প্রভাতচন্দ্র চক্রবর্তী

প্রভাতচন্দ্র চক্রবর্তী(১৯০১-১৯৯৮) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী। তিনি যখন স্কুলের ছাত্র ছিলেন, তখন তিনি সিনিয়রদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে অনুশীলন সমিতিতে যোগ দিয়েছিলেন। অহিংস আন্দোলনের ঢেউ কুমিল্লা জেলায় পৌঁছালে প্রভাতচন্দ্র তাতে যোগ দেন; তবে মূলত গোপন সমাজের কার্যকলাপে আকৃষ্ট হয়েছিল। গান্ধী হঠাৎ করে আন্দোলন বন্ধ করে দেওয়ার পর তিনি বিপ্লবী কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন; ১৯২৫ সাল থেকে তাঁর দীর্ঘ আন্ডারগ্রাউন্ড জীবন শুরু। ১৯২০ এর দশকের শেষের দিকে, তিনি এর কাজগুলি নিয়ে হতাশ হয়েছিলেন এবং কংগ্রেস বা সমাজকে বেছে নেওয়ার জন্য স্থির ছিলেন। তিনি সতীশচন্দ্র পাকড়াশী এবং অন্যান্যদের সাথে সমাজের মধ্যে একটি বিদ্রোহ দল গঠন করেছিলেন। ১৯৩০ সালে রাজশাহীতে প্রাদেশিক কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশন থেকে ফেরার পথে কলকাতায় গ্রেফতার হন। কিন্তু বর্ধমানে অন্তরীণ থাকাকালীন তিনি পালিয়ে যান। রাজশাহী জেল সুপার মিঃ লুক হত্যাকাণ্ডের সাথে তার জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে; এবং ১৯৩৩ সালে গ্রেফতার হন। আন্তঃপ্রাদেশিক ষড়যন্ত্র মামলায় জড়িত থাকার জন্য অবশেষে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ১৯৪৬ সালে অন্যদের সঙ্গে তিনিও মুক্তি পান।

প্রভাতচন্দ্র চক্রবর্তী
জন্ম১৯০১
মৃত্যু১৯৯৮
মাতৃশিক্ষায়তনঈশ্বর পাঠশালা
পরিচিতির কারণব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের কর্মী
আন্দোলনব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন
পিতা-মাতা
  • রাজমোহন চক্রবর্তী (পিতা)

জন্ম ও শিক্ষা সম্পাদনা

প্রভাতচন্দ্র অবিভক্ত বাংলার কুমিল্লার চাঁদপুরের নিকটবর্তী বড়দিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কুমিল্লার ঈশ্বর পাঠশালা থেকে তিনি চারটি বিষয়ে লেটারসহ ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় (১৯১৯) উত্তীর্ণ হন। তার বাকি শিক্ষাজীবন জানা যায়নি। তাঁর পিতার নাম রাজমোহন চক্রবর্তী। [১][২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৭৭৬, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
  2. ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, জেলে ত্রিশ বছর, পাক-ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম, ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ১৯৭।