বিমলচন্দ্র সিংহ (১ ডিসেম্বর ১৯১৭ - ১৭ এপ্রিল ১৯৬১) ছিলেন একজন সংস্কৃত সাহিত্য দর্শনশাস্ত্রে এবং ফরাসি ভাষার সুপণ্ডিত ও একজন চিন্তাশীল লেখক।[১]

বিমলচন্দ্র সিংহ
জন্ম১ ডিসেম্বর, ১৯১৭
মৃত্যু১৭ এপ্রিল, ১৯৬১ (বয়স ৪৪)
কলকাতা
সন্তানঅতীশচন্দ্র সিংহ
বিকাশচন্দ্র সিংহ
পিতা-মাতামনীন্দ্রচন্দ্র সিংহ (পিতা)

সংক্ষিপ্ত জীবনী সম্পাদনা

বিমলচন্দ্র সিংহের জন্ম কলকাতার পাইকপাড়ার রাজ পরিবারে। পিতা মনীন্দ্রচন্দ্র সিংহ। বিমলচন্দ্র বি.এ. ও এম. এ পরীক্ষায় অর্থনীতিতে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিধানচন্দ্র রায়ের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রথম মন্ত্রীসভার ভূমিরাজস্ব মন্ত্রী ছিলেন। মতানৈক্যের জন্য পদত্যাগ করলেও পরে ১৯৫৬ - ৬১ খ্রিস্টাব্দে মন্ত্রীপদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তার আমলেই জমিদারি প্রথার বিলোপ ও জমির উর্ধসীমা আইন তৈরি হয়। তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় স্বনামে ও 'ভীষ্মদেব খোসনবীস জুনিয়র' ছদ্মনামে বহু মূল্যবান প্রবন্ধ প্রকাশ করেন । তার রচিত ও প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল -

  • 'বিশ্বপথিক বাঙ্গালী'
  • 'বাংলার চাষী'
  • 'বঙ্কিম প্রতিভা'
  • 'সমাজ ও সাহিত্য'
  • 'কাশ্মীর ভ্রমণ'
  • 'পশ্চিমবঙ্গের জনবিন্যাস'

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গঠন ও পরিচালনায় তিনি অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন। তাঁদের জমিদারির অন্তর্ভুক্ত এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান শিক্ষাদীক্ষা ও উন্নয়নের জন্য বহু অর্থ ব্যয় করতেন। ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সভ্য ছিলেন। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ২০ জুন বঙ্গীয় আইনসভায় তিনি বাংলা বিভাজনের পক্ষে ও পশ্চিমবঙ্গ প্রতিষ্ঠায় মতদান করেন। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় গঠনে নেতৃত্ব দেন এবং এই প্রতিষ্ঠানের সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি ১৩৫২ - ৫৪ বঙ্গাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের ধনাধ্যক্ষ ও ১৩৫৫-৫৬ বঙ্গাব্দে সহ-সভাপতি ছিলেন। কংগ্রেস নেতা ও সাংসদ অতীশচন্দ্র সিংহ তার জ্যেষ্ঠ পুত্র ছিলেন। কনিষ্ঠ পুত্র ছিলেন প্রখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী বিকাশচন্দ্র সিংহ। অতীশচন্দ্র তার পিতা বিমলচন্দ্রের স্মৃতিতে ২০০২ খ্রিস্টাব্দে মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দিতে বিমলচন্দ্র কলেজ অফ ল' স্থাপন করেন।

মৃত্যু সম্পাদনা

বিমলচন্দ্র সিংহ ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দের ১৭ই এপ্রিল ৪৪ বৎসর বয়সে কলকাতায় প্রয়াত হন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬, পৃষ্ঠা ৪৮৪, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