বিদায় হজ্জের ভাষণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Kawrno Baba (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Kawrno Baba (আলোচনা | অবদান)
→‎হাদিসগ্রন্থে ভাষণের বর্ণনা: যা লেখা হয়েছে সেটাই সঠিক ভাষণ কি না তা নির্ণয় করার কোন উপায় নেই। উপরে একাধিক তথ্যসূত্র দেয়া হয়েছে কিন্তু হাদিস নাম্বার, অধ্যায়, পৃষ্ঠা ইত্যাদি কিছুই লেখা নেই। এরকম তথ্যসূত্রবিহীন গুরুত্বপূর্ণ লেখার কোন প্রয়োজন দেখছি না। এর নিচেই সহীহ মুসলিমের বর্ণনা দেয়া আছে; অন্যান্য গ্রন্থেও যদি অনুরূপ বর্ণনা থাকে তবে শুধু এটিই যথেষ্ট। অযথা এই নিবন্ধকে বড় করার দরকার নেই।, পরিষ্কারকরণ, সংশোধন
১৩ নং লাইন:
==হাদিসগ্রন্থে ভাষণের বর্ণনা==
[[সহিহ]] মুসলিম<ref name="Hadith 159">''Sahih Muslim''. Kitab al-Hajj. [http://sunnah.com/muslim/15/159 Hadith 159]. Sunnah.com</ref>, তিরমিজি<ref>Al-Tirmidhi Hadith, Number 104</ref>, [[সুনানে আবু দাউদ|সুনান আবু দাউদ]], মুসনাদে আহমাদ<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://library.islamweb.net/newlibrary/display_book.php?idfrom=22393&idto=22393&bk_no=6&ID=1079|শিরোনাম=Musnad Ahmad|সংগ্রহের-তারিখ=২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫|আর্কাইভের-তারিখ=২৮ জুন ২০১৫|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20150628210420/http://library.islamweb.net/newlibrary/display_book.php?idfrom=22393&idto=22393&bk_no=6&ID=1079|ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর}}</ref>, সুনান ইবনে মাজাহ<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি |ইউআরএল=http://sunnah.com/ibnmajah/9 |সংগ্রহের-তারিখ=২০১৪-০১-১৪ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20140118152009/http://sunnah.com/ibnmajah/9 |আর্কাইভের-তারিখ=২০১৪-০১-১৮ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> গ্রন্থে উল্লিখিত যাবির ইবনে আবদুল্লাহ বর্ণিত বিদায় হজ্বের ভাষণের নিম্নোক্ত দীর্ঘ বর্ণনা পাওয়া যায়। এছাড়াও [[ইবনে ইসহাক]]{{Citation needed}} ও আল জাহিজও {{Citation needed}} প্রায় হুবহু একই বর্ণনা প্রদান করেছেন।
{{Quotation|উপস্থিত জনমণ্ডলী! আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনো। হয়তো আমি আর কখনো এখানে তোমাদের সঙ্গে একত্রিত হতে পারব না।
হে জনমণ্ডলী! আজকের এই দিন (জুমার দিন), এই মাস (জিলহজ মাস) ও এই শহর (মক্কা) যেমন পবিত্র; তোমাদের জানমাল, ইজ্জত-আবরু, মান-সম্মান কিয়ামত পর্যন্ত এমনই পবিত্র। কারো কাছে যদি কোনো আমানত রক্ষিত থাকে, তাহলে সে যেন তা আমানতকারীর কাছে পৌঁছে দেয়। আজ থেকে সব ধরনের সুদ রহিত করা হলো। তোমাদের কেবল মূলধনের ওপর অধিকার রইল। তোমরা অন্যের ওপর অত্যাচার করবে না, নিজেরাও অত্যাচারিত হবে না। সর্বপ্রথম আমি হজরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিবের সুদ রহিত করছি। অন্ধকার যুগের সব কৌলীন্য বিলুপ্ত করা হলো। শুধু কাবাঘরের তত্ত্বাবধান ও হাজিদের পানি পান করানো ছাড়া। আজকের পর তোমাদের ভূখণ্ডে শয়তানের উপাসনার ব্যাপারে সে নিরাশ হয়ে গেছে। কিন্তু কিছু ব্যাপার, যেগুলোকে তোমরা বড় পাপ মনেই করো না। তার অনুসরণ করলে শয়তান খুশি হবে।
