকে ব্যাটন পড়ে যাওয়ার ফলে সেটি রবিনসন উঠিয়ে নেয় এবং হেলেন স্টিফেনস কে দেয়। এরই সাথে তিনি তার দ্বিতীয় অলিম্পিক স্বর্ণ জয় করেন।[৯][১]

বার্লিন অলিম্পিক এর পর তিনি অবসর নেন। তারপরও অফিসিয়াল হিসেবে খেলাধুলার সাথে জড়িত ছিলেন৷ ৮৭ বছর বয়সে তিনি ক্যান্সার এবং আলৎসহাইমার রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। [১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Betty Robinson. sports-reference.com
  2. Elizabeth Robinson. trackfield.brinkster.net
  3. Eric L. Cowe (2005) Early Women's Athletics: Statistics and History, Volume Two, privately printed, আইএসবিএন ৯৭৮০৯৫৩৭০৩০০৫, p. 69.
  4. Gergen 2014, পৃ. 12।
  5. "Kappa Kappa Gamma" 
  6. Karen Rosen (এপ্রিল ২৮, ২০১৫)। "Betty Robinson: The Olympic Gold Medalist Who "Came Back From The Dead""Team USA। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০ 
  7. Roseanne Montillo (2017) "Fire on the Track: Betty Robinson and the Triumph of the Early Olympic Women", Crown, আইএসবিএন ৯৭৮১১০১৯০৬১৫৬, pp. 3-5, 125-30
  8. Gergen 2014
  9. Gergen 2014, পৃ. 146-7।

গ্রন্থপঞ্জি সম্পাদনা

  • গেরগেন, জো (২০১৪)। ফার্স্ট লেডি অফ অলিম্পিক ট্র‍্যাক: দ্য লাইফ এন্ড টাইমস অফ বেটি রবিনসন। নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনা। আইএসবিএন 978-0810129580 

আরো পড়ুন সম্পাদনা

  • গেরগেন, জো। (২০১৪) "ফার্স্ট লেডি অফ অলিম্পিক ট্র‍্যাক: দ্য লাইফ এন্ড টাইমস অফ বেটি রবিনসন।" নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনা।
রেকর্ড
পূর্বসূরী
কিনুই হিতোমি
নারীদের ১০০ মিটার বিশ্ব রেকর্ডধারী
জুন ২, ১৯২৮ – জুন ৫, ১৯৩২
উত্তরসূরী
টলিয়েন স্কুরম্যান