দ্য ক্লেফট (২০০৭) নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক ডোরিস লেসিং এর লেখা একটি উপন্যাস[১][২][৩][৪][৫][৬][৭] এটি মূলত নারীবাদের উপরে লেখা অন্যতম একটি উপন্যাস।

দ্য ক্লেফট
প্রথম সংস্করন
লেখকডোরিস লেসিং
দেশযুক্তরাজ্য
ভাষাইংরেজি
প্রকাশকহার্পার কলিন্স
প্রকাশনার তারিখ
২০০৭
মিডিয়া ধরনPrint (Hardback & Paperback)
আইএসবিএন৯৭৮-০-০০-৭২৩৩৪৩-৪

কাহিনী সংক্ষেপ সম্পাদনা

গল্পটি রোমান সম্রাট নিরোর রাজত্ব কালে একজন রোমান ঐতিহাসিক দ্বারা বর্ণনা করা হয়। সে গল্পটি বলে মনুষ্যজাতির শুরুর গোপন ইতিহাস হিসেবে, যা একত্রিত করা হয় বিভিন্ন নথিপত্রের বর্জিতাংশ এবং কথিত ইতিহাস থেকে যা যুগ যুগ ধরে বলা হচ্ছে।

সৃষ্টির শুরুতে মনুষ্যজাতি শুধুমাত্র নারীদের দ্বারা অযৌন প্রক্রিয়ায় উৎপাদন করা হতো। এই নারীরা ছিলো শান্ত জাতি এবং তাদের অল্প কিছু সমস্যা ছিলো। তারা সমুদ্রের পাড়ে বাস করতো এবং আংশিকভাবে জলজও ছিলো। তারা নিজেদেরকে ক্লেফট নামে ডাকতো যা একটি বড় শিলা দ্য ক্লেফট এর একটি বড় ফাটল থেকে এসেছে, যেটিকে তারা পবিত্র বলে গণ্য করতো এবং শিলাটি দেখতে নারী যোনির অনুরূপ ছিলো।

একদিন একজন ক্লেফট একটি পুরুষ সন্তান জন্ম দেয় যেটিকে তারা দানব নামে অভিহিত করে। এটি এমন ভয়ের উদ্রেক ঘটায় যে ছেলেটিকে ক্লেফটরা হত্যা করে। কিন্তু আরও দানব জন্ম হতে থাকে এবং ক্লেফটরা দানব নামে অভিহিত ছেলে শিশুদের একটি শিলার উপর রেখে আসে মারা যাওয়ার জন্য। কতগুলো ঈগল যেগুলো তাদের পাশেই বাস করতো, তারা মরণাপন্ন শিশুদের দেখে ছোঁ মেরে নিয়ে যায় এবং তাদেরকে কাছের একটি উপত্যকায় ফেলে দেয় যেখানে শিশু গুলো উপকারী হরিণ কর্তৃক পালিত হয়। বাচ্চা গুলো ধীরে ধীরে বড় হয় এবং নিজেদেরকে প্রতিরোধ করতে শেখে। ঈগলের দ্বারা আরো অনেক বালক শিশু ঐখানে আনার দ্বারা দ্রুত তাদের নিজেরদের একটি আলাদা জাতির উত্থান ঘটে।

একদিন একজন নারী ঐ উপত্যকার উপর দিয়ে বেড়ানোর সময় ঐখানের নতুন পুরুষ জাতির দ্বারা ধর্ষিত হয়। তারপর নারীটি ঐখান থেকে পালিয়ে আসে এবং নয় মাস পরে নতুন, মিশ্র ধরনের এক শিশুর জন্ম দেয়। যখন ঐ নারীটি (ক্লেফট) এই ঘটনা অন্য সব ক্লেফটদের বলে তখন এই দুই জাতি একে অপরের সংস্পর্শে আসে। তবুও ক্লেফটদের কর্ত্রী দানবগুলোকে (পুরুষ) ভয় পায় এবং মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা