বাংলাদেশের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা

পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা একটি দেশের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা। মূলত একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি ভবিষ্যত অর্থনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশে এই পরিকল্পনাগুলো পাঁচ বছরের জন্য তৈরি করা হয় বিধায় একে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা হিসেবেই আখ্যায়িত করা হয়। এই পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাগুলো প্রেক্ষিত পরিকল্পনার অধীনে একটি স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা হিসেবে গৃহীত হয়। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন গঠনের পর দেশের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করে। এ কমিশন ১৯৭৩ সালে প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করে।।[১][২][৩][৪]

ইতিহাস সম্পাদনা

পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন জোসেফ স্তালিন; তিনিই ১৯২৮ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন।[৫] তখন থেকেই দেশগুলো আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো পরিবর্তন, পরিবর্ধনের লক্ষ্যে উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন শুরু করে। মুক্তিযুদ্ধের আগে সাবেক পাকিস্তান আমলে ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বেশ কয়েকটি উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। ১৯৫১ সালে কলম্বো পরিকল্পনার আওতায় পাকিস্তানে সর্বপ্রথম একটি ৬ষ্ঠ বার্ষিক পরিকল্পনা (১৯৫১-১৯৫৭) গৃহীত হয় এর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ১৯৫৫ সালে প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা শুরু করা হয়।[৬] এর পর ১৯৬০ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং ১৯৬৫ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত তৃতীয় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গৃহীত হয়।[৭] এসব পরিকল্পনার মাধ্যমে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের উন্নয়ন ঘটলেও পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ বর্তমানের বাংলাদেশে কোন উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক পরিবর্তন ঘটেনি বললেই চলে। মুক্তিযুদ্ধের পর ৩১ জানুয়ারি, ১৯৭২ সালে পরিকল্পনা কমিশন গঠন থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক পুর্নগঠন এবং উন্নয়নের লক্ষ্যে উন্নয়ন পরিকল্পনা ধারার বিস্তৃতি ঘটে; পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (১৯৭৩–১৯৭৮) গৃহীত হয়।[৮] এ পর্যন্ত সরকার আটটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।[৯]

প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (১৯৭৩–১৯৭৮) সম্পাদনা

বাংলাদেশে অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য সামনে রেখে প্রথম পঞ্চপার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়।[১০] গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ, রাষ্ট্রীয় এ চার মূলনীতি, দারিদ্র্য ও বেকারত্ব হতে মুক্তি এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতির পুনর্গঠন প্রভৃতি বিষয়ের প্রেক্ষাপটে পরিকল্পনার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যগুলো নির্ধারিত হয়।[১১]

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পাদনা

প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার প্রধান লক্ষ্যই ছিলো বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি, ভৌগলিক অবস্থান, অনুন্নত অবকাঠামো, স্থবির কৃষিপ্রকৃতি, দ্রুত বর্ধমান জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন পরিকল্পনা করা।[১২]

জিডিপি বৃদ্ধির এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল মূলত কৃষি উন্নয়ন ক্ষুদ্র-বৃহৎ শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে অর্জিত মূলধনকে কাজে লাগিয়ে।[১৪] সর্বপরি একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাবলম্বী করে তোলাই ছিলো এর কাজ।

দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (১৯৮০–১৯৮৫) সম্পাদনা

প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় পঞ্চ-বার্ষিক পরিকল্পনা শুরু না হয়ে ১৯৭৮ থেকে ১৯৮০ এ দু বছরের জন্য একটি দ্বি-বার্ষিক পরিকল্পনা রচনা করা হয়।[১৫] দ্বি-বার্ষিক পরিকল্পনা শেষে সরকার ১৯৮০ সালের জুলাই মাসে দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা হাতে নেয়। পরিকল্পনার আয়তন ছিল ২৫৫৯৫ কোটি টাকা। সরকারি খাতে বরাদ্দ ছিলো ২০২১৫ কোটি টাকা ও বেসরকারি বরাদ্দ ৫৪৭৫ কোটি টাকা। কিন্তু দেশে আর্থিক সম্পদ সংস্থানের হার আশানুরূপ না হওয়ায় এবং বৈদেশিক সাহায্যেও পরিমাণ কমে যাওয়ায় পরবর্তীকালে পরিকল্পনার আয়তন ও ব্যয় বরাদ্দ পরিবর্তিত হয়।[১৬] বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ১৯৮২ সালের নভেম্বর মাসে দ্বিতীয় পঞ্চ-বার্ষিক পরিকল্পনার মোট ব্যয় পুনঃনির্ধারণ করা হয়। সংশোধিত পরিকল্পনার মোট ব্যয় ১৭২০০ কোটি টাকার মধ্যে সরকারি খাতে ১১১০০ কোটি টাকা এবং বেসরকারি খাতে ৬১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়।[১৭] এর মধ্যে দেশীয় অংশ থেকে ৯৫০০ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক সাহায্য ও বিনিয়োগ বাবদ ৭৭০০ কোটি টাকা পাওয়া যাবে বলে ধরা হয়। পরিকল্পনায় বৈদেশিক সহযোগিতার হার ছিল শতকরা ৫৮ ভাগ।[১৮]

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পাদনা

এ পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য ছিলো জিডিপি শতকরা ৫.৪ ভাগ হারে বাড়ানো, জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার শতকরা ২.৮০ হতে ২.২৩-তে আনা এবং মাথাপিছু আয় বার্ষিক শতকরা ৩.৫ ভাগ হারে বাড়ানো। ১৯৮৪-৮৫ সাল নাগাদ খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১.৭৫ কোটি মেট্রিক টন।

  • গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে প্রাধান্য;
  • নিরক্ষরতা দূরীকরণ;
  • স্বনির্ভরতা অর্জন;
  • সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা;
  • খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন;
  • কৃষিক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির হার ৫.০% এবং শিল্পক্ষেত্রে ৮.৪% অর্জন;
  • ১৯৮০-৮৫ সাল নাগাদ জাতীয় সঞ্চয় স্থূল অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ৭.১৬% নির্ধারণ।[১৯]

তৃতীয় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (১৯৮৫–১৯৯০) সম্পাদনা

তৃতীয় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় মোট ৩৮৬০০ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ করা হয়। এর মধ্যে ২৫০০০ কোটি টাকা সরকারি খাতে এবং ১৩৬০০ কোটি টাকা বেসরকারি খাতে বরাদ্দ করা হয়। মোট ব্যয়ের মধ্যে ১৭৫৭২ কোটি টাকা দেশজ সম্পদ হতে, সরকারি সঞ্চয় ৫৯৬০ কোটি টাকা, বেসরকারি সঞ্চয় ১১৬১২ কোটি টাকা এবং ২১০২৮ কোটি টাকা বৈদেশিক সাহায্য থেকে সংগ্রহ করা হবে বলে ধরা হয়।[২০] এ পরিকল্পনায় বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভশীলতার হার ধরা হয় ৫৪.৫ শতাংশ।[২১]

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পাদনা

এ পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য ছিলো জিডিপি শতকরা ৫.৪ ভাগ হারে বাড়ানো, জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার শতকরা ১.৮ শতাংশে কমিয়ে আনা এবং মাথাপিছু আয় বার্ষিক শতকরা ৩.৫ ভাগ হারে বাড়ানো। ১৯৮৯-৯০ সাল নাগাদ খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ২.০৭ কোটি মেট্রিক টন।

  • উৎপাদনমুখী কর্মসংস্থান সৃষ্টি;
  • সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণ;
  • গড় বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ৫.৪% নির্ধারণ;
  • কৃষিখাতে প্রবৃদ্ধির হার ৪%, শিল্পখাতে প্রবৃদ্ধির হার ১০.১%, বিদ্যুৎ ও গ্যাস খাতে ৯.৬%, নির্মাণ খাতে ৪.৯%, পরিবহন খাতে ৬.৯% এবং অন্যান্য খাতে ৫.৮% নির্ধারণ;
  • ৫১ লক্ষ অতিরিক্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে মোট ২৪৪ লক্ষ লোকে কর্মসংস্থান নির্ধারণ;
  • মোট জাতীয় সঞ্চয় স্থূল অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ১০% নির্ধারণ;
  • জাতীয় করের অংশ ১০.৩% নির্ধারণ;
  • রপ্তানির পরিমাণ ৫.৯% বাড়ানো।[২২]

