প্রবেশদ্বার:দেওবন্দি

দারুল উলুম দেওবন্দ
দারুল উলুম দেওবন্দ
দেওবন্দি প্রবেশদ্বারে স্বাগতম
হুসাইন আহমদ মাদানি
হুসাইন আহমদ মাদানি

দেওবন্দি

দেওবন্দি হল সুন্নি ইসলাম কেন্দ্রিক একটি পুনর্জাগরণবাদী আন্দোলন। এর কেন্দ্র প্রাথমিকভাবে ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তানবাংলাদেশ। বর্তমানে যুক্তরাজ্যদক্ষিণ আফ্রিকাতেও এর বিস্তার ঘটেছে। নামটি ভারতের দেওবন্দ নামক স্থান থেকে এসেছে। এখানে দারুল উলুম দেওবন্দ নামক মাদ্রাসা অবস্থিত। এই আন্দোলন পণ্ডিত শাহ ওয়ালিউল্লাহ (১৭০৩-১৭৬২) দ্বারা অনুপ্রাণিত। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ব্যর্থ সিপাহী বিদ্রোহের এক দশক পর ১৮৬৬ সালের ৩০ মে দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই আন্দোলনের সূচনা হয়।

নির্বাচিত নিবন্ধ

দারুল উলুম দেওবন্দ

দারুল উলুম দেওবন্দ (আরবি: دارالعلوم دیوبند) হল ভারতের একটি মাদরাসা। এখান থেকে দেওবন্দি আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। উত্তর প্রদেশের সাহারানপুর জেলার দেওবন্দ নামক স্থানে এই মাদ্রাসার অবস্থান। ১৮৬৬ সালে বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ইসলামি আলেমগণ এটির প্রতিষ্ঠা করেন। মুহাম্মদ কাসেম নানুতুবি তাদের প্রধান ছিলেন। অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন মাওলানা রশীদ আহমেদ গাঙ্গুহীসৈয়দ আবিদ হুসাইন। ইসলামি শিক্ষার প্রসারে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এটি ভারতের মুসলিম সমাজের নানা অসংগতি, কুপ্রথা ও স্থানীয় আচরণকে সংস্কার করে শরিয়তের নৈতিকতা ও আদবকে প্রতিস্থাপন করতে পেরেছিল এবং মুসলিম সমাজের ইসলামায়ন প্রক্রিয়াকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল। ঔপনিবেশিক ও অমুসলিম অধ্যুষিত ভারতে মুসলমানদোর ধর্ম ও সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার পথ দেখিয়েছে। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)

নির্বাচিত জীবনী

আজিজুল হক (শায়খুল হাদিস নামে সমধিক পরিচিত; ১৯১৯ – ৮ আগস্ট ২০১২ খ্রিস্টাব্দ; ১৩৩৭ – ১৯ রমজান ১৪৩৩ হিজরি) ছিলেন একজন বাংলাদেশি ইসলামি পণ্ডিত ও রাজনীতিবিদ। তিনি একাধারে হাদিসশাস্ত্র বিশারদ, অনুবাদক, শিক্ষাবিদ, চিন্তাবিদ, সংগঠক, বাগ্মী ও কবি ছিলেন। তিনি দীর্ঘ ৬৫ বছর হাদিসের পাঠদান করেন এবং প্রথম অনুবাদক হিসেবে সহীহ বুখারীর বঙ্গানুবাদ করেন। হাদিসশাস্ত্রে অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য উপমহাদেশের দ্বিতীয় আলেম হিসেবে তিনি ‘শায়খুল হাদিস’ উপাধি পেয়েছিলেন। তার কাছে শুধুমাত্র সহীহ বুখারী পড়েছেন এরকম ছাত্রের সংখ্যা ৫ সহস্রাধিক। ধারণা করা হয়, তিনি ছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব।

ছাত্রজীবন থেকে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হন। তিনি তৎকালীন বাংলাদেশের আলেমদের একমাত্র রাজনৈতিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর ছিলেন। মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পর তিনি তার সমস্ত কর্মকাণ্ডের প্রধান মুখপাত্র ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের জ্যৈষ্ঠ নায়েবে আমীরের দায়িত্ব পালন করেন। হাফেজ্জীর মৃত্যুর পর তিনি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৯৩ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের প্রতিবাদে তিনি অযোধ্যা অভিমুখে ৫ লক্ষ মানুষের এক ঐতিহাসিক লংমার্চে নেতৃত্ব দেন, যা বাংলাদেশের ইসলামি আন্দোলনের ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব ঘটনা। এছাড়াও তিনি ফতোয়া বিরোধী রায়, কওমি মাদ্রাসার সরকারি স্বীকৃতি আদায় সহ বহু আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদান করেন এবং কারাবরণ করেন। তিনি প্রচলিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মাধ্যমে রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠা খুবই কঠিন মনে করতেন। তার দল বিভিন্ন নির্বাচনে অংশ নিলেও তিনি নিজে কোনোদিন প্রার্থী হননি। তার মতে খিলাফত রাষ্ট্রব্যবস্থাই হচ্ছে মানুষের মুক্তি ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার একমাত্র পন্থা। শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা ছিল। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে শেখ মুজিবকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন। বাংলাদেশের মার্কিন দূতাবাসের এক ফাঁসকৃত তারবার্তায় বলা হয়, শেখ হাসিনা শৈশবে খুব শ্রদ্ধার সাথে তার বই পড়তেন এবং ভক্ত ছিলেন। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)

নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান

আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া সংক্ষেপে পটিয়া মাদ্রাসা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলায় অবস্থিত একটি কওমি মাদ্রাসাজমিরুদ্দিন আহমদের নির্দেশে আজিজুল হক ১৯৩৮ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। একটি আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবেও এর পরিচিতি রয়েছে। বাংলাদেশে ইসলাম প্রচার, কওমি মাদ্রাসা সমূহকে এক সিলেবাসের অধীনে অন্তর্ভূক্তকরণ, আলেমদের আধুনিক ও উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে এই মাদ্রাসার ভূমিকা রয়েছে। একই ধরনের প্রতিষ্ঠান হিসেবে হাটহাজারী মাদ্রাসার অনেক পরে প্রতিষ্ঠিত হলেও অনেকের মতে এটি অনেক ক্ষেত্রে হাটহাজারী মাদ্রাসাকেও ছাড়িয়ে গেছে। এই মাদ্রাসার তাজবীদ ও হিফজ বিভাগদ্বয় সমগ্র বাংলাদেশে দুটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশের অধিভুক্ত। মাসিক আত তাওহীদ এই মাদ্রাসার মুখপত্র।

মাদ্রাসার প্রথম মহাপরিচালক ছিলেন আজিজুল হক। বর্তমানে মাদ্রাসার মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন আবু তাহের নদভী। মাদ্রাসার দ্বিতীয় মহাপরিচালক মুহাম্মদ ইউনুসের সময়ে মাদ্রাসার ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত হয়। ১৯৪৫ সালে ইব্রাহিম বালিয়াভির মাধ্যমে এই মাদ্রাসায় দাওরায়ে হাদিস চালু করা হয়। মাদ্রাসার বর্তমান শায়খুল হাদিস ও প্রধান মুফতি হিসেবে আছেন আহমাদুল্লাহ। ১৯৬০ সালে প্রণীত সংবিধানের ভিত্তিতে মাদ্রাসার যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মাদ্রাসাটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি এটি সমাজসেবা ও দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে। এজন্য মাদ্রাসার পরিচালিত সংস্থার মধ্যে রয়েছে: আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ, বাংলাদেশ তাহফীজুল কুরআন সংস্থা, ইসলামি ত্রাণ কমিটি, আন্তর্জাতিক ইসলামি সম্মেলন সংস্থা, নও মুসলিম ফাউন্ডেশন। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)

নির্বাচিত সংগঠন

দাপ্তরিক লোগো

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ বাংলাদেশের একটি ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল। ব্রিটিশ ভারতে ১৯১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ, যা অবিভক্ত ভারতের পক্ষে স্বাধীনতা সংগ্রাম চালিয়ে যায়। পাকিস্তান আন্দোলনকে সমর্থন দিয়ে তার থেকে ১৯৪৫ সালে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় জমিয়ত উলামায়ে ইসলামস্বাধীনতা উত্তর পাকিস্তানের প্রথম নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের জমিয়ত, নেজামে ইসলাম পার্টি নামে নিজেদের নির্বাচনি সেল গঠন করে ৩৬টি আসনে জয়লাভ করে। ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন জারি হলে পাকিস্তানে সমস্ত রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ হয়। সামরিক শাসন পরবর্তী জমিয়ত নেতাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু হলে পূর্বে গঠিত জমিয়তের নির্বাচনি সেল নেজামে ইসলাম পার্টি একটি স্বতন্ত্র দলের রূপ ধারণ করতে থাকে। অন্যদিকে ১৯৬৪ সালে আশরাফ আলী বিশ্বনাথীর আহ্বানে সিলেট বিভাগীয় কমিটি গঠনের মাধ্যমে জমিয়তের আরেক অংশ সংগঠিত হয়, যারা মূলত পূর্বের জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের পূর্ব পাকিস্তান অংশের কর্মী ছিলেন। ১৯৬৭ সালে জমিয়ত স্পষ্টতঃ দুইভাগে ভাগ হয়ে যায়। অন্যভাগ নেজামে ইসলাম পার্টি নামে কার্যক্রম চালিয়ে যায়। জমিয়ত ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ইসলামি দলগুলোর মধ্যে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে সর্বাধিক আসন লাভ করে। ১৯৭১ সালের ২২ মার্চ এটি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তান জমিয়তের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং দলের বর্তমান নামটি গ্রহণ করে। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী ধর্মভিত্তিক দল নিষিদ্ধ হলেও এটি নিষিদ্ধ হয় নি। স্বাধীন বাংলাদেশে এটি ইসলামি শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। নব্বইয়ের দশকে এটি মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে তাওবার রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করে এবং সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদে যোগ দেয়। ১৯৯০ সালে এটি ইসলামী ঐক্যজোটে অংশগ্রহণ করে। ইসলামী ঐক্যজোটের অংশ হিসেবে ১৯৯৯ সালে এটি বিএনপির নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোটে যোগদান করে এবং ২০০১ সালে সরকার গঠনে অংশীদার হয়। চার দলীয় জোট পরবর্তীতে বিশ দলীয় জোটে পরিণত হয়। ২০২১ সালে এটি বিশ দলীয় জোট থেকে বের হয়ে যায়। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত ছাতা সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশে এটি সবচেয়ে প্রভাবশালী ছিল। ২০২০ সালে গঠিত হেফাজতের ১৫১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটিতে জমিয়তের নেতা ছিল ৩৪ জন।

স্বাধীন বাংলাদেশে জমিয়তের প্রথম সভাপতি ছিলেন তাজাম্মুল আলী ও প্রথম মহাসচিব ছিলেন শাহ আহরারুজ্জামান। দলটির বর্তমান সভাপতি জিয়া উদ্দিন ও মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে দলটিতে পাল্টাপাল্টি বহিষ্কারের ঘটনা ঘটে। এসময় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে দলটির নিবন্ধিত নামে সভাপতি ছিলেন আব্দুল মোমিন ইমামবাড়ি ও মহাসচিব নূর হুসাইন কাসেমী। তারা মুহাম্মদ ওয়াক্কাসকে দল থেকে বহিষ্কার করেন। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে তিনি ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে একই নামে ১২১ সদস্য বিশিষ্ট জমিয়তের আরেকটি কমিটি গঠন করেন। আব্দুল মোমিন ইমামবাড়ির মৃত্যুর পর সভাপতির দায়িত্বে আসেন জিয়া উদ্দিন এবং নূর হুসাইন কাসেমীর মৃত্যুর পর মহাসচিব পদে আসেন মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী। ইতিপূর্বে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে জমিয়ত থেকে বের হয়ে ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা এবং আলিমুদ্দিন দুর্লভপুরী জমিয়তে উলামা বাংলাদেশ গঠন করেন। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)

নির্বাচিত ঘটনা

২০২০ সালে দারুল উলুম হাটহাজারী

দারুল উলুম হাটহাজারী সংক্ষেপে হাটহাজারী মাদ্রাসা বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ও সর্বপ্রাচীন কওমি মাদ্রাসা। ২০১০ সালে এই মাদ্রাসা থেকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের জন্ম হয়, যা ২০১৩ সালে সরকার বিরোধী কর্মসূচির মাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে। সংগঠনটির আমির ছিলেন মাদ্রাসার মহাপরিচালক শাহ আহমদ শফী ও মহাসচিব ছিলেন মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক জুনায়েদ বাবুনগরী। মাদ্রাসাটিতে আহমদ শফীর পরে জুনায়েদ বাবুনগরীর অবস্থান ছিল। ২০১৩ সালে আন্দোলনের পর থেকে উভয় নেতার মধ্যে চিন্তাগত পরিবর্তন আসে। আহমদ শফী আস্তে আস্তে সরকার বিরোধী অবস্থান থেকে সরে আসেন এবং জুনায়েদ বাবুনগরী তার অবস্থানে অটল থাকেন। আহমদ শফীর এই পরিবর্তনের পিছনে তার ছেলে আনাস মাদানীকে দায়ী করা হয়। যিনি পিতার প্রভাব খাটিয়ে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত হন। আনাস মাদানীর সমর্থকরা তার নেতৃত্বে মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির একটি বৈঠকের মাধ্যমে জুনায়েদ বাবুনগরীকে মাদ্রাসাটির সহকারি পরিচালক হিসেবে অপসারণ করার পর দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আনাস মাদানীকে অপসারণ, আহমদ শফীকে মহাপরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে উপদেষ্টা বানানো সহ ৫ দফা দাবি নিয়ে ২০২০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ছাত্ররা আন্দোলন শুরু করে। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)

নির্বাচিত বই

মুসলমানদের পতনে বিশ্ব কী হারালো? (আরবি: ماذا خسر العالم بانحطاط المسلمين, প্রতিবর্ণীকৃত: মা যা খাসিরাল আলামু বি ইনহিতাতিল মুসলিমিন) দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত আবুল হাসান আলী নদভী কর্তৃক আরবি ভাষায় রচিত ইসলামের ইতিহাস বিষয়ক জনপ্রিয় একটি বই। তিনি ১৯৪৪ — ১৯৪৭ পর্যন্ত সময় নিয়ে এই বইটি লিখেছেন। ১৯৫০ সালে মিশর থেকে আরবি ভাষায় এটি সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে এই গ্রন্থটি বিশ্বের প্রায় প্রতিটি প্রধান ভাষায় অনূদিত হয়েছে। প্রকাশের পর এই গ্রন্থটি আরব বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং লেখককে আরব বিশ্বে ব্যাপক পরিচিতি এনে দেয়। ১৯৮০ সালে তিনি মুসলিম বিশ্বের সর্বোচ্চ পুরস্কার বাদশাহ ফয়সাল আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন। লেখক এই গ্রন্থে এক নতুন দর্শন উপস্থাপন করেছেন। তিনি এই গ্রন্থে মুসলিমদের বিশ্ব নেতৃত্ব গ্রহণের আহবান করেছেন এবং তিনি প্রমাণের চেষ্টা করেছেন মুসলিম জাতির সৃষ্টিই হয়েছে বিশ্ব নেতৃত্বের জন্যে। এই গ্রন্থটি মুসলিম ব্রাদারহুড সহ অসংখ্য রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠ্যবই হিসেবে স্বীকৃত এবং এই গ্রন্থের উপর অনেক পিএইচডি অভিসন্দর্ভ রচিত হয়েছে। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)

নির্বাচিত চিত্র

দারুল উলুম দেওবন্দ, এটি ১৮৬৬ সালে নির্মিত হয়েছিল।

আপনি জানেন কি - আরেকটি দেখান

উল্লিখিত তথ্যগুলি উইকিপিডিয়া:আপনি জানেন কি প্রকল্পের অংশ হিসেবে প্রধান পাতায় প্রদর্শিত হয়েছে।

নির্বাচিত তালিকা

নির্বাচিত উক্তি

- সাঈদ আহমদ পালনপুরী

বিষয়শ্রেণীসমূহ

বিষয়শ্রেণী ধাঁধা
বিষয়শ্রেণী ধাঁধা
উপবিষয়শ্রেণী দেখার জন্য [►] ক্লিক করুন

টেমপ্লেট

উইকিপিডিয়া স্বীকৃত ভুক্তি

ভাল নিবন্ধ

আজাকি নিবন্ধ

  1. আপনি কি জানেন? রেশমি রুমাল আন্দোলন
  2. আপনি কি জানেন? সামরাতুত তারবিয়াত
  3. আপনি কি জানেন? শামস নাভেদ উসমানি
  4. আপনি কি জানেন? জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ
  5. আপনি কি জানেন? মাহমুদ হাসান দেওবন্দি
  6. আপনি কি জানেন? মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী
  7. আপনি কি জানেন? ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ
  8. আপনি কি জানেন? আজিজুল হক
  9. আপনি কি জানেন? জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ
  10. আপনি কি জানেন? মুহাম্মদ আলি মুঙ্গেরি
  11. আপনি কি জানেন? কাজী মুতাসিম বিল্লাহ
  12. আপনি কি জানেন? দারুল উলুম নিউক্যাসল
  13. আপনি কি জানেন? তাজুল ইসলাম (পণ্ডিত)
  14. আপনি কি জানেন? আস্কইমাম.অর্গ
  15. আপনি কি জানেন? মুফতি ফয়জুল ওয়াহেদ
  16. আপনি কি জানেন? হাবিবুর রহমান খায়রাবাদী


উইকিপ্রকল্প

প্রবেশদ্বারটি উইকিপ্রকল্প দেওবন্দি কর্তৃক পরিচালিত ও নিয়মিত হালনাগাদকৃত।
প্রকল্পে যোগ দিন, উইকিপিডিয়ায় দেওবন্দি সংক্রান্ত নিবন্ধ লিখুন, সমৃদ্ধ করুন।

আপনি কি করতে পারেন

  • দেওবন্দি সম্পর্কিত নিবন্ধের তালিকা দেওবন্দি বিষয়ক টেমপ্লেট হতে লাল লিঙ্ক থাকা বিষয় নিয়ে নতুন নিবন্ধ রচনা করতে পারেন।
  • অন্যান্য ভাষায় উইকিপ্রকল্প হতে দেওবন্দি বিষয়ক নিবন্ধ অনুবাদ করতে পারেন।
  • বর্তমান নিবন্ধসমূহ তথ্য দিয়ে সমৃদ্ধ, সম্প্রসারণ, রচনাশৈলীর উন্নয়ন ও তথ্যছক না থাকলে যুক্ত করতে পারেন।
  • নিবন্ধগুলিতে উইকিমিডিয়া কমন্স হতে দরকারী ও প্রাসঙ্গিক মুক্ত চিত্র যুক্ত করতে পারেন।
  • দেওবন্দি সংক্রান্ত নিবন্ধসমূহে বিষয়শ্রেণী না থাকলে যুক্ত করতে পারেন।
  • নিবন্ধসমূহে তথ্যসূত্রের ঘাটতি থাকলে, পর্যাপ্ত সূত্র যোগ করতে পারেন।
  • সম্পর্কিত নিবন্ধসমূহের শেষে {{প্রবেশদ্বার দণ্ড|দেওবন্দি}} যুক্ত করতে পারেন।

উইকিমিডিয়া


উইকিসংবাদে দেওবন্দি
উন্মুক্ত সংবাদ উৎস


উইকিউক্তিতে দেওবন্দি
উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন


উইকিসংকলনে দেওবন্দি
উন্মুক্ত পাঠাগার


উইকিবইয়ে দেওবন্দি
উন্মুক্ত পাঠ্যপুস্তক ও ম্যানুয়াল


উইকিবিশ্ববিদ্যালয়ে দেওবন্দি
উন্মুক্ত শিক্ষা মাধ্যম


উইকিমিডিয়া কমন্সে দেওবন্দি
মুক্ত মিডিয়া ভাণ্ডার


উইকিঅভিধানে দেওবন্দি
অভিধান ও সমার্থশব্দকোষ


উইকিউপাত্তে দেওবন্দি
উন্মুক্ত জ্ঞানভান্ডার


উইকিভ্রমণে দেওবন্দি
উন্মুক্ত ভ্রমণ নির্দেশিকা

সার্ভার ক্যাশ খালি করুন