হজ্জ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৫১ নং লাইন:
[[চিত্র:Hajj.ogg|ডান|থাম্ব|হজের সময় [[কাবা]]]]
 
[[ইসলামে মুহাম্মাদ|মুহাম্মদ]] হজের বর্তমান আদর্শটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।<ref name="EB">{{বিশ্বকোষ উদ্ধৃতি|url=https://www.britannica.com/EBchecked/topic/252050/hajj |শিরোনাম=হজ্জ|বছর=২০১৪ |বিশ্বকোষ=এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা |সংগ্রহের-তারিখ=১২ আগস্ট ২০১৪ |আর্কাইভের-তারিখ=২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20140924041951/http://www.britannica.com/EBchecked/topic/252050/hajj |ইউআরএল-অবস্থা=live}}</ref> তবে, [[কুরআন]] অনুসারে, হজের মূলসূত্রগুলো [[ইব্রাহিম (নবী)|ইব্রাহিমের]] সময়কাল থেকে পাওয়া যায়। ইসলামি ঐতিহ্য অনুসারে, ইব্রাহিমকে আল্লাহ তার (ইব্রাহিম) স্ত্রী [[হাজেরা]] এবং তার শিশুপুত্র [[ইসমাইল|ইসমাইলকে]] প্রাচীন মক্কার মরুভূমিতে একা রেখে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পানির সন্ধানে হাজেরা মরিয়া হয়ে সাতবার [[সাফা ও মারওয়া]] পাহাড়ের মাঝখানে ছুটে গেলেন কিন্তু কিছুই পাননি। হতাশা নিয়ে ইসমাইলের কাছে ফিরে এসে, তিনি দেখতে পেলেন শিশুটি তার পা দিয়ে মাটি আঁচড়াচ্ছে এবং তার পায়ের নীচে একটি জলের ফোয়ারা বের হচ্ছে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=fOyO-TSo5nEC&pg=29|শিরোনাম=মুহাম্মদের জীবনী|শেষাংশ=হায়কাল|প্রথমাংশ=মুহাম্মদ হুসাইন|বছর=১৯৯৪|প্রকাশক=দ্য আদার প্রেস|পাতা=২৯|আইএসবিএন=978-983-9154-17-7|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20151127211636/https://books.google.com/books?id=fOyO-TSo5nEC&pg=29|আর্কাইভের-তারিখ=২৭ নভেম্বর ২০১৫|ইউআরএল-অবস্থা=live|সংগ্রহের-তারিখ=১২ আগস্ট ২০১৫}}</ref> পরবর্তীতে, ইব্রাহিমকে [[কাবা]] নির্মাণের আদেশ দেওয়া হয়েছিল (যা তিনি ইসমাইলের সহায়তায় সম্পন্ন করেছিলেন) এবং সেখানে তীর্থযাত্রা করার জন্য লোকদের আমন্ত্রণ জানানোর আদেশ দেওয়া হয়েছিল।<ref name="Peters4-7">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=EK5MqskDYC0C&pg=PA4|শিরোনাম=হজ: মক্কা ও পবিত্র স্থানগুলিতে মুসলমানদের তীর্থযাত্রা|শেষাংশ=পিটার্স|প্রথমাংশ=এফ.ই.|বছর=১৯৯৪|প্রকাশক=প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস|পাতাসমূহ=৪–৭|আইএসবিএন=0-691-02120-1|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20151123000954/https://books.google.com/books?id=EK5MqskDYC0C&pg=PA4|আর্কাইভের-তারিখ=২৩ নভেম্বর ২০১৫|ইউআরএল-অবস্থা=live|সংগ্রহের-তারিখ=১২ আগস্ট ২০১৫}}</ref> [[কুরআন|কুরআনে]] এই ঘটনাগুলো {{কুরআন উদ্ধৃতি|2|124–127|style=nosup}} এবং {{কুরআন উদ্ধৃতি|22|27–30|style=nosup}} আয়াতে উল্লেখিত হয়েছে।<ref group{{efn|name="n">আয়াত গুলোতে বলা আছে: "আর স্মরণ কর, যখন ইবরাহীমকে তার রব কয়েকটি বাণী দিয়ে পরীক্ষা করলেন, অতঃপর সে তা পূর্ণ করল। তিনি বললেন, ‘আমি তোমাকে মানুষের জন্য নেতা বানাব’। সে বলল, ‘আমার বংশধরদের থেকেও’? তিনি বললেন, ‘যালিমরা আমার ওয়াদাপ্রাপ্ত হয় না’আর স্মরণ কর, যখন আমি কাবাকে মানুষের জন্য মিলনকেন্দ্র ও নিরাপদ স্থান বানালাম এবং (আদেশ দিলাম যে,) ‘তোমরা মাকামে ইবরাহীমকে সালাতের স্থানরূপে গ্রহণ কর’। আর আমি ইবরাহীম ও ইসমাঈলকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম যে, ‘তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, ‘ইতিকাফকারী ও রুকূকারী-সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র কর’।