চতুর্থ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (১৯৯০–১৯৯৫) সম্পাদনা

বাংলাদেশের তৃতীয় পঞ্চ-বার্ষিক পরিকল্পনার কাঠামোগত ক্রুটির জন্য অধিকাংশ লক্ষ্যই অর্জিত হয়নি। তাই অর্থনীতির কাঠামোগত পরিবর্তনের লক্ষ্যে ১৯৯০–২০১০ সাল পর্যন্ত একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। এ দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই বাংলাদেশের চতুর্থ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণীত হয়।[২৩] চতুর্থ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পডনার আয়তন নির্ধারণ করা হয় ৬২০০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৩৪৭০০ কোটি টাকা এবং বেসরকারি খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয় ২৭৩০০ কোটি টাকা। আয়ের উৎস্যের মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৩৪৫৫০ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক সাহায্য থেকে ২৭৪৫০ কোটি টাকা সংগৃহীত হবে বলে ধরা হয়। বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীলতার হার ছিল শতকরা প্রায় ৪৪ ভাগ।[২৪]

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পাদনা

এ পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য ছিলো সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা।[২৫] ১৯৯০ সালের শুরুর দিকে প্রাথমিক শিক্ষা (বাধ্যতামূলক করণ) আইন পাশ হয়।[২৬] পরবর্তীতে ১৯৯২ সালে প্রতি জেলার একটি করে থানায় পরীক্ষামূলকভাবে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা প্রথমে চালু করা হয়। ১৯৯৩ সাল থেকে সারাদেশে তা সম্প্রসারণ করা হয়।[২৭] এ আইনের অধীনে ৬টি কমিটি– জাতীয় পর্যায়ের কমিটি, জেলা কমিটি, থানা কমিটি, ইউনিয়ন কমিটি, পৌর এলাকায় ওয়ার্ড কমিটি এবং পল্লী এলাকায় ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হয়।[২৮]

  • আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে খাল খনন, বনায়ন, শাকসবজি, খামার, মৌমাছি চাষের ব্যবস্থা;
  • কৃষিখাতে প্রবৃদ্ধির হার ৩.৪২%, শিল্পখাতে প্রবৃদ্ধির হার ৯.০২%, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও প্রাকৃতিক সম্পদ খাতে ৯.২৮%, নির্মাণ খাতে ৫.৮৬%, যোগাযোগ ও পরিবহন খাতে ৫.৩৯%, গৃহায়ন খাতে ৩.৬২%, সরকারি সেবা খাতে ১০.৫৬% এবং অন্যান্য সেবা খাতে ৫.০% নির্ধারণ;
  • অনুন্নত এলাকা উন্নয়নে ব্যবস্থা গ্রহণ;
  • শিল্পখাতকে রপ্তানিমুখী হিসেবে তৈরির ব্যবস্থা;
  • দেশীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে অর্থনৈতিক অবকাঠামোর পরিবর্তন।

পঞ্চম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (১৯৯৭–২০০২) সম্পাদনা

পঞ্চম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় মোট ১৯৬০০০ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ করা হয়। এর মধ্যে ৮৬০০০ কোটি টাকা সরকারি খাতে এবং ১১০০০০ কোটি টাকা বেসরকারি খাতে বরাদ্দ করা হয়। মোট ব্যয়ের মধ্যে ১৫২০০০ কোটি টাকা দেশজ সম্পদ হতে, ৪৪০০০ কোটি টাকা বৈদেশিক সাহায্য থেকে সংগ্রহ করা হবে বলে ধরা হয়।[২৯][৩০][৩১]

