পাসওয়ার্ড

ব্যবহারকারীর পরিচয় প্রমাণ করতে বা প্রবেশাধিকার প্রদান করতে ব্যবহৃত

পাসওয়ার্ড হল শব্দ বা বিভিন্ন অক্ষরের সমষ্টি যা ব্যবহার করা হয় ব্যবহারকারীর পরিচয় অথবা প্রবেশ অনুমোদন যাচাইয়ের কাজে যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী নির্দিষ্ট জায়গায় প্রবেশাধিকার পায়। এই পাসওয়ার্ড হল গোপনীয় তাই এটি অন্য কারো কাছ থেকে গোপন রাখা হয়, তাদের প্রবেশ ঠেকাতে।

বাংলা উইকিপিডিয়ার লগইন চিত্র যাতে ব্যবহারকারী নাম এবং পাসওয়ার্ড চাওয়া হচ্ছে।

জানা যায়, পাসওয়ার্ডের ব্যবহার প্রাচীনকাল হতে। প্রহরীরা কারো প্রবেশ ঠেকাতে এটি ব্যবহার করত, প্রবেশকারী বা প্রবেশকারী দলকে সরবরাহ করা হত একটি পাসওয়ার্ড বা ওয়াচওয়ার্ড যা প্রবেশের সময় বলতে হত। আধুনিক সময়ে, ব্যবহারকারী নাম এবং পাসওয়ার্ড সাধারণভাবে ব্যবহার করা হয় লগইনের কাজে যা প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করে কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম, মোবাইল ফোন, ক্যাবল টিভি ডিকোডার, এটিএম, ইমেইল ইত্যাদিতে। একজন সাধারণ কম্পিউটার ব্যবহারকারী বিভিন্ন উদ্দেশ্যে পাসওয়ার্ড রাখতে পারেন যেমন: বিভিন্ন একাউন্টে লগইন করতে, ইমেইল দেখার জন্য বা উদ্ধারের জন্য, বিভিন্ন এ্যাপ্লিকেশনে প্রবেশের জন্য, ডাটাবেস, ওয়েব সাইট এবং এমনকি সকালের খবরের কাগজ অনলাইনে দেখার জন্যও।

নাম দেখে যদিও মনে হয় তবুও পাসওয়ার্ড শব্দই হতে হবে এমন কোন কথা নেই। বস্তুত, পাসওয়ার্ড যেগুলো আসলে শব্দ নয় সেগুলো অনুমান করা কঠিন। কিছু পাসওয়ার্ড গঠন করা হয় বহু শব্দ ও অনেক কিছু মিলিয়ে যাকে ডাকা হয় পাসফ্রেজ বা শব্দ সমষ্টি। যখন গোপন তথ্যটি যদি সংখ্যাতাত্ত্বিক হয় যেমন পিন কোড যা এটিএমে ব্যবহৃত করা হয় সেগুলোকে কখনো কখনো পাসকোড বা পাসকি বলা হয়। পাসওয়ার্ড সাধারণত ছোট হয় যাতে তা সহজে মনে রাখা যায় এবং টাইপ করা যায়।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান একটি পাসওয়ার্ড নীতি নির্দিষ্ট করে দেয় যা পাসওয়ার্ডের ব্যবহার ও সম্মিলনের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়। সাধারণত এজন্য সর্বনিম্ন দৈর্ঘ্য, প্রয়োজনীয় বিষয়শ্রেণী (বড় হাতের বা ছোট হাতের, সংখ্যা, বিশেষ অক্ষর), নিষিদ্ধ উপাদান (নিজের জন্মদিন, নাম, ঠিকানা, টেলিফোন নম্বর) প্রভৃতির হুকুম করা হয়। কোথাও কোথাও কিছু সরকারি সেবায় জাতীয় সত্যতা যাচাই কাঠামো[১] আছে যা ব্যবহারকারী যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করে, যেখানে পাসওয়ার্ডও প্রয়োজন হয়।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা