বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
অবস্থান
২৫°২২′ উত্তর ৮৮°৫৯′ পূর্ব / ২৫.৩৭° উত্তর ৮৮.৯৮° পূর্ব / 25.37; 88.98
ওয়েবসাইটhttp://health.birampur.dinajpur.gov.bd
মানচিত্র
বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন

ইতিহাস সম্পাদনা

দিনাজপুর জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, ব্রিটিশপাকিস্তান আমলে প্রত্যন্ত এলাকায় উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। বিরামপুর থানা যে কয়টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হয়েছে, সেগুলোতে কোনো উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র ছিল না। শুধু বিরামপুরে একটি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র ছিল। সেটি পরবর্তীকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিণত করা হয়। প্রতিটি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজন মেডিকেল অফিসার, একজন ফার্মাসিস্ট, একজন সাব-কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ও একজন এমএলএসএস নিযুক্ত থাকেন। সেই সঙ্গে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের একজন পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা সেখানে গিয়ে পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে পরমর্শ ও ওষুধ দেন। বিরামপুরে ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের ওই পদগুলোতে লোকবল থাকলেও অবকাঠামো নির্মাণ না করায় ইউনিয়নবাসী সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।[১]

বর্তমান পরিস্থিতি সম্পাদনা

 
বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন

প্রত্যেক উপজেলার মতো বিরামপুরেও বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হাসপাতাল স্থাপন করে। বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্তমান শয্যা সংখ্যা ৫০টি। ২০০৮ সালের ৮ জুন ৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করার কার্যাদেশ দেয়া হয়। বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবনে রয়েছে ১৯ শয্যার একটি ওয়ার্ড, তিনটি অস্ত্রোপচার কক্ষ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও কর্মচারীদের জন্য পৃথক পৃথক নতুন আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এদিকে ১৯ শয্যায় বর্ধিত ভবন তৈরির পর ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও উদ্বোধন ও জনবল ছাড়া ৩১ শয্যার জনবল কাঠামো নিয়ে গত ২০ই জুলাই ২০১২ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ) হাসপাতাল-২ অধিশাখা নং স্বপকম/হাস-২/শাখা-১/২০০২(অংশ-২)/৬৯০ অনুসারে ৫০ শয্যার কার্যক্রম চালুর প্রশাসনিক অনুমোদন দিয়েছেন। কিন্তু জনসংকট, চিকিৎসা সরঞ্জামাদির অভাব, অর্থাৎ ১৯ শয্যার জনবল কাঠামোর মধ্যে কখনো টি এইচ, আর এম ও বিভিন্ন বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্টের সার্বক্ষণিক উপস্থিতি নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না।[২]

কর্মকর্তা সম্পাদনা

ডাঃ শাহরিয়ার ফেরদৌস হিমেল হাসপাতালের আর.এম.ও পদে নিযুক্ত আছেন।

স্বাস্থ্যসেবা সম্পাদনা

 
কোভিড টিকাদান কেন্দ্র

পার্শ্ববর্তী চার উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ক্লিনিক থাকলেও বিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের চাপ বেশি। তবুও বিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সংকট রয়েছে। এ কারণে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে।[৩][৪] তাছাড়া বিরামপুর শহরে অর্ধশতাধিক মতো প্রাইভেট ক্লিনিক ও বিশিষ্ট ডাক্তারদের চেম্বার রয়েছে তাই বিত্তবানরা সেসব জায়গায় স্বাস্থ্যসেবা নিতে যান। তবে নিম্ন আয়ের মানুষদের সেবা প্রদান ও উপজেলায় বিভিন্ন স্বাস্থ্য সচেতনামূলক কার্যক্রম পরিচালনায় এই হাসপাতাল অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে।

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

  1. মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে চলছে অপারেশন
  2. দিনাজপুরের বিরামপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ষ্টোর রুমে আগুন · dainik somoysangbad24.com
  3. বিরামপুর হাসপাতালে আগুন | সারাদেশ | The Daily Ittefaq ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৩ জুলাই ২০১৯ তারিখে

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. November 20, বিরামপুরপ্রতিনিধি; AM, 2014 at 12:39। "৩০ বছরেও সাত ইউনিয়নে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র হয়নি"www.prothomalo.com [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৩ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৯ 
  3. "বিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স : চিকিৎসক সংকটে সেবা ব্যাহত"www.bhorerkagoj.com। ২৩ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৯ 
  4. "দিনাজপুরের-৫ উপজেলায় ৩১ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জণবল দিয়ে চলছে ৫০ শয্যার সেবা"dinajpurnews24.com। ২৩ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৯