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পাদনা

এ পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য ছিলো জিডিপি শতকরা ৭.০ ভাগ হারে বাড়ানো, জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার শতকরা ১.২ শতাংশে কমিয়ে আনা, মাথাপিছু আয় বার্ষিক শতকরা ৫.৫ ভাগ হারে বাড়ানো এবং অন্ততঃ ৫০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে দারিদ্রসীমার উপরে তুলে নিয়ে আসা।[৩২] এই পরিকল্পনার মধ্যেই বাংলাদেশ ১৯৯৭-৯৮ সালে প্রথমবারের মত খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে।[৩৩]

  • শ্রমঘন ও পুঁজিঘন প্রযুক্তির সমন্বয়ে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি;
  • গ্রামীন জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন;
  • ইলেকট্রনিক্স ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর গুরুত্ব আরোপ;
  • গ্রামীণ আর্থসামাজিক অবকাঠামোর উন্নয়ন;
  • অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নারী-পুরুষের ব্যবধান কমানো;
  • বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণ।

ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১১–২০১৫) সম্পাদনা

২০০২ থেকে ২০০৯-১০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে কোনো পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গৃহীত হয়নি। এ সময় বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংক প্রণোদিত দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্র নিয়ে কাটিয়েছে।[৩৪] এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ মার্চ, ২০০৩ সালে অর্থনৈতিক, প্রবৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচন ও সামাজিক উন্নয়নের কৌশল নামে প্রথম অন্তবর্তীকালীন কৌশলপত্র প্রণয়ন করে। পরবর্তীতে এই অন্তবর্তীকালীন কৌশলপত্রকে ভিত্তি করে অক্টোবর, ২০০৫ সালে অধিকতর ও ব্যাপক কর্মসূচি ও কৌশল প্রণয়নে কাজ সম্পন্ন করা হয়। এই কৌশলপত্রটি পিআরএসপি নামে অধিক পরিচিত।[৩৫] পরবর্তীতে সরকার বদলে গেলে এই কৌশলপত্র তার অবস্থান হারায়। ২০১১ সালে প্রণীত হয় ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আয়তন নির্ধারণ করা হয় ১৩৪৬৯.৪ বিলিয়ন টাকা। এর মধ্যে সরকারি খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৩০৭৫.৮ বিলিয়ন টাকা এবং বেসরকারি খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয় ১০৩৯৩.৬ বিলিয়ন টাকা। আয়ের উৎস্যের মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১২২১৫.৩ বিলিয়ন টাকা এবং বৈদেশিক সাহায্য থেকে ১২৫৪.১ বিলিয়ন টাকা সংগৃহীত হবে বলে ধরা হয়। বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীলতার হার ছিল শতকরা ৯.৩ ভাগ।[৩৬][৩৭][৩৮]

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পাদনা

এ পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য ছিলো ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণার বাস্তবায়ন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১১ নভেম্বর, ২০১১ সালে জনগণের দোরগোড়ায় সহজ, দ্রুত ও স্বল্পব্যয়ে সরকারি সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে দেশে ৪৫০১টি ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র (ইউডিসি) উদ্বোধন করা হয়।[৩৯] এছাড়াও এই পরিকল্পনায় ২০১৫ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ১৫ হাজার ২০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করা পরিকল্পনা করা হয়েছিলো, যার ফলে দেশের ৬৫ শতাংশ অঞ্চল বিদ্যুৎের আওতায় আসবে।[৪০] পাশাপাশি ২০১৫ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার সাড়ে ৩১ থেকে ২২ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। প্রতিবছর প্রবৃদ্ধির হার গড়ে ৭.৩% অর্জনের মাধ্যমে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি আট শতাংশে উন্নীত করার ঘোষণা রয়েছে।[৪১]

  • অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিতকরণ;
  • বণ্টন বৈষম্য দূরীকরণ;
  • ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে বিনিয়োগ;
  • দেশজ বিনিয়োগ কর্মসূচির আওতায় খাদ্য নিরাপত্তা প্রদান;
  • সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা সমন্বয়;
  • প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা শক্তিশালীকরণ;

সর্বপরি, রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নই ছিলো এই পরিকল্পনার বৃহৎ একটি অংশ।[৪২]

সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১৬–২০২০) সম্পাদনা

প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিতকরণ, নাগরিক ক্ষমতায়ন এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ২০ অক্টোবর, ২০১৫ সালে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গৃহিত হয়।[৪৩] সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আয়তন নির্ধারণ করা হয় ৩১৯০২.৮ বিলিয়ন টাকা। এর মধ্যে সরকারি খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৭২৫২.৩ বিলিয়ন টাকা এবং বেসরকারি খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয় ২৪৬৫০.৫ বিলিয়ন টাকা। আয়ের উৎস্যের মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ২৮৮৫১ বিলিয়ন টাকা এবং বৈদেশিক সাহায্য থেকে ৩০৫২ বিলিয়ন টাকা সংগৃহীত হবে বলে ধরা হয়। বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীলতার হার ছিল শতকরা ৯.৬ ভাগ।[৪৪]

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পাদনা

এ পরিকল্পনার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিলো, কৃষি থেকে শিল্প অর্থনীতিতে উত্তরণ এবং মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তরের পথ প্রশস্তকরণ।[৪৫] এছাড়াও এ পরিকল্পনার লক্ষ্য ছিলো জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশে উন্নীতকরণ, দারিদ্র্য দূরীকরণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে নিয়ে আসা।[৪৬] প্রধান পরিকল্পনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো প্রাথমিক শিক্ষার হার শতভাগ এবং দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার হার ৬০ শতাংশে উন্নীত করা, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ শতাংশে নামিয়ে আনা, দারিদ্র্যের হার ১৮.৬০ শতাংশে নামিয়ে আনা এবং চরম দারিদ্র্যের হার ৮.৯ শতাংশে নামিয়ে আনা এবং গড় আয়ু ৭২ বছরে উন্নীত করা।[৪৭] এরমধ্যে সাক্ষরতার হার বেড়েছে ৭৩ শতাংশ পর্যন্ত। প্রাথমিকে ঝরে পড়ার হার এসেছে ২০.৯ শতাংশ পর্যন্ত। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তির হার বেড়ে হয়েছে ৬২ শতাংশ, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ভর্তির হার বেড়ে হয়েছে ৪৪ শতাংশ এবং কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ শতাংশে।[৪৮] সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো ও বিজ্ঞান শিক্ষার মানোন্নয়ন প্রকল্পও এই পরিকল্পনার অধীনে ছিলো।[৪৯]

  • ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রবর্তন;
  • টেকসই মানব উন্নয়ন পরিকল্পনা;
  • টেলিফোন ও ব্রডব্যান্ড পরিষেবা নিশ্চিতকরণ;
  • নিরাপদ পানীয় জলের সহজলভ্যতা;
  • অন্তর্ভূক্তিমূলক, স্বচ্ছ, জবাবদিহিতামূলক শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন;
  • পরিবেশ সংরক্ষণ।

অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০২০–২০২৫) সম্পাদনা

সকলের সাথে সমৃদ্ধির পথে এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ২ ডিসেম্বর, ২০২০ সালে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গৃহিত হয়।[৫০] অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আয়তন নির্ধারণ করা হয় ৬৪৯৫৯.৮ বিলিয়ন টাকা। এর মধ্যে সরকারি খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয় ১২৩০১.২ বিলিয়ন টাকা এবং বেসরকারি খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৫২৬৫৮.৬ বিলিয়ন টাকা। আয়ের উৎস্যের মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৫৭৪৮৯.৪ বিলিয়ন টাকা এবং বৈদেশিক সাহায্য থেকে ৭৪৭০.৪ বিলিয়ন টাকা সংগৃহীত হবে বলে ধরা হয়। বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীলতার হার ছিল শতকরা ১১.৫ ভাগ।[৫১]

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পাদনা

এ পরিকল্পনার প্রধান লক্ষ্য হলো কর্মসংস্থান সৃষ্টি। ১ কোটি ১৬ লাখ কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৮১ লাখ ৭০ কর্মসংস্থান দেশের অভ্যন্তরে এবং বাকি ৩৫ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে প্রবাসে।[৫২] ২০২১ সালে ২১ লাখ ৬০ হাজার, ২০২২ সালে ২২ লাখ ৩০ হাজার, ২৩ সালে ২৩ লাখ ৩০, ২৪ সালে ২৪ লাখ ২০ এবং ২০২৫ সালে ২৫ লাখ ৩০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এই পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়।[৫৩] এছাড়াও কোভিড-১৯ এর কারণে অর্থনীতি বাধাগ্রস্থ হওয়ায় জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে ধরা হয়েছে ৮.৫১ শতাংশে।[৫৪] এছাড়াও কোভিড-১৯ সময়কালে ১১৯২.৪ বিলিয়ন টাকার সমপরিমাণ প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়িত হয়েছে, কেবলমাত্র স্বল্পকালীন বেকারত্ব দূরীকরণে।[৫৫] পাশাপাশি রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে দেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল সৃষ্টির মাধ্যমে রপ্তানি আয় ৩০০ বিলিয়ন ডলারে নেওয়ার পরিকল্পনাও গৃহিত হয়েছে।[৫৬] জাতিসংঘ প্রণোদিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে প্রণীত ডেভেলপমেন্ট রেজাল্টস্ ফ্রেমওয়ার্কের ১০৪টি সূচকের মধ্যে ৬৬টি সূচক এ পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়ছে।[৫৭] তবে এ পরিকল্পনায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ কমানো হয়েছে; বিগত পরিকল্পনা থেকে প্রায় ৫ শতাংশ বরাদ্দ কমানো হয়েছে।

  • পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিদেশে কর্মী পাঠানোর সুযোগ তৈরি;
  • সার্বিক মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে ৫.৫%; যা ধাপে ধাপে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৪.৮ শতাংশে নামবে;
  • দারিদ্রতার হার ১৫.৬% এ আনয়ন;
  • ২০৩১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীতকরণ।
  • টেকসই উন্নয়নের জন্য পথপরিক্রমা প্রণয়ন;
  • বিনিয়োগের লক্ষ্য ধরা হয়ছে স্থূল অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ৩৭.৪০%।[৫৮]

আরো দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "বাজেট ৭৮৬ কোটি টাকা থেকে যেভাবে ৭ লাখ কোটি টাকা হয়েছে"bbc.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  2. "৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির চালচিত্র"newsbangla24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  3. "দেশের উন্নয়নের মূল ভিত্তি সর্বজনীন পরিকল্পনা"bonikbarta.net। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  4. "পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা"thpbd.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  5. "সোভিয়েত ইউনিয়ন যেন আধুনিক রূপকথা"samakal.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  6. "ইতিহাস, কলম্বো পরিকল্পনা"colombo-plan.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  7. "পরিকল্পনা ভাবনা ও বাস্তবায়ন"ittefaq.com.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  8. "পরিকল্পনা কমিশন, বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  9. "অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় দক্ষতার উন্নয়নে বিনিয়োগ"prothomalo.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  10. "প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (প্রথম অংশ)" (পিডিএফ)plancomm.portal.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  11. "প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (দ্বিতীয় অংশ)" (পিডিএফ)plancomm.portal.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  12. "সমতাভিত্তিক দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর নীতি-পরিকল্পনা"ebarta24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  13. "বঙ্গবন্ধুর পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার মাইলফলক"jugantor.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  14. "বঙ্গবন্ধুর আদর্শ : বৈষম্যহীন অর্থনীতি"jugantor.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  15. "বার্ষিক কর্ম-পরিকল্পনা ও পাঠ-পরিকল্পনা, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়" (পিডিএফ)ebookbou.edu.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  16. "দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (প্রথম অংশ)" (পিডিএফ)plancomm.portal.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  17. "দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (দ্বিতীয় অংশ)" (পিডিএফ)plancomm.portal.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  18. "স্বাধীনতা পরবর্তী চার দশকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গুণগত অর্জন" (পিডিএফ)bids.org.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  19. "জিডিপির পরিকল্পনা ও বাস্তবতায় ফারাক বাড়ছে"dailyjanakantha.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  20. "তৃতীয় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা" (পিডিএফ)plancomm.portal.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  21. "Mid-Term Review of The Third Five Year Plan (1985–90)" (পিডিএফ)plancomm.portal.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  22. "প্রাণোদ্দীপ্ত বাংলাদেশ : স্থিতিশীলতা ও সম্ভাবনার অর্থনীতি" (পিডিএফ)bb.org.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  23. "চতুর্থ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (প্রথম অংশ)" (পিডিএফ)plancomm.portal.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  24. "চতুর্থ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (দ্বিতীয় অংশ)" (পিডিএফ)plancomm.portal.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  25. "প্রাথমিক শিক্ষা ও প্রান্তিক যোগ্যতা"dainikshiksha.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  26. "প্রাথমিক শিক্ষা (বাধ্যতামূলক করণ আইন), ১৯৯০"bdlaws.minlaw.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  27. "বাংলাদেশের সর্বজনীন ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়" (পিডিএফ)ebookbou.edu.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  28. "স্বাধীনতার ৫০ বছরের প্রাথমিক শিক্ষার হালচাল"dainikshiksha.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  29. "পঞ্চম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (প্রথম অংশ)" (পিডিএফ)plancomm.portal.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  30. "পঞ্চম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (দ্বিতীয় অংশ)" (পিডিএফ)plancomm.portal.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  31. "পঞ্চম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (তৃতীয় অংশ)" (পিডিএফ)plancomm.portal.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  32. "BANGLADESH: Fifth Five Year Plan"asiapacificenergy.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  33. "বাংলাদেশ যেভাবে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলো"jagonews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  34. "নয়া জাতীয় পরিকল্পনার প্রেক্ষাপট ও আমাদের অর্জন"bonikbarta.net। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  35. "Unlocking the Potential: National Strategy for Accelerated Poverty Reduction" (পিডিএফ)planipolis.iiep.unesco.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  36. "ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (প্রথম অংশ)" (পিডিএফ)plancomm.portal.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  37. "ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (দ্বিতীয় অংশ)" (পিডিএফ)plancomm.portal.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  38. "ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (তৃতীয় অংশ)" (পিডিএফ)plancomm.portal.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  39. "ডিজিটাল সেন্টার : জনগণের দোরগোড়ায় সেবা"abnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  40. "বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড" (পিডিএফ)breb.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  41. "দেশে ১৫ বছরে দারিদ্র্যের হার অর্ধেকে নেমেছে"samakal.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  42. "রূপকল্প ২০২১ : কতটা বাস্তবায়ন হলো"banglatribune.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  43. "সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা : লক্ষ্য ও অর্জন"jugantor.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  44. "সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা" (পিডিএফ)plancomm.portal.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  45. "সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সাত শিক্ষা"cpd.org.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  46. "সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ৬ খাতে অগ্রাধিকার"samakal.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  47. "বাংলাদেশের অর্থনীতি উন্নয়ন পরিকল্পনার প্রেক্ষিত ও পঞ্চবার্ষিকী"teachers.gov.bd/। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  48. "শিক্ষা সাফল্যে বাংলাদেশ"protidinersangbad.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  49. "৩২৩ সরকারী হাইস্কুল আর দু'শ' কলেজ উন্নয়নে মেগাপ্রকল্প"dailyjanakantha.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  50. "অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা: উন্নত বাংলাদেশের রূপরেখা"dailyjanakantha.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  51. "অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা" (পিডিএফ)plandiv.portal.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  52. "কর্মসংস্থানে লক্ষ্য কমাচ্ছে সরকার"prothomalo.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  53. "চূড়ান্ত অনুমোদন পেল অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা"banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  54. "অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় শ্রম অভিবাসন: একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ"ovibashi.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  55. "অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় কর্মসংস্থান প্রেক্ষিত"ittefaq.com.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  56. "রূপকল্প ২০৪১- ৪র্থ শিল্প বিপ্লব"dailyjanakantha.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  57. "এসডিজি অর্জনে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা"bonikbarta.net। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  58. "৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা: শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে কম, পরিবহন খাতে কেন বরাদ্দ বেশি?"tbsnews.net। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা