টেমপ্লেট:পাল শাসকদের তালিকা

অধিকাংশ পাল উৎকীর্ণ লিপির প্রতিষ্ঠাকাল হিসেবে রাজবর্ষের উল্লেখ রয়েছে, কোনও সর্বজন-পরিচিত পঞ্জিকা যুগের উল্লেখ নেই। এই কারণে পাল রাজাদের রাজাবলির কালরেখা নির্ণয় করা কঠিন।[১] বিভিন্ন লিপি ও ঐতিহাসিক নথির ব্যাখ্যার ভিত্তিতে ইতিহাসবিদগণ নিম্নোক্ত পাল রাজাবলিটি নির্ণয় করেছেন:[২]

রমেশচন্দ্র মজুমদার (১৯৭১)[৩] আব্দুল মোমিন চৌধুরী (১৯৬৭)[৪] বিন্ধ্যেশ্বরীপ্রসাদ সিনহা (১৯৭৭)[৫] দীনেশচন্দ্র সরকার (১৯৭৫-৭৬)[৬] দিলীপকুমার গঙ্গোপাধ্যায় (১৯৯৪)[১]
প্রথম গোপাল ৭৫০–৭৭০ ৭৫৬–৭৮১ ৭৫৫–৭৮৩ ৭৫০–৭৭৫ ৭৫০-৭৭৪
ধর্মপাল ৭৭০–৮১০ ৭৮১–৮২১ ৭৮৩–৮২০ ৭৭৫–৮১২ ৭৭৪-৮০৬
দেবপাল ৮১০–আনুমানিক ৮৫০ ৮২১–৮৬১ ৮২০–৮৬০ ৮১২–৮৫০ ৮০৬-৮৪৫
মহেন্দ্রপাল অনুল্লিখিত (মহেন্দ্রপালের অস্তিত্ব পরবর্তীকালে আবিষ্কৃত একটি তাম্রলিপির মাধ্যমে প্রমাণিত হয়।) ৮৪৫-৮৬০
প্রথম শূরপাল প্রথম বিগ্রহপালের বিকল্প নাম বলে বিবেচিত ৮৫০–৮৫৮ ৮৬০-৮৭২
দ্বিতীয় গোপাল (তামার প্লেট ১৯৯৫ সালে আবিষ্কৃত হয়। শিলালিপির পাঠ্য ২০০৯ সালে প্রকাশিত হয়।)
প্রথম বিগ্রহপাল ৮৫০–৮৫৩ ৮৬১–৮৬৬ ৮৬০–৮৬৫ ৮৫৮–৬০ ৮৭২–৮৭৩
নারায়ণপাল ৮৫৪–৯০৮ ৮৬৬–৯২০ ৮৬৫–৯২০ ৮৬০–৯১৭ ৮৭৩-৯২৭
রাজ্যপাল ৯০৮–৯৪০ ৯২০–৯৫২ ৯২০–৯৫২ ৯১৭–৯৫২ ৯২৭-৯৫৯
তৃতীয় গোপাল ৯৪০–৯৫৭ ৯৫২–৯৬৯ ৯৫২–৯৬৭ ৯৫২–৯৭২ ৯৫৯-৯৭৬
দ্বিতীয় বিগ্রহপাল ৯৬০–আনুমানিক ৯৮৬ ৯৬৯–৯৯৫ ৯৬৭–৯৮০ ৯৭২–৯৭৭ ৯৭৬-৯৭৭
প্রথম মহীপাল ৯৮৮–আনুমানিক ১০৩৬ ৯৯৫–১০৪৩ ৯৮০–১০৩৫ ৯৭৭–১০২৭ ৯৭৭–১০২৭
নয়পাল ১০৩৮–১০৫৩ ১০৪৩–১০৫৮ ১০৩৫–১০৫০ ১০২৭–১০৪৩ ১০২৭–১০৪৩
তৃতীয় বিগ্রহপাল ১০৫৪–১০৭২ ১০৫৮–১০৭৫ ১০৫০–১০৭৬ ১০৪৩–১০৭০ ১০৪৩–১০৭০
দ্বিতীয় মহীপাল ১০৭২–১০৭৫ ১০৭৫–১০৮০ ১০৭৬–১০৭৮/৯ ১০৭০-১০৭১ ১০৭০-১০৭১
দ্বিতীয় শূরপাল ১০৭৫–১০৭৭ ১০৮০–১০৮২ ১০৭১–১০৭২ ১০৭১–১০৭২
রামপাল ১০৭৭–১১৩০ ১০৮২–১১২৪ ১০৭৮/৯–১১৩২ ১০৭২–১১২৬ ১০৭২–১১২৬
কুমারপাল ১১৩০–১১৩৫ ১১২৪–১১২৮ ১১৩২–১১৩৬ ১১২৬–১১২৮ ১১২৬–১১২৮
চতুর্থ গোপাল ১১৪০–১১৪৪ ১১২৯–১১৪৩ ১১৩৬–১১৪৪ ১১২৮–১১৪৩ ১১২৮–১১৪৩
মদনপাল ১১৪৪–১১৬২ ১১৪৩–১১৬২ ১১৪৪–১১৬১/৬২ ১১৪৩–১১৬১ ১১৪৩–১১৬১
গোবিন্দপাল ১১৫৫–১১৫৯ অনুল্লিখিত ১১৬২-১১৭৬ বা ১১৫৮-১১৬২ ১১৬১–১১৬৫ ১১৬১–১১৬৫
পালপাল অনুল্লিখিত অনুল্লিখিত অনুল্লিখিত ১১৬৫–১১৯৯ ১১৬৫–১২০০

