বাগরাতি ক্যাথেড্রাল
ক্যাথেড্রাল অফ দ্যা বা কুটাসি ক্যাথেড্রাল যা সাধারণ ভাবে বাগরাতি ক্যাথেড্রাল নামে সমধিক পরিচিত (Georgian: ბაგრატი; ბაგრატის ტაძარი, বা বাগারাতিস তাদজারি) হচ্ছে জর্জিয়ার ইম্রেতি অঞ্চলের কুটাসি শহরে অবস্থিত ১১ শতকের ক্যাথেড্রাল। মধ্যযুগীয় জর্জীয় স্থাপত্যকলার অনন্য নিদর্শন ক্যাথেড্রালটি শতাব্দীর পর শতাব্দী বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ১৯৫০ সাল থেকে শুরু হওয়া ধাপে ধাপে সংস্কারকাজের মাধ্যমে ক্যাথেড্রাল টি বর্তমান রূপ পেয়েছে। ২০১২ সালে বড়সড় একটা সংরক্ষণ কাজ সম্পন্ন হয়। কুটাসির নান্দনিক সৌন্দর্যে ক্যাথেড্রাল অন্যমাত্রা যোগ করেছে, এটা উকিমেরিওনি পাহাড়ের উপর অবস্থিত।
বাগরাতি ক্যাথেড্রাল ბაგრატის ტაძარი | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | জর্জীয় অর্থোডক্স গির্জা |
অবস্থান | |
অবস্থান | কুটাইসি, ইমরেতি, জর্জিয়া |
স্থানাঙ্ক | ৪২°১৬′৩৮″ উত্তর ৪২°৪২′১৫″ পূর্ব / ৪২.২৭৭৩° উত্তর ৪২.৭০৪৩° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | গির্জাঘর |
স্থাপত্য শৈলী | জর্জীয় স্থাপত্যশৈলী |
সম্পূর্ণ হয় | ১১ শতক |
গম্বুজসমূহ | ১, পুনঃনির্মিত |
প্রাতিষ্ঠানিক নাম: বাগরাতি ক্যাথেড্রাল এবং গেলাতি মঠ | |
ধরন | সাংস্কৃতিক |
মানদণ্ড | iv |
পর্যাদাপ্রাপ্ত হয় | ১৯৯৪ (18th session) |
সূত্র নং | 710 |
UNESCO Region | ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা |
বিপদাপন্ন | ২০১০–বর্তমান |
ইতিহাস সম্পাদনা
বাগরাতি ক্যাথেড্রাল ১১ শতকের প্রথমদিকে রাজা ৩য় বাগরাতের শাসনামলে নির্মিত হয় সেজন্য একে বাগরাতি বা বাগরাতি ক্যাথেড্রাল বলা হয়। উত্তর দেয়ালের এক লিপি থেকে জানা যায় মেঝের নির্মাণকাল ক্রোনিকন ২২৩ যা ১০০৩ খ্রিষ্টাব্দ কে উল্লেখ করে। ১৬৯২ সালে ইমেরেতি রাজ্য জয়কারী অটোমান বাহিনীর হাতে এটা একবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ঘটনার ফলে কুপোলা এবং সিলিং ধ্বসে পড়ে।
প্রত্নতত্ত্বীয় গবেষণার পাশাপাশি সংরক্ষণ এবং সংস্কার ১৯৫০ এর দশকে শুরু হয়। জর্জীয় স্থাপত্যবিদ ভাখতাং সিন্তসাদজে এর নেতৃত্ব দেন। ভাখতাংয়ের নেতৃত্বে সংস্কার কাজ ছয় ভাগে ভাগ করে কয়েক দশকব্যাপী করা হয় যা ১৯৯৪ পর্যন্ত চলে। ১৯৯৪ সালেই বাগরাতি ক্যাথেড্রাল গেলাতি মঠের সাথে একত্রে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় একটি স্থান দখল করে। ২০০১ সালে ক্যাথেড্রালের মালিকানা জর্জিয়া রাজ্যের হাত থেকে জর্জীয় অর্থোডক্স গির্জার হাতে সমর্পণ করা হয়। বর্তমানে এটি সীমাবদ্ধ ধর্মীয় কাজে ব্যবহৃত হলেও প্রচুর তীর্থযাত্রী এবং পর্যটককে আকৃষ্ট করে। এটাকে কুটাসি শহরের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয় এবং শহরের প্রধান পর্যটন স্থান।
বর্তমান অবস্থা সম্পাদনা
২০১০ সালে জর্জিয়া ইতালীয় স্থাপত্যবিদ এন্ড্রু ব্রুনোর নেতৃত্বে বাগরাতি ক্যাথেড্রালকে ধর্মীয় স্থান হিসেবে তার আদি দশায় ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ [১]। ২০১০ সালে ইউনেস্কো বাগরাতি ক্যাথেড্রালকে বিপদাপন্ন বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। কারণ চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া এর আদি গঠনকে পরিবর্তন করে ফেলতে পারে এবং স্থানটি তার আদি বৈশিষ্ট্য হারাতে । সংস্কার কাজের পূর্বে ২০০৮ সালে ICOMOS বাগরাতির গঠনে পরিবর্তন আনার ব্যাপারে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে। তবে বলা হয় সরকারের পক্ষ থেকে এমন সংস্কার মূলক পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে যা স্থাপনাটির ঐতিহাসিক মূল্যকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়।[২]
২০১১ সালে ইউনেস্কো জর্জীয় সরকারের কাছে একটি পুনর্বাসন ধারণা উন্নয়নের আবেদন জানায় যা সাম্প্রতিক বছর গুলোতে করা পরিবর্তনকে উলটে দিতে পারবে। কিন্তু এই পুনঃ পরিবর্তনগুলো পারতপক্ষে অপরিবর্তনীয় করতে হবে।[৩] ২০১৩ সালে স্থাপত্যবিদ এন্ড্রু ব্রুনো জর্জিয়া সরকারের স্বর্ণপদক লাভ করেন বাগরাতি ক্যাথেড্রাল সংস্কারকার্যে তার অবদানের জন্য এবং সংস্কার ও সংরক্ষণের জন্য ইউনিভারসিটি অভ ফেরেরা দোমাস তাকে আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রদান করে।[৪][৫]
চিত্রশালা সম্পাদনা
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ Bagrati Cathedral - Copy or Original, Tabula, 4 September 2012
- ↑ UNESCO Report on the Mission to Historical Monuments of Mtskheta and Bagrati Cathedral and Gelati Monastery, Georgia, June 2–10, 2008.
- ↑ [১] Decision - 35COM 7A.29 - Bagrati Cathedral and Gelati Monastery (Georgia) (C 710), Paris, 7 July 2011
- ↑ ბაგრატის პროექტის არქიტექტორი დააჯილდოვეს[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], Rustavi 2, 23 March 2013
- ↑ Domus International Prize for Restoration and Conservation, ArchDaily, 12 October 2015