তালের রস হল হল গ্রীষ্মকালে তাল গাছের ফল থেকে আহরিত একপ্রকার মিষ্টি রস। এতে ভিটামিন এ, বি, সি এবং জিংক, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও আয়রন জাতীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এছাড়াও এতে রয়েছে উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট[১] গ্রীষ্মের সময় এটি বাংলার একটি প্রতীকী এবং সুপরিচিত খাবার। এই তালের রস ব্যবহার করে অনেক জনপ্রিয় বাঙালি খাবার তৈরি করা হয় যেমন তালের মিছরি, পিঠা, পায়েস, খির এবং তালের বড়া।[২]

গুণমান সম্পাদনা

শুধুমাত্র স্ত্রী তাল গাছই ফল দেয়। তাল গাছ সাধারনত ১২ থেকে ১৩ বছর পর ফল দিতে শুরু করে।[২] তালের রস বা শাঁসের স্বাদ সাধারণত তেতো হয় অথবা মিষ্টি হয়। রসের তিক্ততা বা মিষ্টতা মাটি ও জলবায়ুর উপর নির্ভর করে। মিষ্টি তালের রস মূলত ঐতিহ্যবাহী খাবারে ব্যবহৃত হয়।

রস নিষ্কাশন সম্পাদনা

প্রচলিতভাবে, কাঁচা তালের বীজ (তালশাঁস) খাওয়া হয়। কিন্তু পাকা তালও বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়। পাকা তালের শাঁস ও রস নিষ্কাশন করে তা খাদ্য হিসাবে আহরণ করা হয় ও খাবার প্রস্তুতিতে ব্যাবহার হয়।

রস নিষ্কাশনের জন্য প্রথমে ফলের খোসা ছাড়ানো হয়। তারপর তার থেকে সমস্ত বীজগুলি বার করে নেওয়া হয়। এরপর হাতের সাহায্যে বা কোন মেশিনের সাহায্যে ফলের প্রতিটি বীজের অংশ থেকে রস নিষ্কাশন করা হয়। এই নিষ্কাশিত রসই তালের রস নামে পরিচিত। একে পরে ব্যবহার করার জন্য একটি পাত্রে সংরক্ষিত করে রাখা হয়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Mohanty, Soberly, Sabyasachi Mishra, Rama Chandra Pradhan Enzymatic extraction and value addition of palm juice, Department of Food Process Engineering, National Institute of Technology, Rourkela, Odisha-769008
  2. "তালের উপকারিতা ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা" [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]