দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়

বাঙালি অভিনেতা


দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় (৪ ডিসেম্বর, ১৮৯৩ - ২০ জুন, ১৯৪৩) একজন বিখ্যাত বাঙালি অভিনেতা । তিনি বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার দক্ষিণ গড়িয়ার সন্নিহিত কালিকাপুর গ্রামের এক বর্ধিষ্ণু জমিদার বংশে জন্মগ্রহণ করেন ।[১]

দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
জন্ম(১৮৯৩-১২-০৪)৪ ডিসেম্বর ১৮৯৩
মৃত্যু২০ জুন ১৯৪৩(1943-06-20) (বয়স ৪৯)
জাতীয়তাভারতীয়
নাগরিকত্বভারত
পেশাঅভিনেতা
কর্মজীবন১৯২৯-১৯৪২
আদি নিবাসকলকাতা
দাম্পত্য সঙ্গীবীণাপাণি বন্দ্যোপাধ্যায়
পিতা-মাতা
  • তারকনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় (পিতা)
  • অন্নপূর্ণা দেবী (মাতা)

সংক্ষিপ্ত জীবনী সম্পাদনা

ব্যোমকেশ ইনস্টিটিউশনে কিছুদিন পড়ার পর ইন্ডিয়ান স্কুল অব আর্টসে ভরতি হন। তিনি আর্ট স্কুল থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করেন। গিরিশচন্দ্র ঘোষের সংস্পর্শে তিনি অভিনয়কেই পেশা হিসাবে বেছে নেন । তিনি কলকাতার ম্যাডান থিয়েটারে নির্বাক চলচ্চিত্রের বর্ণনা লেখার কাজ গ্রহণ করেন । ১৯২১ থেকে ১৯৩২ সালের মধ্যে মোট ২২টি নির্বাক চলচ্চিত্রে এবং তারপর ১৬টি সবাক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন । দুর্গেশনন্দিনী চলচ্চিত্রে ওসমানের ভূমিকায় তিনি সবাইকে মুগ্ধ করেছিলেন । তিনি একজন দক্ষ নাট্যভিনেতা ছিলেন । তিনি অন্তত ৪৬টি নাটকে অভিনয় করেন । ১৯২৩ সালে স্টার থিয়েটারে কর্ণাজুন নাটকে বিকর্ণের ভূমিকায় কৃতিত্ব দেখান । ১৯২৫ সালে চিরকুমার সভা নাটকে তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রশংসা পান ।

তার অভিনীত কর্ণার্জুন, খনা, শকুন্তলা নাটকগুলির রেকর্ড এখনও জনপ্রিয় । দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় মাত্র ৫০ বছর বয়েসে মারা যান ।

অভিনীত চলচ্চিত্র (বন্ধনীতে মুক্তির বছর এবং অভিনীত চরিত্রের নাম) সম্পাদনা

  • প্রিয় বান্ধবী (১৯৪৩ জহর)
  • অবতার (১৯৪১ নারায়ণ এবং ত্রিভঙ্গ)
  • ঠিকাদার (১৯৪০ অবনী হালদার)
  • পরশমণি (১৯৩৯ মোহিত)
  • দেশের মাটি (১৯৩৮)
  • বিদ্যাপতি (১৯৩৭ শিব সিংহ)
  • দিদি (১৯৩৭ ড. ব্যানার্জী)
  • ভাগ্য চক্র (১৯৩৫ মিঃ রায়)
  • মহুয়া (১৯৩৪ নদের চাঁদ)
  • কপাল কুণ্ডলা (১৯৩৩ নবকুমার)
  • মীরাবাই (১৯৩৩ মেবারের রাজা)
  • চিরকুমার সভা (১৯৩২ পূর্ণ)
  • ভাগ্যলক্ষ্মী (১৯৩২ ব্যোমকেশ)
  • চন্ডীদাস (১৯৩২ চন্ডীদাস)
  • দেনা পাওনা (১৯৩১ জীবানন্দ)
  • স্বামী (১৯৩১)
  • কন্ঠহার (১৯৩০)
  • রাধারানী (১৯৩০)
  • বুকের বোঝা (১৯৩০)
  • ইন্দিরা (১৯২৯)
  • কপাল কুণ্ডলা (১৯২৯)
  • রজনী (১৯২৯ হীরালাল)
  • ভ্রান্তি (১৯২৮)
  • সরলা (১৯২৮) (হিন্দিতে স্বর্ণলতা)
  • ষষ্ঠী কি শান্তি (১৯২৮ ঘন্টি)
  • দুর্গেশনন্দিনী (১৯২৭ ওসমান)
  • কৃষ্ণকান্তের উইল (১৯২৬ গোবিন্দলাল)
  • ধর্মপত্নী (১৯২৬)
  • জেলের মেয়ে (১৯২৬)
  • মিশর রানী (১৯২৪ ইউসুফ)
  • চন্দ্রনাথ (১৯২৪ চন্দ্রনাথ)
  • প্রেমাঞ্জলি (১৯২৪)
  • মানভঞ্জন (১৯২৩)
  • বিষবৃক্ষ (১৯২২)
  • আঁধারে আলো (১৯২২)

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬ পৃষ্ঠা ২৯৪, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