বগীবিল সেতু
বগীবিল সেতু (অসমীয়া: বগীবিল দলং) আসামএর ডিব্রুগড় জেলার বগীবিল নামক স্থানে অবস্থিত। এইটি অসমের ব্রহ্মপুত্র নদীর চতুর্থ সেতু। ১৯৯৭ সনের ২২ জানুয়ারি তারিখে ব্রহ্মপুত্র নদীর উত্তর পারে অবস্থিত সিসিবরগাওয়ের কুলাজান নামক স্থানে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এইচ. ডি. দেবগৌড়া ইহার আধারশীলা নির্মাণ করেছিলেন। বগীবিল সেতু দোতালা বিশিষ্ট সেতু । ইহা রেল ও গাড়ি চলাচলের জন্য উপযোগী। ২০০২ সনে প্রধামন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী বগীবিল সেতু নির্মাণের কার্য আরম্ভকরেছিলেন ।
বগীবিল সেতু বগীবিল দলং | |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ২৭°২৪′৩১″ উত্তর ৯৪°৪৫′৩৭″ পূর্ব / ২৭.৪০৮৬১° উত্তর ৯৪.৭৬০২৮° পূর্ব |
বহন করে | মোটর গাড়ি (তিন রাস্তার পথ), রেলওয়ে (দুটি রেলর ট্র্যাক) |
অতিক্রম করে | ব্রহ্মপুত্র নদ |
স্থান | ধেমাজি জেলা এবং ডিব্রুগড় জেলা, আসাম, ভারত |
রক্ষণাবেক্ষক | আসাম সরকার |
বৈশিষ্ট্য | |
নকশা | ট্রাস সেতু |
উপাদান | ইস্পাত,কংক্রিট |
মোট দৈর্ঘ্য | ৪.৯৪ কিলোমিটার (৩.০৭ মা) |
দীর্ঘতম স্প্যান | ১২৫ মি (৪১০ ফু) |
ইতিহাস | |
নির্মাণ শুরু | ২১ এপ্রিল ২০০২ |
নির্মাণ শেষ | ডিসেম্বর ২০১৮ |
চালু | ২৫ ডিসেম্বর |
অবস্থান | |
নির্মাণের অগ্রগতি সম্পাদনা
২০০০ সনে মেচার্স রেল ইন্ডিয়া টেকনিকেল ও ইকনুনমিকেল সার্ভিসেস দাখিল করা প্রতিবেদন কর মতে প্রায় ১৭৬৭ কোটি ভারতীয় টাকার বাজেটে নির্মাণের কার্য আরম্ভ করা হয়েছিল। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৫ সনে প্রকল্পটির কার্য সমাপ্ত করা হবে নির্ধারন করা হয়েছে।
সেতুর নামকরণে বিতর্ক সম্পাদনা
সেতুটির বর্তমান নাম বগীবিল দলং কিন্তু সেতুর নামকরণ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অসমরে বিভিন্ন জনগোষ্ঠির লোকে নিজেদের শ্রেষ্ঠ পূর্বপুরুষের নামে সেতুর নামকরণ করার জন্য দাবি রেখেছেন। চুতিয়া জনজাতির লোকে বীরঙ্গনা নারী সতী সাধনীর স্মৃতিতে এই সেতুর নাম সতী সাধনী সেতু নামকরণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। আহোমেরা চাওলুং চুকাফার স্মৃতিতে চুকাফা সেতু নামকরণ করার অনুরোধ করেছেন। মিসিং জনগোষ্ঠীর লোকে কমলা মিরির স্মৃতিতে শ্বহীদ কমলা মিরি সেতু বা মিরি জীয়রি সেতু নামকরণ ও দেউরি জনগোষ্ঠির লোকে ভীমবর দেউরি সেতু ও সোনোয়াল কছাড়ী জনগোষ্ঠীর লোকে সলালী সেতু এবং মুসলমানেরা আজান পীর সেতু নামকরণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। অন্যদিকে অনেকেই নিরপেক্ষ ভাবে শংকর-মাধব সেতু, কুলাজান-বগীবিল সেতু ও বরলুইত সেতু নামে নামকরণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
রেকর্ড সম্পাদনা
এটি ভারতের তথা দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘতম দ্বিতল সেতু।[১] নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর (বাংলাদেশ) কাজ শেষ হলে পদ্মা সেতু হবে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘতম দ্বিতল সেতু।