আর স্মরণ কর, যখন ইবরাহীম বলল, ‘হে আমার রব, আপনি একে নিরাপদ নগরী বানান এবং এর অধিবাসীদেরকে ফল-মুলের রিয্ক দিন যারা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান এনেছে’। তিনি বললেন, ‘যে কুফরী করবে, তাকে আমি স্বল্প ভোগোপকরণ দিব। অতঃপর তাকে আগুনের আযাবে প্রবেশ করতে বাধ্য করব। আর তা কত মন্দ পরিণতি’।আর স্মরণ কর, যখন ইবরাহীম ও ইসমাঈল কাবার ভিত্গুলো উঠাচ্ছিল (এবং বলছিল,) ‘হে আমাদের রব, আমাদের পক্ষ থেকে কবূল করুন। নিশ্চয় আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী’। (২:১২৪–১২৭)" এবং ‘আর মানুষের নিকট হজ্জের ঘোষণা দাও; তারা তোমার কাছে আসবে পায়ে হেঁটে এবং কৃশকায় উটে চড়ে দূর পথ পাড়ি দিয়ে’।‘যেন তারা নিজদের কল্যাণের স্থানসমূহে হাযির হতে পারে এবং তিনি তাদেরকে চতুষ্পদ জন্তু থেকে যে রিয্ক দিয়েছেন তার উপর নির্দিষ্ট দিনসমূহে আল্লাহর নাম স্মরণ করতে পারে। অতঃপর তোমরা তা থেকে খাও এবং দুস্থ-দরিদ্রকে খেতে দাও’।‘তারপর তারা যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়, তাদের মানতসমূহ পূরণ করে এবং প্রাচীন ঘরের তাওয়াফ করে’।" (২২:২৭–২৯)</ref>}} কথিত আছে যে, প্রধান ফেরেশতা [[জিবরাঈল]] কাবার সাথে সংযুক্ত করার জন্য জান্নাত থেকে [[হাজরে আসওয়াদ|কালো পাথরটি]] নিয়ে এসেছিলেন।<ref name="Peters4-7" />
 
প্রাক-ইসলামি আরবে, ''[[আইয়ামে জাহেলিয়া|জাহেলিয়াতের যুগ]]'' হিসাবে পরিচিত একটি সময়ে কাবা [[প্রাক-ইসলামি আরবে ধর্মবিশ্বাস|পৌত্তলিক মূর্তি]] দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে ওঠে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=সীলমোহরযুক্ত অমৃত: মহানবীর জীবনী|শিরোনামের-সংযোগ=আর-রাহীকুল মাখতূম|শেষাংশ=আল মুবারকপুরী|প্রথমাংশ=সাফি উর রহমান|অধ্যায়ের-ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=r_80rJHIaOMC&pg=PA45|বছর=২০০২|প্রকাশক=দারুস সালাম|পাতা=৪৫|অধ্যায়=আরবদের ধর্মবিশ্বাস|আইএসবিএন=9960-899-55-1|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20151102024455/https://books.google.com/books?id=r_80rJHIaOMC&pg=PA45|আর্কাইভের-তারিখ=২ নভেম্বর ২০১৫|ইউআরএল-অবস্থা=live|সংগ্রহের-তারিখ=১২ আগস্ট ২০১৫}}</ref> ৬৩০ খ্রিস্টাব্দে, মুহাম্মদ তার অনুসারীদের [[মদিনা]] থেকে মক্কায় নিয়ে গিয়েছিলেন, সমস্ত পৌত্তলিক মূর্তি ধ্বংস করে কাবা পরিষ্কার করেছিলেন এবং তারপরে স্থাপনাটিকে আল্লাহর কাছে পবিত্র করেছিলেন।<ref name="Haykal439">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=fOyO-TSo5nEC&pg=PA439|শিরোনাম=The Life of Muhammad|শেষাংশ=Husayn Haykal|প্রথমাংশ=Muhammad|বছর=2008|প্রকাশক=Islamic Book Trust|পাতাসমূহ=439–40|আইএসবিএন=978-983-9154-17-7|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20151127211639/https://books.google.com/books?id=fOyO-TSo5nEC&pg=PA439|আর্কাইভের-তারিখ=27 November 2015|ইউআরএল-অবস্থা=live|সংগ্রহের-তারিখ=12 August 2015}}</ref> ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে, মুহাম্মদ বিপুল সংখ্যক অনুসারীদের সাথে তার একমাত্র এবং শেষ হজযাত্রা করেন এবং তাদের হজের আচার-অনুষ্ঠানের নির্দেশ দেন।<ref name="Campo494">{{বিশ্বকোষ উদ্ধৃতি|বিশ্বকোষ=Encyclopedia of Islam}}</ref> এ সময় থেকেই হজ্জ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটিতে পরিণত হয়।
'https://bn.wikipedia.org/wiki/হজ্জ' থেকে আনীত