জনমণ্ডলী! তোমাদের নিজ স্ত্রীদের ওপর যেমন তোমাদের অধিকার রয়েছে, তদ্রূপ তাদেরও তোমাদের ওপর অধিকার রয়েছে। স্ত্রীদের ওপর তোমাদের অধিকার হচ্ছে, তারা যেন নিজ স্বামী ছাড়া পরপুরুষের সঙ্গে সম্ভোগে লিপ্ত না হয়। যদি তারা তা করে তাহলে আল্লাহ তায়ালা তোমাদের তাদের প্রতি কঠোরতা
প্রদর্শনের অনুমতি দিয়েছেন। এমতাবস্থায় তোমরা তাদের শয্যা পৃথক করে দেবে। এবং মৃদু প্রহার করবে। তাতে তারা বিরত হলে নিয়মমাফিক তাদের ভরণপোষণের প্রতি লক্ষ্য রাখবে। স্ত্রীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবে। তারা তোমাদের সাহায্যকারিণী। তোমরা তাদের আল্লাহর নির্ধারিত কালিমা বাক্যের (ইজাব-কবুল) মাধ্যমে নিজেদের জন্য হালাল করেছো। সুতরাং তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করো। জনমণ্ডলী! সব মুমিন পরস্পর ভাই ভাই। কারো জন্য অন্যের সম্পদ বৈধ নয়। তবে যদি কেউ স্বেচ্ছায় কাউকে কিছু দেয়, তাহলে সেটা স্বতন্ত্র ব্যাপার। আমার পর তোমরা কুফরিতে ফিরে যেও না। পরস্পর খুনাখুনি করো না। আমি তোমাদের মাঝে এমন দুটি জিনিস রেখে গেলাম, তোমরা তা দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরলে কখনো বিভ্রান্ত হবে না। তা হচ্ছে আল্লাহর কিতাব (পবিত্র কোরআন) ও তাঁর রাসুলের হাদিস। জনমণ্ডলী! তোমাদের প্রভু একজন। তোমাদের পিতাও একজন। তোমরা সবাই আদম থেকে আর আদম মাটি থেকে সৃষ্টি। তোমাদের মাঝে যারা সর্বাধিক মুত্তাকি, খোদাভীরু তারাই আল্লাহর কাছে সর্বাধিক মর্যাদাবান। তাকওয়া ছাড়া কোনো অনারবের ওপর কোনো আরবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই।
জনমণ্ডলী, আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক উত্তরাধিকারীর অংশ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। উত্তরাধিকারীর জন্য কোনো ওসিয়ত প্রযোজ্য নয়। অন্যদের জন্য এক-তৃতীয়াংশের অধিক ওসিয়ত করা বৈধ নয়। আমাদের কিয়ামত দিবসে জিজ্ঞাসা করা হবে। তোমাদেরও জিজ্ঞাসা করা হবে। তখন তোমরা আমার ব্যাপারে কী বলবে? আমি কি তোমাদের নিকট আল্লাহর দ্বীন পৌছে দিয়েছি? উপস্থিত সাহাবায়েকেরাম উত্তর দিলেন, আমরা সাক্ষ্য দেব যে আপনি আপনার দায়িত্ব পৌঁছে দিয়েছেন। হিত কামনা করেছেন। অতঃপর মুহাম্মাদ আকাশের দিকে হাত তুলে তিনবার বললেন, আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন। তারপর বললেন, তোমরা এখানে যারা উপস্থিত আছো তারা অনুপস্থিতদের কাছে (কথাগুলো) পৌঁছে দেবে।|sign=|source=}}
 
=== সহিহ মুসলিমের বর্ণনা<ref name="Hadith 159" /> ===