দেবেশ দাশ (ইংরেজি: Debesh Dash)( জন্ম- ১ সেপ্টেম্বর, ১৯১১ - মৃত্যু - ১৯৯৮)বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত একজন খ্যাতনামা কথাসাহিত্যিক । [১]

দেবেশ দাশ
জন্ম১ সেপ্টেম্বর , ১৯১১
মৃত্যু১৯৯৮ (বয়স ৮৭)
জাতীয়তাভারতীয়
মাতৃশিক্ষায়তনপ্রেসিডেন্সি কলেজ
পেশাক্যাবিনেট সচিব ভারত সরকার ও কথাসাহিত্যিক
পিতা-মাতাগোপালচন্দ্র দাশ (পিতা)

জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

দেবেশ দাশের জন্ম বৃটিশ ভারতের বর্তমানে বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত বাজিতপুরে। পিতার নাম গোপালচন্দ্র দাশ। তিনি কলকাতায় পড়াশোনা করেছেন । শ্রীরামকৃষ্ণের প্রিয় শিষ্য শ্রীম-র ছাত্র তিনি। কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বি.এ. পাশ করে টাটার স্কলারশিপ নিয়ে বিলেত যান। ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে আই সি এস পরীক্ষায় পাশ করে ভারতীয় সিভিল সার্ভিসে যোগ দিয়ে আসামে যান। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র ও রাজনৈতিক বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন । বিদেশে ভারত সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্যাবিনেট সেক্রেটারি পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন ।

সাহিত্যকর্ম সম্পাদনা

তিনি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চাও করে গেছেন। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের স্থায়ী সভাপতি হন ও ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত জয়পুর অধিবেশনের মূল সভাপতি ছিলেন। অক্সফোর্ড, নিউইয়র্ক, পেনসিলভেনিয়া ও প্রাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার আমন্ত্রণে ভারতীয় ও বাংলা সাহিত্য সম্পর্কে বক্তৃতা দিয়েছেন । উপন্যাস, রম্যরচনা, প্রবন্ধ, ইতিহাস, গল্প, কবিতা প্রভৃতি সাহিত্যের সব শাখাতেই দেবেশ দাশের ছিল অবাধ বিচরণ। তার লেখা ' রাজোয়ারা' গ্রন্থটির জন্য মেবারের দরবার থেকে ঢাল ও একটি তলোয়ার দিয়ে সম্মানিত করা হয়।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার 'ইয়োরোপা' বইটি পড়ে ভূয়সী প্রশংসা করেন । রোগশয্যা হতে তাঁকে কবি যে পত্র লেখেন তা নিম্নরূপ-

কল্যাণীয়েষু,

তোমার ইয়োরোপা পড়ে বিশেষ আনন্দ লাভ করেছি তার প্রধান কারণ আমাদের দেশের অনেক লেখকের মতো তুমি য়ুরোপকে খর্ব করবার চেষ্টা করনি। তুমি তার মাহাত্ম্য ও সৌন্দর্য সর্বান্তঃকরণে স্বীকার করেছ।- দৃষ্টিকে প্রসন্ন না রাখতে পারলে কোনো সুসভ্য দেশকে সত্য করে দেখতে পাওয়া যায় না। তুমি আনন্দিত মনে য়ুরোপকে দেখেছ এবং সেই আনন্দ পাঠকদের বিতরণ করেছ। আমার দুর্বল লেখনী অধিক লিখতে অক্ষম। ইতি

- রবীন্দ্রনাথ "

[২]

তার অন্যান্য গ্রন্থ গুলি হল-

  • 'রাজসী'
  • 'পশ্চিমের জানালা'
  • 'অর্ধেক মানবী তুমি'
  • 'রঙ্গরাগ'
  • 'জীবনের চেয়ে বড়'
  • 'আগ্রা স্টাইল'
  • 'রোম থেকে রমনা'
  • 'সেই চিরকাল'
  • 'সেই কলকাতা'
  • 'সুদূর বাঁশরী'
  • 'প্রথম ধরেছে কলি'
  • 'বৃহত্তর বাঙ্গালী'
  • 'প্যারীসের পিয়ারী'
  • 'ভিনদেশী বঁধু'

মৃত্যু সম্পাদনা

দেবেশ দাশ ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে ৮৭ বৎসর বয়সে প্রয়াত হন ।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, দ্বিতীয় খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, জানুয়ারি ২০১৯, পৃষ্ঠা ১৭৪, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-২৯২-৬
  2. দেবেশ দাশ আইএসবিএন ৯৮৪-৭০১৪৮-০০৪১-৪ {{আইএসবিএন}} এ প্যারামিটার ত্রুটি: অবৈধ উপসর্গ