তিনরঙা মুনিয়া

পাখির প্রজাতি

তিনরঙা মুনিয়া (বৈজ্ঞানিক নাম: Lonchura malacca) বা খয়েরি মুনিয়া Estrildidae (ইস্ট্রিল্ডিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত এক প্রজাতির ছোট পাখি। ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং চীনে পাওয়া যায়। একসময় এরা কালোমাথা মুনিয়া নামে পরিচিত ছিল।

তিনরঙা মুনিয়া
Lonchura malacca
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণীজগৎ
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পক্ষী
বর্গ: প্যাসারিফর্মিস
পরিবার: Estrildidae
গণ: Lochura
প্রজাতি: Lonchura malacca
প্রতিশব্দ

Loxia malacca লিনিয়াস, ১৭৬৬

বিবরণ সম্পাদনা

তিনরঙা মুনিয়া লম্বায় প্রায় ১২ সেন্টিমিটার এবং ওজনে মাত্র ১১ গ্রাম। প্রাপ্তবয়স্ক পাখির মাথা, ঘাড়, গলা, বুকের কেন্দ্র, অবসারণী ও লেজের তলা চকচকে কালো। বুকের বাকি অংশ সাদা। ডানা, পিঠ ও লেজ লালচে-বাদামি বা খয়েরি। ঠোঁট বেশ শক্ত, ত্রিকোণাকার ও হালকা নীলচে। পা, আঙুল ও নখ কালো। এরা একাকী বা দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করতে পারে।কখনো কখনো দাগি বাবুই এবং কালোবুক বাবুই এর সঙ্গেও চরতে দেখা যায়।এদের লম্বা ঘাসবন, জলাশয়, ধান‌খেত ও ছোট ঝোপে দেখা যায়।[২] এরা ৭-৮ বছর বাচতে পারে।

খাদ্য সম্পাদনা

ঘাসবীচি, কাউন, ধান ইত্যাদি প্রিয় খাদ্য। ঘাসবন বা ধান-কাউনের খেতে দলে দলে খাবারের খোঁজে ঘুরে বেড়ায়।

স্বভাব ও প্রজনন সম্পাদনা

এরা শান্ত প্রকৃতির হলেও ঝাঁক বেঁধে ফসলের বেশ ক্ষতি করে। পুরুষ পাখিরা গান গায়। পুরুষ ও স্ত্রী পাখি দেখতে একরকম। শরৎকাল ও বসন্তকাল প্রজননের উপযুক্ত সময়। এ সময় জলার ধারে পাতা ও ঘাস দিয়ে বড় বলের মতো বাসা বানায়। বাসায় ঢোকার জন্য লম্বা সুড়ঙ্গের মতো পথ থাকে, ঘাসফুল দিয়ে যার চারপাশটা মুড়ে নেয়। ডিম পাড়ে চার থেকে সাতটি, ধবধবে সাদা। স্বামী-স্ত্রী মিলে ১২-১৩ দিন তা দিয়ে বাচ্চা ফোটায়। বাচ্চারা ১৪-১৫ দিনে উড়তে শেখে। [৩] এদের ডাক পিই শব্দের মত শোনায়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. BirdLife International (২০১২)। "Lonchura malacca"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা (ইংরেজি ভাষায়)। আইইউসিএন2012। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৩ 
  2. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "বাংলাদেশের মুনিয়া পাখিরা"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৯ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "Tri-colored Munia - Lonchura malacca"www.finchinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৯ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা