নতুন তুফান ও তার প্রতিরোধ

আবুল হাসান আলী হাসানী নদভীর বই

নতুন তুফান ও তার প্রতিরোধ (উর্দু: نیا طوفان اور اس کا مقابلہ‎‎) আবুল হাসান আলী হাসানী নদভীর লিখিত একটি উর্দু পুস্তিকা। ১৯৫৯ সালে এই পুস্তিকা প্রকাশের মাধ্যমেই মজলিসে তাহকিকাত ওয়া নাশরিয়াতে ইসলামের যাত্রা শুরু হয়।[১] এই পুস্তিকায় লেখক মুসলিম জাতি ও ইসলামি বিশ্বের কিছু গুরুতর সমস্যা চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধের কিছু উপায় তুলে ধরেছেন।

নতুন তুফান ও তার প্রতিরোধ
প্রথম সংস্করণের প্রচ্ছদ
লেখকআবুল হাসান আলী নদভী
মূল শিরোনামউর্দু: نیا طوفان اور اس کا مقابلہ‎‎
দেশভারত
ভাষাউর্দু
বিষয়ধর্মহীনতা
প্রকাশিত১৯৫৯
প্রকাশকমজলিসে তাহকিকাত ওয়া নাশরিয়াতে ইসলাম
মিডিয়া ধরনশক্তমলাট
পৃষ্ঠাসংখ্যা৪৩
ওসিএলসি১৫৬৮৩৮২০৬
ওয়েবসাইটabulhasanalinadwi.org

ইতিহাস সম্পাদনা

রফিউদ্দিনের লেখা কুরআন ও আধুনিক জ্ঞানের প্রাথমিক কিছু পৃষ্ঠা পড়ে আবুল হাসান আলী হাসানী নদভীর বর্তমান যুগের ধর্মহীনতা বিষয়ে মনোযোগ আকৃষ্ট হয়। সেই মৌলিক ধারণার উপর ভিত্তি করে তিনি আরবিতে নতুন ইরতাদ এবং নতুন দাওয়াত নামে একটি ধারাবাহিক লেখা প্রকাশ করেন, যা দামেস্ক থেকে প্রকাশিত মাসিক আল মুসলিমুনের দুই সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। লেখাটি আরবি থেকে উর্দুতে অনুবাদ করেন আতিকুর রহমান, যা তার সম্পাদিত আল ফুরকানের ১৯৫৭ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। লেখাটি জনপ্রিয়তা অর্জন করে এবং আরও কিছু প্রকাশনায় স্থান লাভ করে। লেখাটির উপর নদভী পুনর্বার নজর দেন এবং কিছু সংস্কার ও সংশোধন করে মজলিসে তাহকিকাত ওয়া নাশরিয়াতে ইসলাম থেকে পুস্তিকারে প্রকাশ করেন। পুস্তিকাটি বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে।[২] ২০০২ সালে পুস্তিকাটির বঙ্গানুবাদ করেন অছিউর রহমান, প্রকাশক আল ইরফান পাবলিকেশন্স। পুস্তিকাটির ইংরেজি অনুবাদ "The New Menace and Its Answer"[৩]

বিষয়বস্তু সম্পাদনা

এই পুস্তিকায় লেখক মুসলিম জাতির বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেছেন। তার মতে মুসলিম জাতি এখন সবচেয়ে বড় যে বিপদের মুখোমুখি হচ্ছে, ইসলাম কখনো এত শক্তিশালী বিপদের সম্মুখীন হয় নি, তা হল ধর্মহীনতা। তিনি পুস্তিকার শুরুর প্রথম কয়েক অধ্যায়ে এই ধর্মহীনতার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। তার মধ্যে রয়েছে পাশ্চাত্য দর্শন, মুসলমানদের অসচেতনতা, জাতীয়তা প্রীতি, নৈতিক ও চারিত্রিক অধঃপতন ইত্যাদি। ধর্মহীনতার কারণ ব্যাখ্যার পর তিনি এর মূল সমস্যা চিহ্নিত করে তা থেকে উত্তরণের জন্য কিছু উপায় বাতলে দেন। অতিত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি ইমানের দাওয়াত প্রদান, দাঈ ও নতুন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি বর্ণনা করে সে অনুসারে কাজ করার সুফল উল্লেখ করেন। সর্বশেষ তিনি মুসলিমদের অনতিবিলম্বে এই নিয়ে কাজ শুরু করার আহ্বান জানিয়ে পুস্তিকাটির ইতি টানেন।[৪]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

উদ্ধৃতি সম্পাদনা

  1. নদভী, আবুল হাসান আলী (২০০৪)। ভারতবর্ষে মুসলমানদের অবদান (পিডিএফ)। খালিদ হোসেন, আফম কর্তৃক অনূদিত। বাংলাদেশ: সেন্টার ফর রিসার্চ অন দ্য কুরআন এন্ড সুন্নাহ। পৃষ্ঠা ৯২–৯৩। আইএসবিএন 978-9388850919 
  2. নদভী, আবুল হাসান আলী হাসানী (২০০২)। নতুন তুফান ও তার প্রতিরোধ (পিডিএফ)। রহমান, অছিউর কর্তৃক অনূদিত। ঢাকা: সাবীলুর রাশাদ ট্রাস্ট। পৃষ্ঠা ৩–৬। 
  3. নদভী, রাবে হাসানী (২০১৪)। সৈয়দ আবুল হাসান আলী নদভী : এন অ্যামিনিয়েন্ট স্কলার, থিনকার এন্ড রিফরমার। নতুন দিল্লি: ডি. কে. প্রিন্টওয়ার্ল্ড। পৃষ্ঠা ২৩১। আইএসবিএন 978-81-246-0746-6 
  4. খান, জুবায়ের জাফর (২০১০)। মাওলানা আবুল হাসান আলী নদভীর ইসলামি চিন্তাভাবনার সমালোচনামূলক গবেষণা (গবেষণাপত্র) (ইংরেজি ভাষায়)। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ১৯৭–১৯৮। 

গ্রন্থপঞ্জি সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা