তল্লা বাঁশ
তল্লা বাঁশ এক প্রকার বাঁশ যা বিশেষভাবে বাংলাদেশে জন্মে। এর বৈজ্ঞানিক নাম ব্যাম্বুসা পলিমরফা (ইংরেজি: Bambusa Polymorpha)। ইংরেজিতে বলা হয় polymorph bamboo বা বহুরূপী বাঁশ। এটি বাংলার বাঁশ নামেও পরিচিত, পাওয়া যায় বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, ভারত ও মিয়ানমারে।[১][২] ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে উদ্ভিদ বিজ্ঞানী উইলয়াম মুনরো এই বাঁশের বিবরণ সর্ব্বপ্রথম লিপিবদ্ধ করেন। এই বাঁশ অনেকাংশে নলাকার, ভেতর ফাঁপা, উচ্চতা ১৫ থেকে ২০ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর ব্যাস ৭ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। তুলনামূলকভাবে সুস্পষ্ট গাঁট থাকে ৪০ থেকে ৬৫ সেন্টিমিটার পরপর। দুটি গাঁটের মধ্যবর্তী স্থান ছাই-সবুজ বর্ণ। গাঁটগুলো পরিচ্ছন্ন। শুরুতে বাশেঁর গায়ে হালকা রোম দেখা যায়। এটি চিরসবুজ উদ্ভিদ ; সপুষ্পক ; সবীজ। চিকণ বাঁশ পাতার বর্ণ সবুজ, পাতা একে অপরের ঠিক বিপরীতে গজায়। বেলে মাটি থেকে কাদা মাটি নানা রকম মাটিতে তল্লা বাঁশ অনায়াসে জন্মে। পরিচর্যা ছাড়াই বেড়ে ওঠে। রোদে বৃষ্টিতে কোনো সমস্যা হয় না। নির্মাণ কাজে, গ্রামীণ ঘর তৈরীতে, আসবাব পত্র তৈরীতে, বাগানের সজ্জায় তল্লা বাঁশ ব্যবহৃত হয়। ভার বহনের ক্ষমতা বেশি, সহজে ভেঙ্গে পড়ে না।[৩][৪]
তল্লা বাঁশ | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | উদ্ভিদ |
উপজগৎ: | Tracheobionta |
অধিবিভাগ: | সবীজ উদ্ভিদ |
বিভাগ: | সপুষ্পক উদ্ভিদ |
শ্রেণী: | Liliopsida |
বর্গ: | Cyperales |
পরিবার: | ঘাস পরিবার |
উপপরিবার: | Bambusoideae |
মহাগোত্র: | Bambusodae |
গোত্র: | Bambuseae |
বৈচিত্র্য | |
প্রায় ১২০ রকম বাঁশ চিহ্নিত হয়েছে। |