নীললেজ সুইচোরা (Merops philippinus) মৌমাছি-খাওয়া পরিবার মেরোপিডিতে একটি নিকটস্থ চড়াই-জাতীয় পাখি । এটি দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে যেখানে অনেক পরিযায়ী পাখি দেখা যায়। অনেক অংশে মৌসুম ভিত্তিক দেখা যায়, তবে তাদের পরিসর জুড়ে ছোট ছোট অঞ্চলে উপনিবেশিকভাবে প্রজনন হয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে নদী উপত্যকায়, যেখানে বালির পাড়ে সুড়ঙ্গ করে বাসা বাঁধে। এসব বেশিরভাগ খোলা আবাসস্থলগুলি পানির নিকটে দেখা যায়।

নীললেজ সুইচোরা
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণীজগৎ
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পক্ষী
বর্গ: Coraciiformes
পরিবার: Meropidae
গণ: Merops
প্রজাতি: Merops philippinus
দ্বিপদী নাম
Merops philippinus
প্রতিশব্দ

M. javanicus Horsfield, ১৮২১

নীললেজ সুইচোরা, ঢাকা, বাংলাদেশ থেকে তোলা

বর্ণনা সম্পাদনা

প্রাপ্তবয়স্ক এই পাখির দৈর্ঘ্য প্রায় ৩০ সেন্টিমিটার ও ওজন ৩৮-৫০ গ্রাম। নীল-সবুজ পালক বিশিষ্ট পাখিটির পেছনের অংশ ও লেজ নীল। গলা খয়েরি, বুকের ওপরটা বাদামি, চোখে কাজল টানা এবং পেট আপেলের মতো সবুজ। চোখ লালচে বাদামি থেকে গাঢ় লাল। কোমর, লেজ ও লেজের নিচের অংশ নীল। লেজের আগায় লম্বা নীল সুই-পালক রয়েছে। ঠোঁটটি সরু ও লম্বা কালো এবং নিচের দিকে বাঁকানো। পা ও পায়ের পাতা কালচে বাদামি। অপ্রাপ্তবয়স্ক নীললেজ সুইচোরার দেহের রং অনুজ্জ্বল ও ফ্যাকাশে। স্ত্রী ও পুরুষ একই রকম দেখতে।[২]

প্রজনন সম্পাদনা

প্রায় ৬ বছর এদের আয়ুষ্কাল। মার্চ থেকে জুন প্রজননকাল। এ সময় পাহাড়ের গায়ে বা নদী ও খালপাড়ে প্রায় ২ মিটার লম্বা সুড়ঙ্গ খুঁড়ে বাসা বানায়। সেখানে ৫-৬টি ডিম পাড়ে। ডিমের রং সাদা। ২১-২৬ দিনে ডিম ফোটে। ২০-২৭ দিন পরে বাচ্চারা উড়তে শেখে।[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. BirdLife International (২০১২)। "Merops philippinus"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা (ইংরেজি ভাষায়)। আইইউসিএন2012। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৩ 
  2. "নীল-লেজ সুইচোরা"। ৪ অক্টোবর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০১৭