দুর্গাদাস রায়চৌধুরী
দুর্গাদাস রায়চৌধুরী (১৯১৮ ― ২৭ সেপ্টেম্বর,১৯৪৩) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব ও ভারতীয় নৌবিদ্রোহের শহীদ।
নৌবিদ্রোহের শহীদ বিপ্লবী দুর্গাদাস রায়চৌধুরী | |
---|---|
জন্ম | ১৯১৮ |
মৃত্যু | ২৭ সেপ্টেম্বর,১৯৪৩ মাদ্রাজ জেল |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পরিচিতির কারণ | নৌ-বিদ্রোহের নেতা |
আন্দোলন | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন |
দুর্গাদাস রায়চৌধুরী ব্রিটিশ শাসনামলে সেনাবিভাগের এক কর্মী ছিলেন। সহকর্মী মানকুমার বসু ঠাকুরের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে যোগ দেন। এগিয়ে আসেন আরো দশজন বাঙালি তরুণ, যারা সকলেই পেশায় ছিলেন চতুর্থ মাদ্রাজ উপকূল রক্ষী বাহিনীর সেনা। তারা হলেন - কালীপদ আইচ, চিত্তরঞ্জন মুখোপাধ্যায়, নন্দকুমার দে, নিরঞ্জন বড়ুয়া, নীরেন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায়, সুনীলকুমার মুখোপাধ্যায় ফণিভূষণ চক্রবর্তী আবদুল রহমান রবীন্দনাথ ঘোষ ও অনিলকুমার দে। এঁরা সকলে ব্রিটিশ বাহিনীর আনুগত্যের শিক্ষা ভুলে গিয়ে দেশের স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণে বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন। ফোর্থ মাদ্রাজ কোস্টাল ডিফেন্স ব্যাটারি ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে অভিযুক্ত হলেন ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ই এপ্রিল।
কোর্ট মার্শালের বিচারে ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের ৫ই আগস্ট দুর্গাদাসের অপর আট জনের মৃত্যুদণ্ড হয়।
ফাঁসি সম্পাদনা
১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দের ২৭ শে সেপ্টেম্বর গোপনে মাদ্রাজ পেনিটেনশিয়রিতে নয় জনের ফাঁসি কার্যকর করে ব্রিটিশ শাসক। মৃত্যুর আগে তারা একে অপরকে আলিঙ্গন করে বন্দে মাতরম্ ধ্বনি দিয়ে মৃত্যু বরণ করেন। [১]
ফাঁসির কিছু দিন আগে দুর্গাদাস রায়চৌধুরী এক খোলা চিঠি লেখেন, যেখানে তিনি বলেছেন -
"আমাদের কেন ফাঁসি হইতেছে তাহা জানিবার জন্য আপনারা আগ্রহান্বিত। ব্রিটিশ সম্রাটের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করাই ইহার কারণ।…আমরা বাঙালি সৈনিক। দেশের স্বাধীনতার আহ্বানে আমাদের নয়টি জীবনদীপ নির্বাপিত হইতে চলিয়াছে।”
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬, পৃষ্ঠা ২৯৪, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
- ↑ "চিতাভস্ম কিনতে হুড়োহুড়ি"। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৪।