টীকা:[২]

  • প্রথম যুগের ইতিহাসবিদগণ মনে করতেন যে, প্রথম বিগ্রহপাল ও প্রথম শূরপাল একই ব্যক্তির দুই নাম। বর্তমানে জানা গিয়েছে যে, তাঁরা দুইজন জ্ঞাতিভ্রাতা ছিলেন। তাঁরা একই সময়ে (হয়ত ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে) বা একজনের পর অপর জন শাসনকার্য চালান।
  • আব্দুল মোমিন চৌধুরী গোবিন্দপাল ও তাঁর উত্তরসূরি পালপালকে পাল সম্রাটবংশের সদস্য হিসেবে স্বীকার করেননি।
  • বিন্ধ্যেশ্বরীপ্রসাদ সিনহার মতে, গয়া উৎকীর্ণ লিপিটিকে “গোবিন্দপালের রাজত্বকালের ১৪শ বৎসর” বা “গোবিন্দপালের রাজত্বকালের ১৪ বছর পর” – এই দুই ভাবে পড়া যায়। তাই এক্ষেত্রে দুটি তারিখ প্রযোজ্য হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. দিলীপ কুমার গাঙ্গুলি (১৯৯৪)। Ancient India, History and Archaeology (ইংরেজি ভাষায়)। অভিনব। পৃষ্ঠা ৩৩–৪১। আইএসবিএন 978-81-7017-304-5 
  2. সুসান এল. হান্টিংটন (১৯৮৪)। The "Påala-Sena" Schools of Sculpture (ইংরেজি ভাষায়)। ব্রিল আর্কাইভ। পৃষ্ঠা ৩২–৩৯। আইএসবিএন 90-04-06856-2 
  3. আর. সি. মজুমদার (১৯৭১)। History of Ancient Bengal [প্রাচীন বাংলার ইতিহাস] (ইংরেজি ভাষায়)। জি. ভরদ্বাজ। পৃষ্ঠা ১৬১–১৬২। 
  4. আব্দুল মমিন চৌধুরী (১৯৬৭)। Dynastic history of Bengal, c. 750-1200 CE [বাংলার রাজবংশীয় ইতিহাস, আনু. ৭৫০-১২০০ সিই] (ইংরেজি ভাষায়)। পাকিস্তান এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ২৭২–২৭৩। 
  5. বিন্দেশ্বরী প্রসাদ সিনহা (১৯৭৭)। Dynastic History of Magadha, Cir. 450–1200 A.D. (ইংরেজি ভাষায়)। অভিনব পাবলিকেশন্স। পৃষ্ঠা ২৫৩–। আইএসবিএন 978-81-7017-059-4 
  6. দীনেশচন্দ্র সরকার (১৯৭৫–৭৬)। "Indological Notes - R.C. Majumdar's Chronology of the Pala Kings"। জার্নাল অফ ইন্ডিয়ান হিস্ট্রি (ইংরেজি ভাষায়)। নবম: ২০৯-১০।