দেব ধাম যোধপুরিয়া

ভারতের একটি গ্রাম

দেব ধাম যোধপুরিয়া হল প্রভু দেবনারায়ণকে উৎসর্গ করা একটি মন্দির যেটি রাজস্থান রাজ্যের টঙ্ক জেলার নিওয়াই পৌরসভায় অবস্থিত, এটি জয়পুর থেকে ৭৫ কিলোমিটার (৪৭ মা) দূরে জয়পুর-কোটা জাতীয় সড়কের (জাতীয় সড়ক - ১২) ওপর, মাশি বাঁধের কাছে, [১] টঙ্ক জেলার নিওয়াই পৌরসভার মনোহরপুরায় অবস্থিত।

দেব ধাম যোধপুরিয়া
দেবনারায়ণের মন্দির
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দুধর্ম
জেলাটঙ্ক
অবস্থান
অবস্থানযোধপুরিয়া
রাজ্যরাজস্থান
দেশভারত
দেব ধাম যোধপুরিয়া রাজস্থান-এ অবস্থিত
দেব ধাম যোধপুরিয়া
ভারতের রাজস্থানে অবস্থান
দেব ধাম যোধপুরিয়া ভারত-এ অবস্থিত
দেব ধাম যোধপুরিয়া
ভারতের রাজস্থানে অবস্থান
স্থানাঙ্ক২৬°২৫′৫৯″ উত্তর ৭৫°৪৬′১৩″ পূর্ব / ২৬.৪৩৩০৭৩° উত্তর ৭৫.৭৭০২৫° পূর্ব / 26.433073; 75.77025

দেবনারায়ণকে বিষ্ণুর অবতার হিসেবে পূজা করা হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে ভগবান জন্মগ্রহণ করেছিলেন গুর্জার যোদ্ধা দম্পতির ঘরে, তাঁদের পুত্র দেবনারায়ণ হয়ে। দম্পতির নাম সাওয়াই ভোজ বাগারবত এবং সাধু মাতা গুর্জরী। তিনি বিক্রম সংবৎ বর্ষপঞ্জির ৯৬৮ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মন্দিরটিতে শ্রী সওয়াই ভোজ গুর্জার, তারাদে পানওয়ার, ভুনা জি এবং মেহেন্দু জিয়ের মূর্তি এবং স্মৃতিচিহ্নও রয়েছে। মন্দিরটিতে বিশেষত শুক্রবারে ভক্তরা দর্শন করতে আসে এবং পুরো রাতে জাগরণের আয়োজন করে।[২]

উৎসব সম্পাদনা

দেবনারায়ণের স্মরণে মন্দিরে প্রতি বছর দুটি মেলার আয়োজন করা হয়। এই সময়ে, দেবনারায়ণের ভোপারা (পূজারী) নৃত্যরত অবস্থায় একটি থালার উপর তাঁর জন্ম এবং তাঁর সাহসী ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কিত চিত্র তৈরি করে।[৩] প্রথম উৎসবটি হয় প্রতি বছর ভাদ্র মাসের সপ্তমী শুক্লপক্ষে (গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জির আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে) এবং দ্বিতীয় উৎসবটি হয় প্রতি বছর মাঘ মাসের সপ্তমী কৃষ্ণপক্ষে (গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জির জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে)

মূর্তি সম্পাদনা

 
যোধপুরিয়াতে সাওয়াই ভোজ গুর্জার একটি মূর্তি, ২৪ জন গুর্জর ভাইদের মধ্যে তিনি একজন যাঁকে বাগারাবত বলা হয়।

মন্দিরটি বিভিন্ন মূর্তি দিয়ে সজ্জিত। এর মধ্যে রয়েছে দেবনারায়ণের সম্পর্কিত ভাই ভুনা এবং মেহেন্দুর মূর্তি এবং তাঁদের সৎ বোন তারাদে পানওয়ারের মূর্তি। অন্যান্য মূর্তিগুলি থেকে পাওয়া যায় সওয়াই ভোজের প্রতিকৃতি, একটি শিশু হিসাবে দেবনারায়ণ সাদু মাতা গুর্জারির কোলে বসে, দেবনারায়ণের জন্মস্থান এবং দেবনারায়ণের সিংহীর দুধ পান করা।

আরতি ও রাত জাগরণ সম্পাদনা

 
যোধপুরিয়ায় ছেলে দেবনারায়ণের সাথে সাদু মাতা গুর্জারির মূর্তি।
 
অখন্ড জ্যোতি, যেটি মনোহরপুরার প্রতিষ্ঠাতা নাগাজি বাগরী গুর্জা শুরু করেছিলেন।

দেবনারায়ণের আরতি (প্রধান পূজা) প্রতিদিন তিনবার হয়, ভোর ৪টা, সকাল ১১টা এবং সন্ধ্যা ৭টায়। বিশেষ করে শুক্রবার দিন দূর-দূরান্তের গ্রাম ও শহর থেকে ভক্তরা মন্দির দর্শন করতে আসেন। অনেক ভক্ত রাত্রি জাগরণ (জাগরণ) সংগঠিত করেন, বিশেষ করে শুক্রবারে জাগরণ হয় এবং গ্রীষ্মের মরসুমে প্রায় প্রতিদিনই এটি হয়।

দেবনারায়ণের প্রতিটি ছবিতে নিম্নলিখিত উদ্ধৃতি লক্ষ্য করা যায়:

"সম্বৎ ৯৬৮ কে অংশ, জনম লিয়া গুর্জর কে বংশ
সাধু সতী কে বচনো দ্বারা, কমল ফুল দেব লিয়া অবতার।"

কথাগুলিকে এইভাবে অনুবাদ করা যেতে পারে তিনি সাদু মাতা গুর্জারীকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করার জন্য বিক্রম সংবৎ ৯৬৮ (৯১১ খ্রিস্টাব্দ) সালে গুর্জার রাজবংশে অবতার রূপে অবতীর্ণ হন।

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

www.devdham.org

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Dev Dham Jodhpuriya near Mashi dam, Manoharpura" 
  2. "Dev Dham Jodhpuriya"। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০২২ 
  3. "Top 30 analogous words or synonyms for bhopas"। ৯ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০২২