পাতি কামিলা

পাতি কামিলা (বৈজ্ঞানিক নাম: Muraenesox bagio) (ইংরেজি: Common Pike eel) Muraenesocidae পরিবারের Muraenesox গণের একটি স্বাদুপানির মাছ।

পাতি কামিলা Pike Eel
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ:	Animalia
পর্ব:	Chordata
শ্রেণী:	Actinopterygii
মহাবর্গ:	Elopomorpha
বর্গ:	Anguilliformes
পরিবার:	Muraenesocidae
গণ:	Muraenesox
প্রজাতি:	M. bagio
দ্বিপদী নাম
Muraenesox bagio (F. Hamilton, 1822)
প্রতিশব্দ
Muraena bagio F. Hamilton, 1822 Muraenesox cinereus (non Forsskål, 1775) Muraenesox yamaguchiensis Katayama & Takai, 1954

বর্ণনা

পাতি কামিলার দেহ অনেক লম্বা, সম্মুখে চোঙাকৃতির কিন্তু পশ্চাতে চাপা। তুণ্ড প্রলম্বিত। মুখ বড়, ম্যাক্রিলা চোখের অনেক পিছন পর্যন্ত প্রসারিত। সম্মুখ নাসারন্ধ্র নালীর ন্যায় ও তুণ্ডের সম্মুখ তৃতীয়াংশে অবস্থিত কিন্তু পশ্চাৎ নাসারন্ধ্র তুণ্ডের মধ্য তৃতীয়াংশে অবস্থিত। এদের জিহ্বা অনুপস্থিত।

বিস্তৃতি

এই প্রজাতির মাছ বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, আফ্রিকার পূর্ব উপকূলে, লোহিত সাগর, ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ার দ্বীপপুঞ্জ, চীন, ফিলিপাইন এবং জাপান অঞ্চলে পাওয়া যায়।

স্বভাব ও আবাসস্থল

সমুদ্রের এবং পানির তলদেশ দিয়ে চলাচল করে। এদের স্বাদুপানিতে দেখা যায়। উপকূলীয় অঞ্চলের একমাত্র মাংসাশী এবং তলদেশের মাছ। ক্রাস্টেশিয়ান প্রাণীদেরকে এরা খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে। পাতি কামিলা নিশাচর স্বভাবের মাছ। এদেরকে উপকূলীয় জলাশয়, মোহনা এবং ১০০ মিটারেরও উপরে সাব লিটোরাল অঞ্চলে দেখা যায়। জোয়ার-ভাঁটার সময় এদের নদীতে পাওয়া যায়।

অর্থনৈতিক গুরুত্ব

বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা সমূহে প্রচুর পরিমাণে এই মাছ ধরা পড়ে। পাতি কামিলা মাছ ধরার জন্য 'ড্রিফট নেট' এবং 'ব্যাগ নেট' ব্যবহৃত হয়। বাজারে সাধারণত টাটকা মাছ বিক্রি হয়। কিছু মাছ টাটকা বা হিমায়িত অবস্থায় রপ্তানী হয়। আবার বাংলাদেশের স্থানীয় বাজারে শুটকী মাছের ও ব্যাপক চাহিদা আছে।

বাস্তুতান্ত্রিক ভূমিকা

পাতি কামিলা মাছ পানির তলদেশের অন্য মাছ শিকার করায় জলজ বাস্তুতন্ত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থা এবং সংরক্ষণ

আইইউসিএন বাংলাদেশ (২০০০) এর লাল তালিকা অনুযায়ী এই প্রজাতিটি এখনও হুমকির সম্মুখীন নয়। এখনও বঙ্গোপসাগরে এ মাছ সহজেই পাওয়া যায়।

আরও দেখুন

• বাংলাদেশের মাছের তালিকা
• বাংলাদেশের স্বাদুপানির মাছের তালিকা
• বাংলাদেশের সংরক্ষিত মাছের তালিকা