বাংলাদেশের জেলা পরিষদ

জেলা পরিষদ হল বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার একটি একক,[১] যা রাষ্ট্রে বিদ্যমান তিন ধরনের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার জেলা পর্যায়ে কাজ করে। এর প্রধান হলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং এ সংস্থা ৮টি খাত নিয়ে কাজ করে।[১]

ইতিহাস সম্পাদনা

জেলা পরিষদ বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার (জেলা পরিষদ) আইন ১৯৮৮ অনুযায়ী মনোনীত ও নিয়োগকৃত সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয়। পরিষদের অর্ধেক সদস্য হল নির্বাচিত (এর মধ্যে রয়েছে সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভা ও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান) এবং অর্ধেক সরকার কর্তৃক মনোনীত সরকারী কর্মকর্তা। পরবর্তীতে, বাংলাদেশ সরকার ২০০০ সালের ৬ জুলাই জেলা পরিষদ আইন, ২০০০ প্রবর্তন করে এবং এর অধীনে খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলা ব্যতীত অন্যান্য জেলায় জেলা পরিষদ গঠনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

সাংগঠনিক কাঠামো সম্পাদনা

একজন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য এবং সংরক্ষিত আসনের ৫ জন মহিলা সদস্য নিয়ে জেলা পরিষদ গঠিত। একটি নবগঠিত জেলা পরিষদের মেয়াদকাল পাঁচ বছর। জেলা পরিষদের নির্বাহী একজন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি সরকারের উপ সচিব পদমর্যাদার হয়ে থাকেন।

কার্যাবলি সম্পাদনা

জেলা পরিষদের কার্যাবলি দুই ধরনের -

  • আবশ্যিক
  • ঐচ্ছিক

আবশ্যিক সম্পাদনা

  • জেলার সকল উন্নয়ন কার্যক্রম পর্যালোচনা।
  • সাধারণ পাঠাগারের ব্যবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণ।
  • জনপথ, কালভার্ট ও ব্রিজ নির্মাণ,রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন
  • রাস্তার পাশে বৃক্ষরোপণ ও রক্ষণাবেক্ষণ
  • উপজেলা ও পৌরসভাকে সহায়তা, সহযোগিতা এবং উৎসাহ প্রদান।
  • সরকার কর্তৃক অর্পিত উন্নয়ন পরিকল্পনার বাস্তবায়নসহ অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করা ও বাস্তবায়নকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতা।
  • উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভা কর্তৃক প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা।

ঐচ্ছিক সম্পাদনা

  • শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংক্রান্ত কার্যক্রম
  • সমাজ উন্নয়নমূলক কার্যক্রম
  • সামাজিক সমস্যা প্রতিরোধ ও সালাশী কার্যক্রম
  • অর্থনৈতিক কল্যাণমূলক কার্য

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "স্থানীয় সরকার"বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৮